হা'বিমানি রা'সং নিশিকান্ত মাঝি মান্দি লোকগল্পগুলো নাট্যরূপ দিয়েছিলেন তিনি, ছিলেন মানুষ গড়ার কারিগর।
মান্দি লোকগল্প মাৎচা দো-মাৎচাবেৎ, আনাল গোনাল, দিগ্বিবান্দি ইত্যাদি নিজে নাট্যরুপ দিয়ে ...নিজে রিহার্সেল করিয়ে উঠোন মঞ্চে মান্দি লোককাহিনী পরিবেশন করে হা'বিমা এলাকা মাতিয়ে রাখতেন ।
তার নাট্যদল ছিল সাইনামারীতে। সেই গিদ্দিং রানী, গিদ্দিং রাজা খ্যাত মিনিকা সিমসাংন ও বিষ্ণু নকরেক এলাকাবাসীর কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। বিভিন্ন গ্রামে নিমন্ত্রণ পেলে নিশিকান্ত মাঝি তাঁর নাট্যদল নিয়ে হাজির হতেন।
তার নাট্যদল ছিল সাইনামারীতে। সেই গিদ্দিং রানী, গিদ্দিং রাজা খ্যাত মিনিকা সিমসাংন ও বিষ্ণু নকরেক এলাকাবাসীর কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। বিভিন্ন গ্রামে নিমন্ত্রণ পেলে নিশিকান্ত মাঝি তাঁর নাট্যদল নিয়ে হাজির হতেন।
তাঁর জন্ম, বেড়ে ওঠা কাকড়াগুনী গ্রামে। ১৯৩০ সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। বেদুরিয়া সাধুপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করে গাবতলী উচ্চবিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেন।
১৯৬৮ খ্রিঃ থেকে শিক্ষকতার মাধ্যমে তাঁর কর্মজীবনের সূত্রপাত ঘটে। তিনি সুদীর্ঘকাল শিক্ষকতার পেশায় জড়িত থেকে ১৯৮৮ খ্রিঃ অবসর গ্রহণ করেন।
নিশিকান্ত মাঝি অবিকল বিভিন্ন পশু-পাখির মতো ডাক ও শিস দিতে পারতেন। মান্দি গান গাইতেন তিনি । ১৯৮৮ খ্রিঃ বাংলাদেশ টেলিভিশনেও যান তিনি। ১৯৯২-১৯৯৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ বেতারে (সালগিত্তাল) মান্দি গান(আজিয়া,কাথা দকয়া,দরুয়া) পরিবেশন করেন তিনি। মান্দি বাদ্যবাজনা দামা, আদুরী, বাংশি বাজানোও শেখাতেন তিনি।
তিনি ১৯৫৩ খ্রিঃ আইরিনা সাংমাকে বিয়ে করেন।
তিনি ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ না ফেরার দেশে চলে যান। গুণী নিশিকান্ত মাঝির বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।