(১)
বাড়ির কর্তা ৩-৪ ঘন্টা অচেতন থাকার পর জেগে উঠেছে ! এদিকে কর্তার বউ, ছেলে-মেয়েরা হাউমাউ করে কাঁদছে...সবাই একসাথে জানতে চাইছে _কী, কী হয়েছিলো তোমার, বলো ?
কর্তা এক গ্লাস পানি খেয়ে নিয়ে উত্তর দিলো -ও কিছু না। জানইতো তোমরা ...আমি অত্যন্ত ভুলোমনা ! এই তোমাদের নামই তো মনে থাকে না আমার। শ্বাস নিতে ভুলে গিয়েছিলাম্ কি না---চিন্তা করো না তোমরা হ্যাঁ...ঠিক হয়ে যাবো । আর শ্বাস নিতে ভুলে যাবো না
(২)
মা ছেলের মধ্যে কথা হচ্ছে-
ছেলেঃ মা, এই মাছ তো এমনিতেই মরে গেছে! তারপরও তুমি এটাকে নিষ্ঠুরভাবে টুকরো টুকরো করে কাটলে কেন?
মাঃ স্কুলে যাবার সময় হয়ে গেছে তোমার যাও বকবক করো না। ছাগলের মাথা যখন কিনে আনবে তোমার বাবা, চামড়া না ছুলিয়ে আস্ত মাথাই রেধে দিবোনি তোমাকে!
(৩)
(৪)
নেতা
নেতাঃ এ বছরের ইলেকশানে এমপি নির্বাচিত হলে নৌ চলাচলের সুবন্দোবস্ত করে দেব।
শ্রোতাদের একজনঃ এই এলাকায় তো নদী নাই। পুকুরে করবেন?
নেতাঃ পুকুরে কি নৌকা চলেরে গরু? নদী নাই তো কী, খনন করবো!
(৫)
দুই বেচেলার মেসে থাকে। একসাথে পালা করে রেঁধে খায়। ভাত সিদ্ধ শেষ প্রায় ...এমন সময় একজন ভাতে ডিম দিল। তাই নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা হচ্ছে-
১ম জনঃ এই---এই কি করলি?
২য় জনঃ কি করলাম আবার ! ডিম ভর্তা করমু ...তাই ভাতে ডিম দিলাম...সিদ্ধ হোক।
১ম জনঃ তো, ডিমডা একটু ধুইয়্যা দিবি না ?
২য় জনঃ ধুইত্তারানি...ডিম থাকে মুরগীর পেটে রাজার হালে..., তারে আবার ধোওন লাগে কিয়েরল্যাই ?
(৬)
জরিপে এসেছে গ্রামে। বাড়ি বাড়ি ঘুরে নাম, ঠিকানা সংগ্রহ করছে। কথা হচ্ছে জরিপকারী ও জনৈক ব্যাক্তির মধ্যে-
জরিপকারীঃ কি নাম দাদার ?
জনৈক ব্যক্তিঃ লিখো।
জরিপকারীঃ আচ্ছা লিখছি ...নাম বলেন ?
জনৈক ব্যক্তিঃ লিখো।
জরিপকারীঃ লিখবইতো দাদা, কাইন্ডলি, আপনার নাম বলেন।
জনৈক ব্যক্তিঃ আমার নামই তো বলছি...আমার নামই 'লিখো' !
(৭)
কেন গেছে ভোট দিতে। পুলিং অফিসারের সাথে কথা হচ্ছে কেন-র।
পুলিং অফিসারঃ আপনার নাম কি ?
কেনঃ কেন ।
পুলিং অফিসারঃ আপনার নাম বলেন, আর টিপসহি অথবা স্বাক্ষর লাগবে আপনার।নাম বলুন ?
কেনঃ কেন !
পুলিং অফিসারঃ সামান্য রেগে- নাম জিজ্ঞেস করছি , আপনি কেন, কেন বলে উলটো কি জিজ্ঞেস করছেন ? ভোট দিতে হলে আপনার নাম, স্বাক্ষর বা টিপসহি লাগবে জানেন না ? কেন-কেন করছেন ...
কেনঃ আমি তো আমার নামই বলছি স্যার, আমার নামই 'কেন'।
(৮)
(৯)
(১০)
x-mas. খানাপিনা... ড্রিঙ্ক চলছে। ছেলে লক্ষ্য করছে তার বাবা বেশি খেয়ে ফেলেছে আর অদ্ভুত অঙ্গভঙ্গি করে নাচছে। ছেলে চিন্তা করলো না আর না, বাবাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। হুট করে কাঁধে তুলে বাড়ির দিকে নেয়া শুরু করলো। বাবা খুব বিরক্ত হয়ে গাল দিচ্ছে ছেলেকে-
বাবাঃ তুমি জানো, আমি কে?
ছেলেঃ আমার বাবা।
বাবাঃ কিন্তু তুমি আমাকে অপমান করলে।
ছেলেঃ কীভাবে?
বাবাঃ কীভাবে? এতগুলো মানুষের সামনে থেকে আমাকে তুলে এনে___আমি মাস্টার ছিলাম।
ছেলেঃ নাচের মাস্টার?
বাবাঃ হা-ধুত, ইস্কুলের------ ইস্কুলের মাস্টার ছিলাম!
(১১)
নতুন বউ সাবান দিয়ে মাছ ধুইছে। তা দেখে স্বামী অবাক। কথা হচ্ছে দুজনের মধ্যে-
.
স্বামীঃ এটা কি করছো, সাবান দিয়ে কি কেউ মাছ ধোয়?
নতুন বউঃ কেন ? তুমি কি শরীর মইলা করে এসে সাবান দিয়ে গোছল করো না ? ময়লা পাগার থেকে মাছটা ধরে এনেছো...ভালো করে না ধুয়ে কি রান্না করবো? অত কাইচ্ছত আমি না হুম...।
(১২)
দুই টাক্কু । একজন সারাদিনি টুপি পরে থাকে। আরেকজন গামছা দিয়ে পেঁচিয়ে রাখে মাথা। দুজনকে একসঙ্গে পেয়ে অন্য আরেকজন দুই চান্দুর গামছা, টুপি হঠাত খুলে দূরে ছুড়ে মেরে বলছে, ফুটবল মাঠে বাতাস না লাগলে কি ঘাস জন্মাইবো...আর ঘাস না থাকলে কি ফুটবল খেলা হইবো...?
(১৩)
(১৪)
(১৫)
.
একমাত্র ছেলের অসুখ।বাবা ছেলের পাশে বসে আছে। কথা হচ্ছে বাবা ও ছেলের মধ্যে-
ছেলেঃ আব্বা ?
বাবাঃ বলো, বাবা -
ছেলেঃ আমি তো তোমাদের একমাত্র ছেলে না?
বাবাঃ তা কি আর বলতে! তুমি আমাদের ছেলে , আর মেয়েও । তুমি ছাড়া আমাদের তো আর সন্তান নেই।
ছেলেঃ আচ্ছা বাবা?
বাবাঃ বলো-
ছেলেঃ আমি মেয়ে হলে কি আমাকে বিয়ে দিয়ে দিতে ?
বাবাঃ তা তো ঠিক। তোমার বয়সে মেয়েরা বিয়ের উপযুক্ত হয়!
ছেলেঃ তাহলে আমাকে বিয়ে দিচ্ছো না কেন? একা একা আর ভালো লাগে না...।
(১৬)
বাড়ির কর্তা ৩-৪ ঘন্টা অচেতন থাকার পর জেগে উঠেছে ! এদিকে কর্তার বউ, ছেলে-মেয়েরা হাউমাউ করে কাঁদছে...সবাই একসাথে জানতে চাইছে _কী, কী হয়েছিলো তোমার, বলো ?
কর্তা এক গ্লাস পানি খেয়ে নিয়ে উত্তর দিলো -ও কিছু না। জানইতো তোমরা ...আমি অত্যন্ত ভুলোমনা ! এই তোমাদের নামই তো মনে থাকে না আমার। শ্বাস নিতে ভুলে গিয়েছিলাম্ কি না---চিন্তা করো না তোমরা হ্যাঁ...ঠিক হয়ে যাবো । আর শ্বাস নিতে ভুলে যাবো না
(২)
মা ছেলের মধ্যে কথা হচ্ছে-
ছেলেঃ মা, এই মাছ তো এমনিতেই মরে গেছে! তারপরও তুমি এটাকে নিষ্ঠুরভাবে টুকরো টুকরো করে কাটলে কেন?
মাঃ স্কুলে যাবার সময় হয়ে গেছে তোমার যাও বকবক করো না। ছাগলের মাথা যখন কিনে আনবে তোমার বাবা, চামড়া না ছুলিয়ে আস্ত মাথাই রেধে দিবোনি তোমাকে!
(৩)
ছাত্র ও শিক্ষকের মধ্যে কথা হচ্ছে-
স্যারঃ তুমি বড় হয়ে কী করবে?
ছাত্রঃ বিয়ে।
স্যারঃ আমি বোঝাতে চাইছি, বড় হয়ে তুমি কী হবে?
ছাত্রঃ জামাই।
স্যারঃ আরে আমি বলতে চাইছি, তুমি বড়
হয়ে কী পেতে চাও?
ছাত্রঃ বউ।
স্যারঃ গাধা, তুমি বড় হয়ে মা- বাবার জন্য কী করবে?
ছাত্রঃ বউ নিয়ে আসব।
স্যারঃ গর্দভ, তোমার মা-বাবা তোমার কাছে কী চায়?
ছাত্রঃ নাতি-নাতনি।
স্যারঃ ইয়া খোদা!…তোমার জীবনের লক্ষ্য কী?
ছাত্রঃ বিয়ে।
স্যার অজ্ঞান…।
স্যারঃ আমি বোঝাতে চাইছি, বড় হয়ে তুমি কী হবে?
ছাত্রঃ জামাই।
স্যারঃ আরে আমি বলতে চাইছি, তুমি বড়
হয়ে কী পেতে চাও?
ছাত্রঃ বউ।
স্যারঃ গাধা, তুমি বড় হয়ে মা- বাবার জন্য কী করবে?
ছাত্রঃ বউ নিয়ে আসব।
স্যারঃ গর্দভ, তোমার মা-বাবা তোমার কাছে কী চায়?
ছাত্রঃ নাতি-নাতনি।
স্যারঃ ইয়া খোদা!…তোমার জীবনের লক্ষ্য কী?
ছাত্রঃ বিয়ে।
স্যার অজ্ঞান…।
নেতা
নেতাঃ এ বছরের ইলেকশানে এমপি নির্বাচিত হলে নৌ চলাচলের সুবন্দোবস্ত করে দেব।
শ্রোতাদের একজনঃ এই এলাকায় তো নদী নাই। পুকুরে করবেন?
নেতাঃ পুকুরে কি নৌকা চলেরে গরু? নদী নাই তো কী, খনন করবো!
(৫)
দুই বেচেলার মেসে থাকে। একসাথে পালা করে রেঁধে খায়। ভাত সিদ্ধ শেষ প্রায় ...এমন সময় একজন ভাতে ডিম দিল। তাই নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা হচ্ছে-
১ম জনঃ এই---এই কি করলি?
২য় জনঃ কি করলাম আবার ! ডিম ভর্তা করমু ...তাই ভাতে ডিম দিলাম...সিদ্ধ হোক।
১ম জনঃ তো, ডিমডা একটু ধুইয়্যা দিবি না ?
২য় জনঃ ধুইত্তারানি...ডিম থাকে মুরগীর পেটে রাজার হালে..., তারে আবার ধোওন লাগে কিয়েরল্যাই ?
(৬)
জরিপে এসেছে গ্রামে। বাড়ি বাড়ি ঘুরে নাম, ঠিকানা সংগ্রহ করছে। কথা হচ্ছে জরিপকারী ও জনৈক ব্যাক্তির মধ্যে-
জরিপকারীঃ কি নাম দাদার ?
জনৈক ব্যক্তিঃ লিখো।
জরিপকারীঃ আচ্ছা লিখছি ...নাম বলেন ?
জনৈক ব্যক্তিঃ লিখো।
জরিপকারীঃ লিখবইতো দাদা, কাইন্ডলি, আপনার নাম বলেন।
জনৈক ব্যক্তিঃ আমার নামই তো বলছি...আমার নামই 'লিখো' !
(৭)
কেন গেছে ভোট দিতে। পুলিং অফিসারের সাথে কথা হচ্ছে কেন-র।
পুলিং অফিসারঃ আপনার নাম কি ?
কেনঃ কেন ।
পুলিং অফিসারঃ আপনার নাম বলেন, আর টিপসহি অথবা স্বাক্ষর লাগবে আপনার।নাম বলুন ?
কেনঃ কেন !
পুলিং অফিসারঃ সামান্য রেগে- নাম জিজ্ঞেস করছি , আপনি কেন, কেন বলে উলটো কি জিজ্ঞেস করছেন ? ভোট দিতে হলে আপনার নাম, স্বাক্ষর বা টিপসহি লাগবে জানেন না ? কেন-কেন করছেন ...
কেনঃ আমি তো আমার নামই বলছি স্যার, আমার নামই 'কেন'।
(৮)
ময়না মতি
-------------
তখন ডিজিটাল যুগ শুরু হয়নি। বিনোদন বলতে সিনেমা দেখা, পালা গান দেখাই ভরসা ছিল। সদ্য বিবাহিত দম্পতিরা তখন সিনেমা দেখতে হলে যেত। এটা যেন ছিল গরিবের হানিমুনি। তো সদ্য বিবাহিত ময়না ও মতিও গেল সিনেমা দেখতে রিক্সায় করে। কথা হচ্ছে মতির টিকেট কাউন্টারের লোকের সাথে-
.
মতিঃ কি সিনেমা চলতাসে ভাই ?
কাউন্টারের লোকঃ ময়না মতি।
মতিঃ ভালা কইরা কইন ভাই ?
কাউন্টারের লোকঃ নুতন সিনেমা -ময়না মতি।
মতিঃ আমার লগে রেজলামি করতাসুইন? আমার নাম মতি আর আমার বউয়ের নাম ময়না হওয়ার কারণে সিনেমার নামও ময়না মতি অইবো...রেজলা করতাসুইন.?..যাইন যাইন...তোমরার সিনেমাই দেখমু না ...।
-------------
তখন ডিজিটাল যুগ শুরু হয়নি। বিনোদন বলতে সিনেমা দেখা, পালা গান দেখাই ভরসা ছিল। সদ্য বিবাহিত দম্পতিরা তখন সিনেমা দেখতে হলে যেত। এটা যেন ছিল গরিবের হানিমুনি। তো সদ্য বিবাহিত ময়না ও মতিও গেল সিনেমা দেখতে রিক্সায় করে। কথা হচ্ছে মতির টিকেট কাউন্টারের লোকের সাথে-
.
মতিঃ কি সিনেমা চলতাসে ভাই ?
কাউন্টারের লোকঃ ময়না মতি।
মতিঃ ভালা কইরা কইন ভাই ?
কাউন্টারের লোকঃ নুতন সিনেমা -ময়না মতি।
মতিঃ আমার লগে রেজলামি করতাসুইন? আমার নাম মতি আর আমার বউয়ের নাম ময়না হওয়ার কারণে সিনেমার নামও ময়না মতি অইবো...রেজলা করতাসুইন.?..যাইন যাইন...তোমরার সিনেমাই দেখমু না ...।
সিনেমা না দেখেই রেগে বাড়ি ফিরে চলে গেল স্বামী-স্ত্রী 'ময়না মতি' ।
ছেলে বাবার কাছে টাকা চেয়ে না পেয়ে গাছ বিক্রি করে দিয়েছে। একই গাছ বাবাও বিক্রি করেছে অন্য মহাজনের কাছে। এদিকে ছেলের মহাজন দা-কুড়াল-করাত নিয়ে গাছ কাটতে পৌঁছে গেছে। অন্যদিকে ছেলের বাবার মহাজনও এসে হাজির। কথা হচ্ছে বাবার মহাজন ও ছেলের মধ্যে-
মহাজনঃ আইম্নের বাবার কাছ থিকা আমি গাছ কিনসি আইম্নে গাছডা বেচলাইন কেমনে ? গাছ কাটতে না কইরা দিলো আইম্নের বাবা...
ছেলেঃ আমি গাছ বেচছি বেচছিই। বাবা আবার আমারে গাছ বেচার না করার কেরা। বাবারে যাইয়া কও...আমি তার বাপের গাছ বেচি নাই, আমি আমার বাবার গাছ বেচছি ...
x-mas. খানাপিনা... ড্রিঙ্ক চলছে। ছেলে লক্ষ্য করছে তার বাবা বেশি খেয়ে ফেলেছে আর অদ্ভুত অঙ্গভঙ্গি করে নাচছে। ছেলে চিন্তা করলো না আর না, বাবাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। হুট করে কাঁধে তুলে বাড়ির দিকে নেয়া শুরু করলো। বাবা খুব বিরক্ত হয়ে গাল দিচ্ছে ছেলেকে-
বাবাঃ তুমি জানো, আমি কে?
ছেলেঃ আমার বাবা।
বাবাঃ কিন্তু তুমি আমাকে অপমান করলে।
ছেলেঃ কীভাবে?
বাবাঃ কীভাবে? এতগুলো মানুষের সামনে থেকে আমাকে তুলে এনে___আমি মাস্টার ছিলাম।
ছেলেঃ নাচের মাস্টার?
বাবাঃ হা-ধুত, ইস্কুলের------ ইস্কুলের মাস্টার ছিলাম!
(১১)
নতুন বউ সাবান দিয়ে মাছ ধুইছে। তা দেখে স্বামী অবাক। কথা হচ্ছে দুজনের মধ্যে-
.
স্বামীঃ এটা কি করছো, সাবান দিয়ে কি কেউ মাছ ধোয়?
নতুন বউঃ কেন ? তুমি কি শরীর মইলা করে এসে সাবান দিয়ে গোছল করো না ? ময়লা পাগার থেকে মাছটা ধরে এনেছো...ভালো করে না ধুয়ে কি রান্না করবো? অত কাইচ্ছত আমি না হুম...।
(১২)
দুই টাক্কু । একজন সারাদিনি টুপি পরে থাকে। আরেকজন গামছা দিয়ে পেঁচিয়ে রাখে মাথা। দুজনকে একসঙ্গে পেয়ে অন্য আরেকজন দুই চান্দুর গামছা, টুপি হঠাত খুলে দূরে ছুড়ে মেরে বলছে, ফুটবল মাঠে বাতাস না লাগলে কি ঘাস জন্মাইবো...আর ঘাস না থাকলে কি ফুটবল খেলা হইবো...?
(১৩)
সুন্দরী শিক্ষিকা Aim in life পড়াচ্ছেন ছাত্রদের। একসময় ছাত্রদের বলতে বললেন কার কি Aim in life। একে একে সবাই বলল বড় হয়ে কে কি হবে।শুধু একজন ছাত্র চুপ করে বসে আছে। শিক্ষিকা তার দিকে এগিয়ে এসে বললেন
- কি হ্যান্ডসাম বয়, বলো, তুমি কি হতে চাও?
ছেলে আস্তে করে কিন্তু শিক্ষিকা যেন শুনতে পায় এমনভাবে বললো
-আপনার স্বামী ।
ছাত্রটির Aim in life শুনে শিক্ষিকা অবাক !
দুই বন্ধু দাওয়াত খেতে গেছে। বর্ষাকাল। প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে দাওয়াত খেতে খেতে বেশ রাত হয়ে গেছে। ঘুটঘুটে মেঘ অন্ধকার রাতে এখন ফিরবে কীভাবে। দুজন মুখ চাওয়া চাওয়ি করে নিল। দুজনই ভূতে ভয় পায় একথা ইস্টি বাড়ির লোকজন যেন জানতে না পারে এ ব্যাপারেও সাবধান তারা। আর কি করা, বিদায় নিয়ে রাস্তায় উঠে এলো। কাঁচা কাদাময় রাস্তা। দুজন পরস্পরের হাত এমন শক্ত করে ধরলো, যেন কেউ বেঁধে দিয়েছে। দুনিয়ার দেবতার নাম নিয়ে হাঁটা শুরু করলো। কাদায় ওদের পা ফেলার ঝপঝাপ ঝপঝাপ শব্দ হচ্ছে... ফাঁকে ফাঁকে- অই , হাত ছাড়বিনা কিন্তু...। পাতা পড়ার শব্দ হলে, শেয়াল সামনে এসে পড়লে ভয়ে দু'জন পরস্পরকে জোরে জড়িয়ে ধরছে। আর যিশু যিশু করছে।
গভীর জঙ্গলের কাঁচা রাস্তায় বর্ষণরত দিনে হাঁটার যাদের অভিজ্ঞতা আছে তারা জানে। কাদা রাস্তায় হাঁটা কত কষ্টের। এভাবে প্রায় ১ দেড় ঘন্টা হাঁটার পর পৌছলো তারা গন্তব্যে। দুজনেই খেয়াল ক'রে দেখে দুজনের পায়েই জুতা নাই।
১ম জন বলছে,
-হে এ, আমার তো পায়ে জুতাই নাইকা।
২য় জনও বলছে,
-হ' আমারো নাই।
১ম জনঃ
- যাউক জুতা, জান নিয়া আইতে পারসি... ধন্যাবাদ যিশু।
.
.
ঘুটঘুটে অন্ধকারে সদ্য জুতা হারানো হাস্যরত দুই বন্ধুর দাঁত চকচক করে জ্বলছিল তখন।
.
একমাত্র ছেলের অসুখ।বাবা ছেলের পাশে বসে আছে। কথা হচ্ছে বাবা ও ছেলের মধ্যে-
ছেলেঃ আব্বা ?
বাবাঃ বলো, বাবা -
ছেলেঃ আমি তো তোমাদের একমাত্র ছেলে না?
বাবাঃ তা কি আর বলতে! তুমি আমাদের ছেলে , আর মেয়েও । তুমি ছাড়া আমাদের তো আর সন্তান নেই।
ছেলেঃ আচ্ছা বাবা?
বাবাঃ বলো-
ছেলেঃ আমি মেয়ে হলে কি আমাকে বিয়ে দিয়ে দিতে ?
বাবাঃ তা তো ঠিক। তোমার বয়সে মেয়েরা বিয়ের উপযুক্ত হয়!
ছেলেঃ তাহলে আমাকে বিয়ে দিচ্ছো না কেন? একা একা আর ভালো লাগে না...।
(১৬)
ঘরজামাই, শ্বশুর দুইজনের নামই জবা। একজনকে ডাকলে দুজনই ঘর থেকে বের হয়ে আসে। কেউ আবার জামাই শ্বশুরের একই নাম হওয়ার কারণে বার বার তাদের বাড়ি আসে আর জবা, বাড়িতে নাকি..?. বলে ডাক দেয় । আবার দুজনেই ঘর থেকে বের হয়। তারপর চলে হাসাহাসি। মা-মেয়েও জামাই শ্বশুরের এ অবস্থা দেখে মজা পায়। অবস্থা বেগতিক।
নিরুপায় শ্বশুর জামাই দুজনে বসে কথা বললো তা নিয়ে। কী করা যায়...! সলাপরামর্শ চলছে দুজনের মধ্যে।
জামাইঃ আমি বরং শহরে চলে যাই কাজ খুঁজতে । সেখানে নাম বদলে নিবো। দুজনের নামই যখন ফুলের নাম, আমি সেখানে গিয়ে নিবো মশলার নাম।
শ্বশুরঃ দেইখ্যো আবার, পিঁয়াজ নাম নিওনা। তাইলে মাইনসে আবার ক'বো...অই তো, পিঁয়াজের শ্বশুর রসুন যাইতাসে।
(১৭)
আক্কেল ও মক্কেল দুই ভাই। দেখতেও প্রায় এক। আলাদা করে বোঝা যায় না কোনটা মক্কেল কোনটা আক্কেল। এদিকে , বাবাও একই ড্রেস বানিয়ে দেয়। বাইরে বেরুলে অসুবিধায় পড়ে আক্কেল ও মক্কেল। কারণ, আক্কেলকেও মক্কেল মনে করে- মক্কেল কই যাও, বলে জিজ্ঞেস করছে বন্ধুরা । মক্কেলের বেলায়ও তাই। বড় হলে ওরাও প্রেম করবে, ওদেরও প্রেমিকা থাকবে ...বিয়ে করবে ওরাও। তখন প্রেমিকা কিংবা বউ যদি আলাদাভাবে চিনতে না পারে তাদের ভীষণ মুশকিল হবে। দুই ভাই আক্কেল মক্কেল সিদ্ধান্ত নিল আজই আব্বাজানের সাথে এই নিয়ে আলোচনা করবে। এর একটা বিহীত হওয়া চাই চাই। স-ব কথা শুনে বাবা বলছেন, শোন, তোমরা এখনো খুব ছোট। মাত্র কেলাস টু-থিরিতে পড়ছো। নাম বদলে নেওয়ার মেলা সময় আসে। এই বয়সেই বউ, প্রেমিকার চিন্তাই বা মাথায় আসলো কেমনে তোমাগো। তবে আমার নাম দেওয়া বাদ দিতে পারবানা। হ্যা----একটা কাজ করতে পারো...দুজনের মধ্যে একজন নামের আগে 'বে' যোগ কইরা নেও। বাবার কথা শুনে আক্কেল কোনমতেই 'বে' যোগ করতে রাজি হলো না। বাধ্য হয়ে মক্কেলকে 'বে' যোক করে নিতে হলো। এরপর তার নাম বদলে হয়ে গেলো বে✚মক্কেল বেমক্কেল ।
(১৮)
গপ্পো(অণুগল্প)
.
একমাত্র ছেলের অসুখ।বাবা ছেলের পাশে বসে আছে। কথা হচ্ছে বাবা ও ছেলের মধ্যে-
ছেলেঃ আব্বা ?
বাবাঃ বলো, বাবা -
ছেলেঃ আমি তো তোমাদের একমাত্র ছেলে না?
বাবাঃ তা কি আর বলতে! তুমি আমাদের ছেলে , আর মেয়েও । তুমি ছাড়া আমাদের তো আর সন্তান নেই।
ছেলেঃ আচ্ছা বাবা?
বাবাঃ বলো-
ছেলেঃ আমি মেয়ে হলে কি আমাকে বিয়ে দিয়ে দিতে ?
বাবাঃ তা তো ঠিক। তোমার বয়সে মেয়েরা বিয়ের উপযুক্ত হয়!
ছেলেঃ তাহলে আমাকে বিয়ে দিচ্ছো না কেন? একা একা আর ভালো লাগে না...।
(১৯)
শ্বশুরঃ দেইখ্যো আবার, পিঁয়াজ নাম নিওনা। তাইলে মাইনসে আবার ক'বো...অই তো, পিঁয়াজের শ্বশুর রসুন যাইতাসে।
(১৭)
আক্কেল ও মক্কেল দুই ভাই। দেখতেও প্রায় এক। আলাদা করে বোঝা যায় না কোনটা মক্কেল কোনটা আক্কেল। এদিকে , বাবাও একই ড্রেস বানিয়ে দেয়। বাইরে বেরুলে অসুবিধায় পড়ে আক্কেল ও মক্কেল। কারণ, আক্কেলকেও মক্কেল মনে করে- মক্কেল কই যাও, বলে জিজ্ঞেস করছে বন্ধুরা । মক্কেলের বেলায়ও তাই। বড় হলে ওরাও প্রেম করবে, ওদেরও প্রেমিকা থাকবে ...বিয়ে করবে ওরাও। তখন প্রেমিকা কিংবা বউ যদি আলাদাভাবে চিনতে না পারে তাদের ভীষণ মুশকিল হবে। দুই ভাই আক্কেল মক্কেল সিদ্ধান্ত নিল আজই আব্বাজানের সাথে এই নিয়ে আলোচনা করবে। এর একটা বিহীত হওয়া চাই চাই। স-ব কথা শুনে বাবা বলছেন, শোন, তোমরা এখনো খুব ছোট। মাত্র কেলাস টু-থিরিতে পড়ছো। নাম বদলে নেওয়ার মেলা সময় আসে। এই বয়সেই বউ, প্রেমিকার চিন্তাই বা মাথায় আসলো কেমনে তোমাগো। তবে আমার নাম দেওয়া বাদ দিতে পারবানা। হ্যা----একটা কাজ করতে পারো...দুজনের মধ্যে একজন নামের আগে 'বে' যোগ কইরা নেও। বাবার কথা শুনে আক্কেল কোনমতেই 'বে' যোগ করতে রাজি হলো না। বাধ্য হয়ে মক্কেলকে 'বে' যোক করে নিতে হলো। এরপর তার নাম বদলে হয়ে গেলো বে✚মক্কেল বেমক্কেল ।
(১৮)
গপ্পো(অণুগল্প)
.
একমাত্র ছেলের অসুখ।বাবা ছেলের পাশে বসে আছে। কথা হচ্ছে বাবা ও ছেলের মধ্যে-
ছেলেঃ আব্বা ?
বাবাঃ বলো, বাবা -
ছেলেঃ আমি তো তোমাদের একমাত্র ছেলে না?
বাবাঃ তা কি আর বলতে! তুমি আমাদের ছেলে , আর মেয়েও । তুমি ছাড়া আমাদের তো আর সন্তান নেই।
ছেলেঃ আচ্ছা বাবা?
বাবাঃ বলো-
ছেলেঃ আমি মেয়ে হলে কি আমাকে বিয়ে দিয়ে দিতে ?
বাবাঃ তা তো ঠিক। তোমার বয়সে মেয়েরা বিয়ের উপযুক্ত হয়!
ছেলেঃ তাহলে আমাকে বিয়ে দিচ্ছো না কেন? একা একা আর ভালো লাগে না...।
(১৯)
হাওরে অবৈধভাবে মাছ ধরার কারেন্ট জাল জব্দ করার জন্য পুলিশি অভিযান চলছে। মক্কেলের বাড়িতে কারেন্ট জাল পেয়েছে পুলিশ।
পুলিশঃ আপনাকে আমরা গ্রেফতার করছি |
মক্কেলঃ কেন ?
পুলিশঃ কারণ অবৈধভাবে মাছ ধরার কারেন্ট জাল পেয়েছি আমরা।
মক্কেলঃ কিন্তু মাছ তো পান নাই ?
পুলিশঃ তারপরও এরেষ্ট করবো |
মক্কেলঃ তাহলে তো আমিও আপনাদের নামে ধর্ষণ মামলা দিতে পারি !!!
পুলিশঃ কিন্তু আমরাতো কাউকে ধর্ষণ করিনি !!!
মক্কেলঃ ধর্ষণ না করেন, ধর্ষণ করার মেশিনতো সাথে আছে..। মাছ মারি নাই শুধু কারেন্ট জাল দেখেই আমাকে যদি আপনারা এরেস্ট করতে পারেন ...তাহলে ধর্ষণ না করলেও আমি কেন আপনাদের ধর্ষণ মামলা দিতে পারবো না ...?
মক্কেলঃ কেন ?
পুলিশঃ কারণ অবৈধভাবে মাছ ধরার কারেন্ট জাল পেয়েছি আমরা।
মক্কেলঃ কিন্তু মাছ তো পান নাই ?
পুলিশঃ তারপরও এরেষ্ট করবো |
মক্কেলঃ তাহলে তো আমিও আপনাদের নামে ধর্ষণ মামলা দিতে পারি !!!
পুলিশঃ কিন্তু আমরাতো কাউকে ধর্ষণ করিনি !!!
মক্কেলঃ ধর্ষণ না করেন, ধর্ষণ করার মেশিনতো সাথে আছে..। মাছ মারি নাই শুধু কারেন্ট জাল দেখেই আমাকে যদি আপনারা এরেস্ট করতে পারেন ...তাহলে ধর্ষণ না করলেও আমি কেন আপনাদের ধর্ষণ মামলা দিতে পারবো না ...?
(২০)
মক্কেল গেছে ফটো তুলতে স্টুডিওতে। ফটো তোলার পর স্টুডিওর ক্যামেরাম্যানের সাথে কথা হচ্ছে মক্কেলের-
মক্কেলঃ পাঁচ ফুট সাইজ পটো দিও।
ক্যামেরাম্যানঃ পারব না।
মক্কেলঃ আমার জরুরী দরকার। এহনি ।
ক্যামেরাম্যানঃ অত বড় প্রিন্টার কি আমার আসে ? আইপ্নে কইতাসেন পাঁচ ফুট সাইজ্, না কি পাশ পোর্ট সাইজ ?
মক্কেলঃ হ-হ, হ-হ, পাস পুট সাইজ...তাড়াতাড়ি কইতে গিয়া পাঁচ ফুট কইয়া হালাইসি...হি হি
মক্কেলঃ পাঁচ ফুট সাইজ পটো দিও।
ক্যামেরাম্যানঃ পারব না।
মক্কেলঃ আমার জরুরী দরকার। এহনি ।
ক্যামেরাম্যানঃ অত বড় প্রিন্টার কি আমার আসে ? আইপ্নে কইতাসেন পাঁচ ফুট সাইজ্, না কি পাশ পোর্ট সাইজ ?
মক্কেলঃ হ-হ, হ-হ, পাস পুট সাইজ...তাড়াতাড়ি কইতে গিয়া পাঁচ ফুট কইয়া হালাইসি...হি হি
(২১)
পুকুরের পানি ঘোলা। মক্কেল সকাল সকাল সেই পুকুরের ঘোলা পানিতেই গোছল করতে নেমে পড়লো। পুকুরে বাতাস খেতে এসে তা দেখে ফেলেছে আবুল খাঁ । কথা হচ্ছে দুজনের মধ্যে-
আবুঃ মক্কেল, তুই আর পানি পাইলি না ---ময়লা পানিতে গোসল করতাসস ?
মক্কেলঃ ( নতুন লাইফবয় সাবান দেখিয়ে ) ময়লা পরিস্কার করার লিগাই তো সাবান। হে, এই সাবান দিয়া জোরে জোরে ঘষা দিলে ময়লা কই পালাইবো.........।
আবুঃ মক্কেল, তুই আর পানি পাইলি না ---ময়লা পানিতে গোসল করতাসস ?
মক্কেলঃ ( নতুন লাইফবয় সাবান দেখিয়ে ) ময়লা পরিস্কার করার লিগাই তো সাবান। হে, এই সাবান দিয়া জোরে জোরে ঘষা দিলে ময়লা কই পালাইবো.........।
(২২)
মক্কেলের বউ গোছল করতে বাথরুমে ঢুকেছে । এই ফাঁকে মক্কেল চিন্তা করল মহিলা সেজে বউকে চমকে দেবে। যা ভাবা তাই কাজ। এদিকে গোছলখানা থেকে বের হয়ে মক্কেলের বউ সত্যি চমকে গেছে। ড্রেসিং টেবিলের সামনে এক মহিলা বসে আছে। তাও তারই কাপড়চোপড় পরে।
.
স্ত্রীঃ কে তুমি ? কার বউ ?
মক্কেলঃ মক্কেলের বউ !
স্ত্রীঃ মক্কেলের বউ তো আমি , তুমি কী করে মক্কেলের বউ হও হে----------দেখি তো মুখটা ! এ্যা-----তুই !
মক্কেলঃ মেয়ে সেজে দেখলাম, কেমন সেজেছি তাই বল ?
স্ত্রীঃ মেয়ে সাজতে চাও আমিই সাজিয়ে দিতাম। কাজল পরেছো ঠোঁটে, ঠোঁট পালিস লাগাইসো চোখে...ব্লাউজ পরসো উলটা।
(২৩)
মক্কেলঃ আজকাল আমার কি যে হলো ?
স্ত্রীঃ কী হয়েছে , অসুখ ?
মক্কেলঃ না।
স্ত্রীঃ তাহলে কি ?
মক্কেলঃ যার সাথে কথা বলি তাকে দেখতে পাই না...।
স্ত্রীঃ ( মনে মনে- ভূতে ধরেনি তো ) এই যে আমি সামনে আছি, কথা বলছি, দেখতে পাওনা ?
মক্কেলঃ ধ্যাততেরিকি, অত কিছু না...মোবাইল দিয়ে কথা বললে যার সাথে কথা বলি তাকে দেখতে পাই না।
(২৪)
মক্কেল বড় হয়ে গেছে। বিয়ে করতে চায় এখন সে। বয়াতি বাবার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। কথা হচ্ছে দুজনের-
মক্কেলঃ আর কত, আমার বিয়ার বয়স হইসে আব্বা!
বাবাঃ তাতো ঠিক। আগে মেয়ে পছন্দ করো।
মক্কেলঃ মেয়ে পছন্দ করাই।
বাবাঃ কারে পছন্দ করসো?
মক্কেলঃ আমাদের কাজের ভূয়া!
বাবাঃ বল কি! তোমার চেয়ে বিশ বছরের বড়। তাছাড়া-------
মক্কেলঃ তুমিই তো গান গাও্ পিরিতি জাত কুল মানে না, বয়স মানে না!
.
খেবলা ছেলের কথা শুনে বয়াতির মাথায় হাত...।
(২৫)
বাবা নতুন বিয়ে করেছে মাখন তা জানে না। হাত খরচ চাইতে গিয়ে কথা হচ্ছে বাবা ছেলের মধ্যে-
মাখনঃ বাবা, আজকের হাত খরচ দাও!
বাবাঃ (৫০ টাকা দিয়ে) এই নাও।
মাখনঃ রোজ হাত খরচা ১০০ করে দাও আজ ৫০ টাকা কেন?
বাবাঃ তোমার জন্য আমি নতুন মা নিয়ে এসেছি শোননি? তাই খরচ বেড়ে গেছে, এখন থেকে ৫০ টাকাই পাবে।
মাখনঃ ছিঃ ছিঃ বাবা ছিঃছিঃ! আমার হাত খরচা থেকে ৫০ টাকা মেরে নতুন বউ পালবে? এ আমি মেনে নিব না--------
(২৬)
নতুন প্যান্ট, নতুন ঘড়ি পরে ভাব নিয়ে চা স্টলে বসে বাসি পত্রিকা পড়ছে মক্কেল। এদিকে দূর থেকে তা খেয়াল করে বন্ধুরা আসছে তাকে খেপানোর জন্য। তিনজন মিলে ঘন ঘন টাইম জিজ্ঞেস করাতে বিরক্ত হয়ে শেষে মক্কেল বলছে-
বুঝছি তো, নিজেরা তো কিনবার পাবানা.... আমি মক্কেল চৌধুরী ঘড়ি পরসি কারণে তোমরার চোক্ষে পড়ল? (রাগ করে ঘড়ি খুলে প্যান্টের পকেটে ঢুকিয়ে) যা শালা----- তোমরার সামনে আর ঘড়ি পরমু না। হারামজাদারা.......
(২৭)
মক্কেল গেছে সব্জি কিনতে। দেখে দোকানী সব্জিতে পানি ছিটিয়ে দিচ্ছে। কথা হচ্ছে মক্কেল ও সব্জিওলার সাথে -
মক্কেলঃ সব্জিগুলা অজ্ঞান অইয়া রইসে কাস্টমার দেইখা পানি দিয়া জ্ঞান ফিরাইতাসুইন না ? না, এগুলা মরা, কিনন যাব না। আমি তাজা কিনমু।
দোকানীঃ ইডা কী কইন মোড়ল? মাছ মাংসও তো মরাই খায়, নাকি আপনে আমানি রাইন্ডা খাইন?
মক্কেলের বউ গোছল করতে বাথরুমে ঢুকেছে । এই ফাঁকে মক্কেল চিন্তা করল মহিলা সেজে বউকে চমকে দেবে। যা ভাবা তাই কাজ। এদিকে গোছলখানা থেকে বের হয়ে মক্কেলের বউ সত্যি চমকে গেছে। ড্রেসিং টেবিলের সামনে এক মহিলা বসে আছে। তাও তারই কাপড়চোপড় পরে।
.
স্ত্রীঃ কে তুমি ? কার বউ ?
মক্কেলঃ মক্কেলের বউ !
স্ত্রীঃ মক্কেলের বউ তো আমি , তুমি কী করে মক্কেলের বউ হও হে----------দেখি তো মুখটা ! এ্যা-----তুই !
মক্কেলঃ মেয়ে সেজে দেখলাম, কেমন সেজেছি তাই বল ?
স্ত্রীঃ মেয়ে সাজতে চাও আমিই সাজিয়ে দিতাম। কাজল পরেছো ঠোঁটে, ঠোঁট পালিস লাগাইসো চোখে...ব্লাউজ পরসো উলটা।
(২৩)
মক্কেলঃ আজকাল আমার কি যে হলো ?
স্ত্রীঃ কী হয়েছে , অসুখ ?
মক্কেলঃ না।
স্ত্রীঃ তাহলে কি ?
মক্কেলঃ যার সাথে কথা বলি তাকে দেখতে পাই না...।
স্ত্রীঃ ( মনে মনে- ভূতে ধরেনি তো ) এই যে আমি সামনে আছি, কথা বলছি, দেখতে পাওনা ?
মক্কেলঃ ধ্যাততেরিকি, অত কিছু না...মোবাইল দিয়ে কথা বললে যার সাথে কথা বলি তাকে দেখতে পাই না।
(২৪)
মক্কেল বড় হয়ে গেছে। বিয়ে করতে চায় এখন সে। বয়াতি বাবার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। কথা হচ্ছে দুজনের-
মক্কেলঃ আর কত, আমার বিয়ার বয়স হইসে আব্বা!
বাবাঃ তাতো ঠিক। আগে মেয়ে পছন্দ করো।
মক্কেলঃ মেয়ে পছন্দ করাই।
বাবাঃ কারে পছন্দ করসো?
মক্কেলঃ আমাদের কাজের ভূয়া!
বাবাঃ বল কি! তোমার চেয়ে বিশ বছরের বড়। তাছাড়া-------
মক্কেলঃ তুমিই তো গান গাও্ পিরিতি জাত কুল মানে না, বয়স মানে না!
.
খেবলা ছেলের কথা শুনে বয়াতির মাথায় হাত...।
(২৫)
বাবা নতুন বিয়ে করেছে মাখন তা জানে না। হাত খরচ চাইতে গিয়ে কথা হচ্ছে বাবা ছেলের মধ্যে-
মাখনঃ বাবা, আজকের হাত খরচ দাও!
বাবাঃ (৫০ টাকা দিয়ে) এই নাও।
মাখনঃ রোজ হাত খরচা ১০০ করে দাও আজ ৫০ টাকা কেন?
বাবাঃ তোমার জন্য আমি নতুন মা নিয়ে এসেছি শোননি? তাই খরচ বেড়ে গেছে, এখন থেকে ৫০ টাকাই পাবে।
মাখনঃ ছিঃ ছিঃ বাবা ছিঃছিঃ! আমার হাত খরচা থেকে ৫০ টাকা মেরে নতুন বউ পালবে? এ আমি মেনে নিব না--------
(২৬)
নতুন প্যান্ট, নতুন ঘড়ি পরে ভাব নিয়ে চা স্টলে বসে বাসি পত্রিকা পড়ছে মক্কেল। এদিকে দূর থেকে তা খেয়াল করে বন্ধুরা আসছে তাকে খেপানোর জন্য। তিনজন মিলে ঘন ঘন টাইম জিজ্ঞেস করাতে বিরক্ত হয়ে শেষে মক্কেল বলছে-
বুঝছি তো, নিজেরা তো কিনবার পাবানা.... আমি মক্কেল চৌধুরী ঘড়ি পরসি কারণে তোমরার চোক্ষে পড়ল? (রাগ করে ঘড়ি খুলে প্যান্টের পকেটে ঢুকিয়ে) যা শালা----- তোমরার সামনে আর ঘড়ি পরমু না। হারামজাদারা.......
(২৭)
মক্কেল গেছে সব্জি কিনতে। দেখে দোকানী সব্জিতে পানি ছিটিয়ে দিচ্ছে। কথা হচ্ছে মক্কেল ও সব্জিওলার সাথে -
মক্কেলঃ সব্জিগুলা অজ্ঞান অইয়া রইসে কাস্টমার দেইখা পানি দিয়া জ্ঞান ফিরাইতাসুইন না ? না, এগুলা মরা, কিনন যাব না। আমি তাজা কিনমু।
দোকানীঃ ইডা কী কইন মোড়ল? মাছ মাংসও তো মরাই খায়, নাকি আপনে আমানি রাইন্ডা খাইন?
No comments:
Post a Comment