এপ্রিল মৃ
শিক্ষক, লেখক, সংগঠক ও সমাজসেবক
শিক্ষক পিতার শিক্ষক সন্তানঃএকজন আলোকিত মানুষ।
শিক্ষক, লেখক, সংগঠক ও সমাজসেবক
শিক্ষক পিতার শিক্ষক সন্তানঃএকজন আলোকিত মানুষ।
প্রতিভাদীপ্ত , গুণী এই শিক্ষক ভূটিয়ার সম্ভ্রান্ত আদর্শ মান্দি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ১৯৭০ খ্রিঃ ১৬ এপ্রিল। পিতা প্রকাশ চন্দ্র মৃ অবসরপ্রাপ্ত একজন শিক্ষক ও সমাজসেবক। মাতা ইলা রাণী হাজং সুগৃহিনী।
ভূটিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাইমারি শিক্ষা সমাপ্ত করে ভর্তি হন মধুপুর রাণী ভবানী হাইস্কুলে এবং সেখান থেকেই বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি পাস করেন ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দে । এরপর ভর্তি হন ময়মনসিংহ সরকারি আনন্দমোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে। এই কলেজ থেকে উচ্ছ মাধ্যমিক ও ডিগ্রি পাস করেন।
পিতার আদর্শ অনুসরণ করে মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে নিজেকে আত্মনিয়োগ করেন তিনি। ভূটিয়া স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন ১৯৯৫ খ্রিঃ থেকে। অদ্যাবদি তিনি দক্ষতার সাথে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
১৯৯৭ খ্রিঃ ৩০ জানুয়ারি মিরাজিনী মৃ-র সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁর সুখময় সংসার জীবনে তিনি তিন সন্তানের জনক।জামাই যাওয়ার কারণে তিনি এখন থানারবাইদ গ্রামের বাসিন্দা এবং সেখানেই স্ত্রী সন্তান নিয়ে সুখী জীবনযাপন করছেন । বড় ছেলে জাদিল মৃ ত্রিশাল কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে।
ছাত্রজীবন থেকেই লেখালেখির অভ্যাস রয়েছে। একসময় ‘আ’চিক বিবাল’ ম্যাগাজিন সম্পাদনা ও প্রকাশনায় জড়িত ছিলেন কবি বচন নকরেকের সাথে। এবারের ‘অমর একুশে বইমেলা ২০২০’-এ ‘তুমিও অমূল্য সম্পদ’ শিরোনামে তাঁর একটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।
শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি জাতীয় রাজনীতিতেও জড়িত রয়েছেন । তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড সভাপতি। খ্রিস্ট মণ্ডলীর বিভিন্ন সংগঠনের কার্যক্রমেও সম্পৃক্ত আছেন। মধুপুর উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাংস্কৃতিক সম্পাদক।
মিশুক, বিনয়ী এপ্রিল পল মৃ মনে করেন, শিক্ষা ছাড়া উপায় নেই। জাতীয় জীবনের সংকট কাটবে সুশিক্ষার মাধ্যমে।