‘জীবিত চলেশ রিছিলের চেয়ে মৃত চলেশ রিছিল অনেক শক্তিশালী’
অন্যায়ের প্রতিবাদে সোচ্চার কণ্ঠস্বরের নাম চলেশ রিছিল। শাল অরণ্যে বেড়ে ওঠা অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো শাল সুঠাম যুবকের নাম চলেশ রিছিল। মরে গিয়েও যে এখন শত শত আদিবাসী যুবকের বুকে সাহস যোগাচ্ছে। যার লাল রক্ত বলছে, বনে টিকে থাকতে হলে রুখে দাঁড়ানো ছাড়া গতি নেই। রুখে দাঁড়াও রুখে দাঁড়াও। সেই শাল সুঠাম সাহসী যুবকের নাম চলেশ রিছিল। যাকে ২০০৭ সালের ১৮ মার্চ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ধরে মধুপুর কাকরাইদ বিএডিসির খামার সেনাক্যাম্পে নিয়ে যায়। সেখানে দিনব্যাপী অত্যাচারের পর সন্ধ্যার দিকে চলেশ রিছিলের মৃত্যু হয়। চলেশকে নির্মমভাবে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হলেও এখনো সেই হত্যার বিচার হয় নি।
চলেশ রিছিলকে জানালার গ্রিলে বেঁধে ঝুলিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ৯-১০ সদস্য নির্যাতন করেছিলো। এ কারণেই সে সময় তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর মরদেহ পরীক্ষা করে দেখা হয়, তাঁর চোখ দুটো উপড়ে দেয়া হয়েছিলো, ডান হাতের তিনটি আঙুলের নখও উপড়ে ফেলা হয়েছি্লো। তাঁর অণ্ডকোষ নষ্ট করে দেওয়া হয়, সারা গায়ে ছিলো প্রচণ্ড আঘাতের চিহ্ন।
১৯৬৮ খ্রিঃ মধুপুরের মাগন্তী নগর গ্রামে প্রতিবাদী চলেশ রিছিলের জন্ম।পিতা বনেন্দ্র দালবৎ, মাতা নীলমনি রিছিল। মা বাবার ছয় সন্তানের মাঝে চলেশ ছিলেন পঞ্চম।
মধুপুর রাণীভবানী উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন।এরপর মধুপুর ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হন এবং রাজনীতির সাথে জরিয়ে পড়েন। ভালো ফুটবল খেলতেন।
১৯৯১ সালের ১৬ অক্টোবর সন্ধ্যা সিমসাং এর সাথে শুভ পরিণয়ে আবদ্ধ হন। তিনি চার সন্তানের জনক।
এখন তো ‘জীবিত চলেশ রিছিলের চেয়ে মৃত চলেশ রিছিল অনেক শক্তিশালী’
No comments:
Post a Comment