জেরুম হাগিদক, আদর্শ শিক্ষক, সমাজসেবক
শিক্ষাই সকল উন্নয়নের চাবিকাঠি। যার কারিগর যোগ্য শিক্ষক। তাই শিক্ষা ও শিক্ষকের যোগ্য মর্যাদা
দিতে শিখতে হবে। একবিংশ শতাব্দির মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে একমাত্র যোগ্য শিক্ষক ও শিক্ষা । তেমনি একজন আদর্শ শিক্ষা কারিগর ছিলেন জেরুম হাগিদক।
জেরুম হাগিদক ১৯২৫ সালে মধুপুরের বেদুরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবার নাম-কমল চাম্বুগং, মায়ের নাম- সোনাজান হাগিদক। গ্রামের মিশনারি স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করে গাবতলি হাইস্কুল থেকে ১৯৫১ সালে মেট্রিক পাস করেন।
মেট্রিক পাস করার পর তিনি দেখলেন, গ্রামের মানুষ শিক্ষায় অনেক পিছিয়ে আছে। তিনি মনে করলেন, শিক্ষায় পিছিয়ে থাকা গ্রামের মানুষদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়া প্রয়োজন। আর তাই তিনি ১৯৫৯ সাল থেকে শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে নিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি দেওয়াচালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৬৩ সালে ময়মনসিংহ জেলায় অবস্থিত ফুলবাড়িয়া উপজেলার দরগাচালা গ্রামে শিক্ষকতা করেন। সুদীর্ঘ বছর হা’বিমার প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে শিক্ষকতা করে ১৯৭২ সালে জয়নাগাছা প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষক থাকাকালীন অবস্থায় অবসর নেন।
**তিনি আদিবাসীদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে কাজ করেছেন। ১২-১৩ বছরের মতো হা’বিমার বন মামলা , জমি সংক্রান্ত সমস্যার লিগ্যাল এইড মোকদ্দমা পরিচালনা করেন। ন্যায় ও শান্তি কমিশনেরও সভাপতি ছিলেন। জিয়াউর রহমানের শাসনামলে গ্রাম সরকার ছিলেন।**
তিনি ১৯৫২ খ্রিঃ ফিলোমিনা কুবি-র সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁর পাঁচ ছেলে ও দুই মেয়ে সন্তান রয়েছে।
প্রবীণ এই শিক্ষক , সমাজ নেতা মনে করেন, শিক্ষাই উন্নয়নের চাবিকাঠি । সবার উচিৎ সন্তানদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলা।