সমাজসেবক, সংগঠক
পরেশ চন্দ্র মৃ-র যোগ্য উত্তরসুরি, জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সাবেক সভাপতি অজয় এ. মৃ-র জন্ম হা’বিমার পীরগাছা গ্রামে। তিনি ১৯৫৪ খ্রিঃ ১৫ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নামঃ মনীন্দ্র নকরেক, মাতার নামঃ নেক্জী মৃ। ছয় ভাই বোনের মাঝে অজয় এ. মৃ দ্বিতীয়। প্রাথমিক শিক্ষা নিজ গ্রামের প্রাইমারি স্কুলে সমাপ্ত করে হালুয়াঘাট মিশনারি স্কুল থেকে ১৯৭২ সালে এসএসসি পাস করেন। এরপর তিনি ঢাকা নটরডেম কলেজে ভর্তি হন এবং সেখান থেকে এইচএসসি পাস করেন।
১৯৭৪ সালে জলছত্র কুষ্ঠ হাসপাতালে যোগ দেন এবং বেশ কয়েক বছর কাজ করেন।
একসময় আদিবাসীদের অস্তিত্ব রক্ষার আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। তিনি জয়েনশাহীর আদিবাসীদের অধিকার ও স্বার্থ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে গঠিত জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। পরেশ চন্দ্র মৃর মৃত্যুর পর অজয় এ. মৃ এ সংগঠনের হাল ধরেণ। ১৯৮০ সালে জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের নির্বাচনে অঙ্গশগ্রহণ করে নির্বাচিত হয়ে ২০১০ খ্রিঃ পর্যন্ত হা’বিমার এই ঐতিহ্যবাহী সংগঠনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
২০০৭ সালে ওয়ার্ল্ড সোশ্যাল ফোরামের উদ্যোগে কেনিয়া গমন করেন। আদিবাসীদের স্বার্থ সংরক্ষণ বিষয়ে একটি সেমিনারে অংশগ্রহণের জন্য তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গমন করেন। অংশগ্রহণমূলক সামাজিক বনায়ন বিষয়ক কার্যক্রম দেখার জন্য তিনি নেপাল যান।
হা’বিমা তথা জয়েনশাহী এলাকার আদিবাসী নেতাদের মধ্যে তিনিই একমাত্র নেতা যিনি আদিবাসীর স্বার্থ সংরক্ষণের প্রশ্নে আন্দোলনের কারণে দু’দুবার কারাবরণ করেছেন।
অজয় এ. মৃর সংগ্রামী জীবনে সহধর্মিণী মিনু মারিয়া ম্রং, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। প্রথম ছেলে সন্তান অপূর্ব আর ম্রং কারিতাস ময়মনসিংহে আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন। দ্বিতীয় ছেলে সন্তান মৃনাল ম্রং একজন যাজক। একমাত্র মেয়ে টুম্পা ম্রং স্বামীর ঘরসংসার করে সুখে আছেন।