প্রমোদ মানকিন
অ্যাডভোকেট প্রমোদ মানকিন ছিলেন বাংলাদেশের মান্দিদের মধ্যে সবচেয়ে সফল একজন রাজনীতিবিদ । তিনি ছিলেন নিবেদিত প্রাণ এক সমাজ সেবক। তিনি খ্রিস্টান ও মান্দি সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রথম সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, দক্ষিণ- পূর্ব এশিয়া মানবাধিকার কমিশনের সদস্য, আদিবাসী বিষয়ক সংসদীয় ককাসের সদস্য এবং খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান এবং ঘাতক- দালাল নির্মূল কমিটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি ময়মনসিংহ-১ আসন থেকে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
সফল রাজনীতিক প্রমোদ মানকিনের জন্ম ১৯৩৯ সালের ১৮ এপ্রিল নেত্রকোণা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার বাকালজোড়া ইউনিয়নের রামনগর গ্রামে । তাঁর বাবা প্রয়াত মেঘা তজু এবং মা হৃদয় শিসিলিয়া মানকিন। আট ভাই-বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন পঞ্চম।তিনি দোহার- নবাবগঞ্জে অবস্থিত বান্দুরা হলিক্রস স্কুল এন্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন এবং আল্যামনাই এসোসিয়েশনের সম্মানিত সদস্য ছিলেন। ১৯৬৩ সালে নটরডেম কলেজ থেকে বিএ পাস করার পর ময়মনসিংহ টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে বিএড করা
অ্যাডভোকেট প্রমোদ মানকিন ছিলেন বাংলাদেশের মান্দিদের মধ্যে সবচেয়ে সফল একজন রাজনীতিবিদ । তিনি ছিলেন নিবেদিত প্রাণ এক সমাজ সেবক। তিনি খ্রিস্টান ও মান্দি সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রথম সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, দক্ষিণ- পূর্ব এশিয়া মানবাধিকার কমিশনের সদস্য, আদিবাসী বিষয়ক সংসদীয় ককাসের সদস্য এবং খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান এবং ঘাতক- দালাল নির্মূল কমিটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি ময়মনসিংহ-১ আসন থেকে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
সফল রাজনীতিক প্রমোদ মানকিনের জন্ম ১৯৩৯ সালের ১৮ এপ্রিল নেত্রকোণা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার বাকালজোড়া ইউনিয়নের রামনগর গ্রামে । তাঁর বাবা প্রয়াত মেঘা তজু এবং মা হৃদয় শিসিলিয়া মানকিন। আট ভাই-বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন পঞ্চম।তিনি দোহার- নবাবগঞ্জে অবস্থিত বান্দুরা হলিক্রস স্কুল এন্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন এবং আল্যামনাই এসোসিয়েশনের সম্মানিত সদস্য ছিলেন। ১৯৬৩ সালে নটরডেম কলেজ থেকে বিএ পাস করার পর ময়মনসিংহ টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে বিএড করা
প্রমোদের কর্মজীবনের শুরু স্কুল শিক্ষক
হিসেবে। ১৯৮২ সালে তিনি আইন পাস করে ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য
হন।ময়মনসিংহ টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে বিএড করা প্রমোদের কর্মজীবনের শুরু হয়
স্কুলে শিক্ষকতার মাধ্যমে। একসময় তিনি জাতীয় রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে পড়েন। ছাত্রজীবন থেকেই
রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত ছিলেন প্রমোদ মানকিন।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়
সংগঠকের ভূমিকা পালন করেন প্রমোদ মানকিন। মেঘালয় শিববাড়ি শরণার্থী শিবিরে ৫০ হাজার বাংলাদেশির দেখাশোনার দায়িত্বে
ছিলেন তিনি।
শিক্ষকতা থেকে আইনজীবী এবং তারপর এনজিওতে কাজ
করেন প্রমোদ মানকিন। ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িত হন । তিনি হালুয়াঘাট উপজেলা
আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন।এছাড়াও তিনি
বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ও হালুয়াঘাটের
গোবরাকুড়া আমদানি-রফতানিকারক সমিতির সভাপতি ছিলেন। ১৯৯১, ২০০১, ২০০৮ সালে হালুয়াঘাট থেকে এবং ২০১৪ সালে
হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের
প্রথমে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী ও পরে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংকের সাবেক পরিচালক
ছিলেন,
পরে তিনি
বাংলাদেশ সমবায় ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তিনি ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার
স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় এবং হালুয়াঘাট কারিগরি ও বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি
ছিলেন। তিনি বাংলাদেশে মানবাধিকার সমন্বয় কাউন্সিল (সিসিএইচআরবি) এবং
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া মানবাধিকার কমিশনের সদস্য ছিলেন তিনি। এছাড়া বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সোসাইটির ভাইস
প্রেসিডেন্ট প্রমোদ মানকিন সর্বদলীয় পার্লামেন্টারি গ্রুপ ও ঘাতক দালাল নির্মূল
কমিটিরও সদস্য ছিলেন।
তিনি বৃহতর ময়মনসিংহ তথা সমতল এলাকার
আদিবাসীদের অধিকার রক্ষার জন্য গঠিত Tribal Welfare Association(T.W.A) এর সভাপতি ছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি উক্ত সংগঠনের
সভাপতি হিসেবে নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে গেছেন।
১৯৬৪ সালে জোয়াকিম আশাক্রার মেয়ে মমতা আরেংয়ের সঙ্গে
শুভপরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন। তাদের পাঁচ মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। সন্তানদের মধ্যে সবাই সুশিক্ষিত এবং নিজ নিজ
জায়গায় প্রতিষ্ঠিত। তাঁর সন্তানদের মধ্যে জুয়েল আরেং বর্তমানে ময়মনসিংহ-১ আসনে বাবার আদর্শ ধারণ করে নিষ্ঠার সাথে সংসদ
সদস্যের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসের ক্যান্সারজনিত রোগে ভোগছিলেন
এবং ২০১৬ সালের ১১ মে ভারতের মুম্বাইয়ের হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
অবস্থায় মারা যান এবং তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাধিস্থ করা
হয় ।
.
তথ্যসূত্রঃ /বাংলা উইকিপিডিয়া
No comments:
New comments are not allowed.