বাংলা প্রবাদ-প্রবচন

কুটুম্বের মধ্যে শালা, গহনার মধ্যে বালা।


বাংলা প্রবাদ-প্রবচন

কুটুম্বের মধ্যে শালা, গহনার মধ্যে বালা।

কুঠে মুরগীর ঠোঁটে বল

কত জনে কত কতা কত মন্তে কয় বুড়ো বেইট্যে নিজের কতা মনে ধুনি লয়।

কত জলে কত মুসুরি ভেজে দ্যাখ

কত ধানে কত চাল

কত ধানে কত চাল (জান না ?) কোন কাজের হিসাব রাখ না । কত শত গেল রথী, শেওড়াতলার চক্রবর্তী ।

কত ব্রত করলি যশী, বাকি ভূমি- একাদশী

কত রঙ্গ দেখালি মাসি !

কত রাঘব বোয়াল পড়ে রইলো—চুনো পুঁটি নিয়ে টানাটানি পরেছে.

কত রবি জ্বলে রে, কেবা আঁখি মেলে রে

কত সাধ ছিল রে চিতে, মলের আগে চুটকি দিতে

কত সাধ যায় রে চিতে, বেগুন গাছে আঁকশি দিতে

কতই বা দেখব আর, ছুঁচোর গলায় রত্নহার

কতই সাধ হয় রে চিতে, ফোকলা দাঁতে মিশি দিতে

কতক্ষণ রহে শিলা শূন্যেতে মারিলে ?

কতা কয়লে কতা বাজে, হাল বায়লে গ্যাঁড়া বাজে";

কুত্তা হাগে না খিদের ডরে ।

কুত্তার কামড় হিঁটুর নিচে।

কুত্তার খাইয়া কাম নাই, দৌড় ছাড়া হাঁটা নাই।

কুত্তার ল্যাজত পাটা ব্যান্দ্যা দিলেও সোজা হয় না।

কুত্তারে যতই তোলা দাও, ও যাবে ঠিক গু খেতে ।

কুত্তায়ে শোঙ্গে না, জজের উকিল।

কথা টলার চেয়ে পা টলা ভাল

কথা পাড়া

কথা বেচে খাওয়া

কথা শোনানো

কথা শুনে পেটের ভাত চাল হয়ে যায়

কথা শুনে হরিভক্তি উড়ে গেল

কথার কথা, কাজের নয়

কথার গুনে বার্তা নষ্ট

কথার চেয়ে কাজের গলা দরাজ।

কথার দোষে কার্য নষ্ট, ভিক্ষায় নষ্ট মান । গিন্নির দিসে গৃহ নষ্ট লক্ষ্মী ছেড়ে যান ।

কথার নেই মাথা, গরমে গায়ে কাঁথা

কথার হাত পা বের করা

কথায় কথা বাড়ে, ক্রোধে হয় ঝড়, কথা না বাড়িয়ে সখি যাও এবে ঘর

কথায় কথা বাড়ে, খেলে বাড়ে মেদ

কথায় কথায় জেঠু সাজা

কথায় চিঁড়ে ভেজে না

কুঁদের মুখে বাঁক থাকে না

কদম গাছের কানাই

কনের ঘরের মাসি, বরের ঘরের পিসি

কনের মা কান্দে আর টাকার পুঁটুলি বান্দে

কুনো ব্যাঙ

কপাল করিছি দুখতা, প্যাট করিছি সুখতা।

কপাল গুনে গোপাল ঠাকুর

কপাল চাপড়ান

কপাল ছাড়া পথ নাই

কপাল জোরে বাঁচা

কপাল যদি হীনত পড়ে, চামচিকাও ধ্যর‌্যা ড্যাব্যাই।

কপাল ঠুকে কাজে নামা

কপাল থুয়ে পাছায় চন্দন

কপাল ভাঙলে জোড়া লাগে না।

কপাল সঙ্গে সঙ্গে যায়

কপালে আছে হাড়, কী করবে চাচা সাকিদার?

কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়া

কপালে টিপ সবাই পরে, কপাল গুণে চিকচিক করে

কপালে যদি থাকে ঘি, না খেয়ে করব কি?

কপালে যদি না থাকে ঘি, ঠকঠকিয়ে করব কি?

কপালে নাইকো ঘি, ঠকঠকালে হবে কি ?

কপালের এমনি ফের, যাব বিয়ে করতে কাটি শঙ্কর ঘোষের বেড় ।

কপালের ভাঁজ বাড়ানো

কপালের লিখন না যায় খন্ডন

কপট প্রেমে লুকোচুরি, মুখে মধু প্রাণে ছুরি

কৃপণের ধন বর্বরে খায়, কৃপণ করে হায় হায়

কুপুত্র যদ্যপি হয়, কুমাতা কক্ষনো নয় ।

কূপমণ্ডূক

কফিনে শেষ পেরেক পোঁতা

কুবেরের ধন

কুব্জার মন্ত্রণা

কবর থেকে ওঠা

কমোডে বসে কলকাতা বুঝে নেওয়া

কম্বলের লোম বাছতে গাঁ উজাড়

কম্বলের লোম বাছলে থাকে কি?

কুম্ভকর্ণের নিদ্রা

কুম্ভকর্ণের নিদ্রাভঙ্গ

কর গোবিন্দ বাপের শ্রাদ্ধ, আরও বামুন আছে

কর যদি তাড়াতাড়ি, ভুলের হবে বাড়াবাড়ি

করে না মাই মলে সারা রাত কুয়ারা করে।

করছে কিসের জাঁক, ময়না টিয়ে উড়িয়ে দিয়ে খাঁচায় পোষে কাক ।

কর্জ করে যেই কষ্ট পায় সেই

কর্তা যে ঘি খান তা এক আঁচড়েই মালুম ।

কর্তার ইচ্ছায় কর্ম, উলু বনে কীর্তন

কর্তার পাদের গন্ধ নাই।

করলে যত্ন মেলে রত্ন

কূল কিনারা

কলকাঠি নাড়ানো

কলকে পাওয়া

কলা খাওয়া

কলা দেখানো

কলা পোড়া খাওয়া

কলা বউ

কলা রুয়ে না কেট পাত/ তাতেই কাপড়, তাতে ভাত।

কলাপাতা, কাঠের আঁটি এই নিয়ে বৈদ্যবাটি

কলাপোড়া খাও

কলার ভেলায় সাগর পার

কলায় দলা, হলুদে ছাই, বউরে সেবিলে, পুতেরে পাই ।

কলি কাল

কলিকাল, ছাগলে চাটে বাঘের গাল।

কলির বউ ঘরভাঙানি

কুলীনের লক্ষণ (সদাচার, বিনয়, বিদ্যা, খ্যাতি, তীর্থদর্শন, শাস্ত্রানুমোদিত ধর্মে আসক্তি, বেদাধ্যয়ণ, তপস্যা এবং দান )

কুলে কালি দেওয়া

কুলের কালিও ভাল।

কলের পুতুল

কুলের বার হওয়া

কলের মানুষ

কলজের জোর

কলমে কায়স্থ চিনি গোঁপেতে রাজপুত । চিকিৎসক চিনতে পারি যার ওষুধ মজবুত

কলমের খোঁচা

কলুর ছেলে, গয়লার গাই, গৃহস্থকে পুষতে নাই

পোষ্যপুত্র, ঘর জামাই, কটা শুদ্র আর বেঁটে মুসলমান- এই চার শালাই সমান ।

কলুর বলদ

কল্লার (বা দুষ্টের) ঘাড় বোল্লায় ( বা বোলতায় ) ভাঙ্গে ।

কলসির জল গড়াতে গড়াতেই শেষ

কুশীলব

কুশো, কেশে, বেনা; অভাবে সন্না । টাকা-পয়সা কড়ি, অভাবে গড়াগড়ি ।

ক্ষেত আর পুত।/ যত্ন বিনে যমদূত।।

ক্ষেতের চাষে দুঃখ নাশে

ক্ষেপই হারে, জনম হারে না

কষ্ট দিয়ে দান, আর পিত্তি মেরে ভোজন

কষ্ট না করলে কেষ্ট মেলে না

কষ্ট বই ইষ্ট নাই

কৃষ্ণকথা মধুরবানী, তুমি বল আমি শুনি

কষতে কষতে বাঁধন ছেঁড়ে

ক্ষুদ খেয়ে পুঁজি করে, দুপুরুষে খরচ করে

ক্ষুধা পেলে দুহাতে খেতে চায়

ক্ষুধার ধার ছুঁতে কাটে

ক্ষমার বড় গুণ নাই, দানের বড় পূণ্য নাই

কুসংবাদ বাতাসের আগে ধায়

কুসঙ্গে থাকার চেয়ে একা থাকা ভাল

কুঁড় খেয়ে ভুঁড়ো

কুড়কুড়ি মরবে, নাঙে বাড়ি ছ্যাড়বে।

কুড়াল দিয়ে কখনো বন্ধুর কপালে বসা মাছি মারতে যেয়ো না ।

কড়ি দিয়ে কানা গরু কেনা

কড়ি দিয়ে কিনব দই, গোয়ালিনী মোর কিসের সই ?

কড়ি দিয়ে খাই দই, কই করবে মোর গয়লা সই ।

কড়ি দিয়ে হেটে নদী পার

কড়ি নেবে গুণে, পথ চলবে জেনে

কড়ি ফটকা চিঁড়ে দই, কড়ি বিনে বন্ধু কই ।

কড়ি হলে (দিলে) বাঘের দুধ মেলে

কুড়িতে বুড়ি, মরলে মুড়ি

কড়ির জিনিস পড়িস না

কড়ির মাথায় বুড়োর বিয়ে

কুড়ে কৃষাণ অমাবস্যা খোঁজে

কুঁড়ে গরুর এঁটুলি সার

কুঁড়ে ঘরে বাস, খাট পালঙ্কের আশ

কুড়ে পাটুনীর মুখে আঁটুনি

কুঁড়ের অন্ন হয় না

কুড়ের পাতে বসে খেও, বেয়োর কাছে না যেও

কুড়ের বাক্যে মরি পুড়ে

কুড়ের বাথান বৈদ্যনাথে

কুঁড়ের বাদশা

কুড়েরে কুড়ে, বায় বয়, না, দোরটা দিলে ভাল হয় ।

কুড়েরে বলে কুড়ে-- আমি ঘুমাই, তুই দোর তাড়া দে ।

কুয়ো (কুয়াশা) হয়, আমে ভয়, তাল তেঁতুলের কিছুই নয়

কুয়োর ব্যাঙ

কয়নি আলা বড় লয়, সয়নি আলা বড়।

কয়লা ছাড়ে না ময়লা

কয়লা ধুলে ময়লা যায় না ।

খাই দাই কাঁসি বাজাই, রগড়ের ধার ধারি না

খাই দাই ডুগডুগি বাজাই

খাই দাই বাঁশি বাজাই

খাই দাই ভুলিনি, তত্ত্ব কথা ছাড়িনি

খাওয়া মুখেতে মুগের ডাল, খাব আর পাড়ব গাল

খাওয়াবে হাতির ভোগে, দেখবে বাঘের চোখে

খাঁচায় পুরে খোঁচা মারা

খাচ্ছিল তাঁতী তাঁত বুনে, কাল হল এঁড়ে বলদ কিনে ।

খাজনার চেয়ে বাজনা বেশি

খাট ভাঙ্গলে ভূমিশয্যা

খাটে খাটায় সোনার ক্ষিতি ( বা লাভের গাঁতি), তার অর্ধেক মাথায় ছাতি, ঘরে বসে পুছে বাত, তার কপালে হা ভাত

খাডাইশ্যা কুত্তার আগুইন্যা পাদ

খাতায় কলমে

খাতায় নাম লেখানো

খাঁদা নাকে তিলক পরা

খাঁদা নাকে নথ, আর গোদা পায়ে মল

খাব না খাব না অনিচ্ছে, তিন রেক চেলে একটা উচ্ছে।

খাবার বেগুন, আর বেচবার বেগুন

খাবার বেলায় নেবার মা, উলু দেবার বেলায় মুখে ঘা

খাবার বেলায় মস্ত হা, উলু দেবার বেলায় মুখে ঘা

খাবার সময় শোবার চিন্তা

খারাপ ছুতোর বেশি আবর্জনা তৈরি করে

খাল কেটে কুমীর আনা

খাল পার হয়ে কুমীরকে কলা দেখানো

খালি কলসি বাজে বেশি

খালি পেটে ধর্ম হয় না

খালি পেটে পানি খায়/ যার যার বুঝে খায়।

খালি মাথার চেয়ে খালি টাকার থলে অনেক ভাল

খালি হাতে ফেরা

খায় দায় লাল মিয়া, মোটা হয় জব্বার।

খায় না খায় সকালে নায়, হয় না হয় তিনবার যায়, তার কড়ি কি বৈদ্যে পায় ?

খায় না দেয় না পাপী সঞ্চয় করে, তার ধন খায় চোরে আর পরে

খায় মালসাট মেরে, উঠে ধরে হাঁটু।

খায় লয় চাঁদ রায়ের, নাম লয় কেদার রায়ের

খিচুড়ি পাকানো

খিদে থাকলে নুন দিয়ে ভাত খাওয়া যায়

খিদের চোটে পাটকেলে কামড়

খিদের মাথায়

খিড়কি দিয়ে হাতি গলে সদরে বাঁধে সূচ

খুচিয়ে ঘা করা

খুচরো কাজের মুজরো নাই

খেঁকি কুকুরের ঘেউ ঘেউ সার

খেজুর গাছ তেলপানা হয়েছে

খেজুরে আলাপ

খেটে খাওয়া যাদের বরাত, কাটবে না তাদের দুঃখের রাত

খেটে মরে হাঁস, ডিম খায় দারোগা বাবু ।

খেতে খেতে লোভ বাড়ে, কেঁদে কেঁদে শোক

খেতে পায় না পচা পুঁটি হাতে পারে হীরের আংটি

খেতে পেলে শুতে চায়

খেদাই না, তোর উঠন চষি ।

খেলা ভাঙার খেলা

খেলতে জানলে কানাকড়ি দিয়েও খেলা যায়

খেয়ার কড়ি দিয়ে ডুব দিয়ে পার হওয়া

খেয়ে দেয়ে একাদশী

খেয়ে দেয়ে যায় শুতে, বিধাতা নিয়ে যায় মুলো চুরি করতে

খৈয়ে বন্ধনে পড়া

খোঁটার জোরে মেড়া লড়ে ।

খোঁটার বলে গাড়ল যুঝে

খোদা যা গড়বেন তা মনে মনেই জানেন

খোদাকে কে দেখেছে; আক্কেলে মালুম হয়।

খোদার উপর খোদকারি

খোদার খাশি

খোদার নাও দোয়ায় চলে

খোলনলচে পাল্টানো

খোশ খবরের ঝুটাও ভাল ।

খোষে তৈল নাই, কলাবড়ার সাধ

খোঁড়ার পা খানায় পড়ে

খঞ্জনের নৃত্য দেখে চড়াইও নৃত্য করে

খুঁট-আঁখুরে গাঁয়ের বালাই

খুঁটি না থাকলে ঘর আপনি পড়ে

খটমটিয়ে হাঁটে নারী, কটমটিয়ে চায়, মাস-খানেক ভিতর তার সিঁথির সিঁদুর যায়

খুদের জাউ পায় না, ক্ষীরের জন্য কাঁদে

খুন করলে খুনে, পরের কথা শুনে

খনা বলে চাষার পো/ শরতের শেষে সরিষা রো।

খনা বলে শোনভাই/ তুলায় তুলা অধিক পাই।

খনা বলে শুন কৃষকগণ/ হাল লয়ে মাঠে বেরুবে যখন/শুভ দেখে করবে যাত্রা/ না শুনে কানে অশুভ বার্তা।/ ক্ষেতে গিয়ে কর দিক নিরূপণ,/ পূর্ব দিক হতে হাল চালন/ নাহিক সংশয় হবে ফলন।

খনা বলে শুনে যাও / নারিকেল মুলে চিটা দাও/ গাছ হয় তাজা মোটা/ তাড়াতাড়ি ধরে গোটা।

খর নদীতে চর পড়ে না

খরা ভুয়ে ঢালবি জল/ সারাবছর পাবি ফল।

খরচের খাতায় নাম লেখানো

খুরে খুরে দণ্ডবৎ, খুরে নমস্কার

খল যায় রসাতল

খড় কুটোর মত ভাসা

খড়্গ বাগিয়ে বসা

খুঁড়িয়ে বড় হওয়া

খড়ের আগুণ

খড়ের আগুন যেমন জ্বলে তেমন নেভে

খড়ের কার্ত্তিক

খড়ের গাদায় সূচ খোঁজা ।

খড়ম পায়ে দিয়ে গঙ্গা পার

খয়ের খাঁ

গু-এর এপিঠ ওপিঠ দুপিঠ সমান

গু-এর দু পিঠেই গন্ধ

গঙ্গা গঙ্গা, না জানি কত রঙ্গা চঙ্গা ।

গঙ্গা মড়া আলেন না

গঙ্গাজলে গঙ্গা পূজা

গঙ্গার আবার গঙ্গা লাভ

গঙ্গার জল গঙ্গায় র'ল, পিতৃপুরুষ উদ্ধার হল

গঙ্গার জলে স্নান, তুঙ্গার জল পান

গঙ্গার দুকূল ভাঙ্গে না

গঙ্গায় অনেক জল বয়ে যাওয়া

গঙ্গায় ডুব দেওয়া

গঙ্গায় ময়লা ফেললে গঙ্গার মাহাত্ম্য কমে না

গঙ্গায়ও মলুম, ভুতও হলুম

গাঁ গড়ানে ঘন পা। যেমন মা তেমন ছা।। থেকে বলদ না বয় হাল, তার দুঃখ সর্ব্বকাল।

গা ঘামানো

গা ছুয়ে বলা

গা ঝাড়া দিয়ে ওঠা

গা ঢাকা দেওয়া

গা ঢেলে দেওয়া

গা বাঁচানো

গাঁ বড় তার মাঝের পাড়া, নাক নেই তার নাক নাড়া

গা ভারী হওয়া

গাং ডিঙ্গুলে কুমিরকে কলা দেখানো |

গাই কিনবে দুয়ে, বলদ কিনবে বেয়ে

গাই গোয়ালা ভাব থাকলে আধসের দুধ এক হাটু জলে

গাই ছিল না হল গাই, চালুনি নিয়ে দুইতে যাই।

গাই নেই তো বলদ দো

গাই পালে মেয়ে/ দুধ পড়ে বেয়ে।

গাই বাছুর ঠিক থাকলে দুধের অভাব নাই।

গাই বাছুরে ভাব থাকলে মাঠে গিয়ে দুধ দেয় ।

গাইতে গাইতে গায়েন আর বাজাতে বাজাতে বায়েন

গাইয়ে বাছুর লনা গোয়াইল্যার পেরেশানি

গাও নষ্ট কানায়, পুকুর নষ্ট পানায়।

গাঙ দেখলে মুত আসে/ নাঙ দেখলে হাস আসে (নাঙ মানে - স্বামী)

গাঙে গাঙে দেখা হয় তো বোনে বোনে দেখা হয় না

গাছ থেকে পড়ে গেল জন পাঁচ- সাত, যার যেখানে ব্যথা তার সেখানে হাত।

গাছ থেকে ফল ভারী নয়

গাছ প্যাকলে সার আর মানুষ প্যাকলে অসার।

গাছ-গাছালি ঘন রোবে না/ গাছ হবে তাতে ফল হবে না।

গাছে উঠতে পারে না, বড় ছানাটি আমার ।

গাছে ওঠে পড়তে, আর জামিন হয় মরতে

গাছে ওঠে পড়তে, জামিন দেয় মরতে

গাছে কাঁঠাল, গোঁফে তেল

গাছে গাছে আগুন জ্বলে/ বৃষ্টি হবে খনায় বলে।

গাছে গরু চরানো, মুখে ধান শুকানো

গাছে চড়ানো; গাছে ওঠানো

গাছে তুলে দিয়ে মই কেড়ে নেওয়া

গাছে তুলতে সবাই আছে, নামাতে কেউ নেই

গাছে না উঠতেই এক কাঁদি

গাছে বেল পাকলে কাকের কি

গাছের পাড়া, তলারও কুড়ানো

গাছের পরিচয় ফলে

গাছের শত্রু লতা, মানুষের শত্রু কথা

গাছেরও খাবে, তলারও কুড়াবে।

গাঁজা খাওয়া

গাঁজা গুলি অন্নভাঙা তিন নিয়ে ফরাসডাঙা

গাঁজা তাড়ি প্রবঞ্চনা -- তিন নিয়ে সরশুনা

গাঁজাখুরি গল্প

গাজনের নেই ঠিক ঠিকানা, ডেকে বলে বাজনা বাজা

গাজর, গন্ধি, সুরী/ তিন বোধে দূরী।

গাধা জল ঘোলা করে খায়

গাধা পিটিয়ে ঘোড়া করা

গাধা সকল বইতে পারে, ভাতের কাটি বইতে নারে

গাধার খাটুনি খাটা

গান, বাজনা সুজন এই তিন নিয়ে সিঙ্গারকোণ

গান্ডে পিন্ডে খাওয়া

গান্ধিগিরি

গাল বাড়ায়ে চড় খাওয়া

গাল মন্দ করা

গালভরা কথা

গাড়িকাপড় লা, লা কাপড়গাড়ি

গায়ে আঁচ লাগা

গায়ে ওড়ে খড়ি, কলপ দেওয়া দাড়ি

গায়ে কফিন বেঁধে ঘুরে বেড়ানো

গায়ে গু মাখলে যমে ছাড়ে না

গায়ে থুথু দেওয়া

গায়ে ফুঁ দিয়ে বেড়ানো

গায়ে মাখা

গাঁয়ে মানে না, আপনি মোড়ল

গায়ে হাওয়া লাগানো

গায়ে হাত তোলা

গায়ের কালি ধুলে যায়, মনের কালি ম'লে যায়

গাঁয়ের গুণে গ'ড়ে গরু বিকায়

গায়ের গন্ধে ভূত পালায়, মাথায় ফুলের তেল

গায়ের জ্বালা



গিন্নি ভাঙল নাদা, ও কিছু নয় দাদা /মেয়ে ভাঙল কাঁসি, পড়ল একটা হাসি / বউ ভাঙল সরা, গেল পাড়া পাড়া

গিন্নির উপর গিন্নিপনা, ভাঙা পিঁড়েয় আলপনা

গিন্নির পাপে গেরস্থ নষ্ট

গিন্নীর হাতে রাঙ্গাপলা, বৌয়ের হাতে সোনার বালা

গেরস্ত কাওরা শোরে কড়ি

গেল গেল রব ওঠে
pages
1 2 3