বুক রিভিউ
ছোটো গল্প 'বুনোফুল' , লেখকঃ সুবর্ণা পলি দ্রং
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
বুক রিভিউ
এক নজরে লেখকের নাম, পরিচয়, শিক্ষা ও কর্মস্থল সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
বুক রিভিউ
গল্পগ্রন্থের নাম ‘বুনোফুল’
লেখকঃ সুবর্ণা পলি দ্রং
প্রকাশকঃ ভবো রঞ্জন বেপারী
ISBN 978-984-92480-26
নন্দিতা প্রকাশ
বিচিত্রা বই মার্কেট (তয় তলা)
৩৬, বাংলাবাজার ঢাকা-১১০০
প্রচ্ছদঃ রাজিব রায়
প্রকাশকালঃ অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৭
এর মূল্য রাখা হয়েছে ১৫০ টাকা
এক নজরে লেখকের নাম, পরিচয়, শিক্ষা ও কর্মস্থল সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
সুবর্ণা পলি দ্রং
পিতাঃ মৃত লেলিন দিও
মাতাঃ তন্দ্রা দ্রং
জন্মঃ ১৩ ডিসেম্বর, ১৯৮৫ ইং বোয়ালমারা, গাজীরভিটা, হালুয়াঘাট, ময়মনসিংহ।
বোয়ালমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক, বিড়ইডাকুনী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক, হালুয়াঘাট মহিলা কলেজ থেকে উচ্চ-মাধ্যমিক, নাসিরাবাদ কলেজ থেকে বিএসএস এবং আনন্দমোহন কলেজ থেকে মাস্টার্স (রাস্ট্রবিজ্ঞান)। বর্তমানে শান্তিমিত্র কল্যাণ সংস্থার’-র নির্বাহী পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন।
এ পর্যন্ত বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা, ছোট কাগজে কবিতা, ছোটগল্প ছাপা হয়েছে।‘বুনোফুল’ তার প্রথম প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ।
ছাতা, অনুরনণ, চিঠি, আলো-ছায়ার খেলা, বুনোফুল, যে গল্পের কোন নাম হয় না, অন্ধকার, মা –এই ৮ টি গল্প স্থান পেয়েছে বইটিতে।
বইটি যখন হাতে পাই তখন পড়তে পারিনি চোখের কারণে। এখন পড়ছি, আর পড়তে পড়তে ভাবছি, বাঃ দারুণ গল্প লেখার হাত সুবর্ণা পলি দ্রং এর। আমি নিজেও দুএকটা গল্প লেখার চেষ্টা করেছি। আমার ‘গাছ’ আর ‘নিশী লীলা’ গল্প দুটি বেশ পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে।ছোটপ্রাণ ছোটব্যথা ছোট ছোট দুঃখ কথা-নিয়ে ছোটগল্প রচিত হয়।লেখক সুবর্ণা পলি দ্রং কবিতাও লিখে বেশ।আমি তার কবিতা পড়েছি ফে্সবুকে ও বিভিন্ন লিটল ম্যাগে।গল্পও তাই।লেখকরা সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে, প্রতিবাদী চেতনা থেকে, কষ্টকর জীবন সংগ্রামের অভিজ্ঞতা থেকে কলম ধরে যা গল্প-কবিতা হয়ে পাঠকের সামনে উপস্থিত হয়! আমরা পাঠকরা পড়ি, মুগ্ধ হই।বই আলোচনা, গ্রন্থ সমালোচনা, পুস্তক পর্যালোচনা কোনটাই আমার উদ্দেশ্য নয়। আমার এই সামান্য লেখাটা পাঠলব্ধ মুগ্ধতার অনুভূতি প্রকাশ মাত্র। তাই কেমন গদ্যে রচিত হয়েছে গ্রন্থে গ্রন্থিত গল্পগুলো, তা বলার প্রয়োজনবোধ করছি না। একটি বই পড়ার পর প্রাপ্ত অনুভূতি, তৃপ্তি, আনন্দ, ভালোলাগা, মন্দলাগা অন্যকে জানাতে ইচ্ছে জাগে। এই ইচ্ছে জাগা থেকেই সামান্য লেখার প্রচেষ্টা।
‘বুনোফুল’ গল্পগ্রন্থ নিয়ে প্রথমেই কবি, প্রকাশক বি ভি রঞ্জন দার ছোট কিন্তু তীক্ষ্ণ ভূমিকাটি উল্লেখ করার প্রয়াস পাচ্ছি। ‘সুবর্ণা পলি দ্রং, যার জন্ম বেড়ে ওঠা সোমেশ্বরীর পাড়ের লালমাটির সোঁদা সোঁদা গন্ধ গায়ে মেখে; সে লেখেও প্রকৃতি আর মানুষের মেলবন্ধনের কথা। তার গল্পে উঠে আসে চারপাশের জীবনচিত্র।শিশুতোষ কিংবা সাধারণ জীবনের জলছবি ফুটে ওঠে তার শব্দ ব্যঞ্জনায়।তাই তার গল্প শুধুই গল্প নয়; জীবনের সত্যিকার চিত্রের ক্যানভাস যেন-বুনোফুলের মতো অনাদরে যা শুধু দৃষ্টি নন্দন নয়, সুবাসও বিলায়। আশা করি তার প্রথম প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ ‘বুনোফুল’ পাঠকপ্রিয়তা লাভ করবে।’-বি ভি রঞ্জন! বুনোফুল-র গল্পগুলো পড়ার পর, আমিও একমত বি ভি রঞ্জন দার সাথে।
লেখক, প্রতিটা গল্পই লিখেছেন এক, দুই, তিন, চার —–এভাবে। অন্যভাবেও লেখা যেত। আদিবাসী লেখকদের লেখায় আদিবাসী জীবনের লড়াই, সংগ্রামের ছিটেফোঁটা ফোটে উঠবে তা-ই স্বাভাবিক। ‘বুনোফুল’ গল্পগ্রন্থের প্রতিটা গল্পের চরিত্র পাঠ করলে বোঝা যায়, সবাই নিজনিজ জায়গা থেকে যুদ্ধ করছে টিকে থাকার জন্য। টিকে থাকার জন্য শহরে পাড়ি জমাচ্ছে।কেউ পড়াশোনার জন্যে, কেউ জীবিকার জন্যে পার্লারে, শপিংমলে, কেউ গার্মেন্টসে, কেউ বাসার কাজে ঢোকে পড়ে।সেসব সমাজ বাস্তবতার বাস্তব চিত্র সরল গদ্যে গল্পশিল্পী সুবর্ণা পলি দ্রং তোলে ধরেছেন ‘বুনোফুল’ গল্পগ্রন্থে।
একটি ছেলে দাদুর জন্যে মাছ কিনতে এসেছে দশ টাকা নিয়ে। কিন্তু , এই বাজারে দশ টাকায় কেউ ছোট মাছও দিতে চায় না। গরিব সেই ছেলেটার সাথে তিতির নাম্নী এক স্কুল শিক্ষিকার দেখা হয়। ছেলেটার দাদু খুব অসুস্থ, মাছ খেতে চেয়েছে-‘আপা, আজকাল দশ টাকায় কি মাছ পাওয়া যায় আপনিই বলেন ?‘ নিত্য দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সময়ে দোকানি একখান কথা শুনিয়ে দেয় তিতিরকে। তিতির মাছ কিনে দেয় নিজের টাকায় ছেলেটার জন্যে। যেন অসুস্থ দাদুর ইচ্ছে পুরণ হয়। পরে ছেলেটার জন্যে ছাতাও দিয়ে দেয়। ছেলেটা ছাতা ফেরত দেবে বলে গেলেও সেদিন আসেনি ছাতা ফেরত দিতে। গল্পটি মূলত সেই ‘ছাতা’ আর মাছকে ঘিরেই। ‘আপা, সেদিন রাত্রে আমার দাদু মারা গেছেন। আপনার কথা বলেছিলাম বলে আপনাকে খুব দেখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এত বৃষ্টি আর পানি ছিল যে আপনার ছাতাও ফেরত দিতে আসতে পারিনি। ‘ বুনোফুল (ছাতা, পৃঃ১৫)। কিছু মানবিক বিষয়, মায়া-মমতা, স্কুল শিক্ষিকার কোমল হৃদয়ের সাক্ষাৎ পাই ‘ছাতা’ গল্পটিতে।
ছাতার মতো অনুরণন, চিঠি, আলো-ছায়ার খেলা, বুনোফুল, যে গল্পের কোন নাম হয় না, অন্ধকার, মা-র মতো ভালোলাগার মতো দুএকটি গল্প আছে গল্পগ্রন্থটিতে।ছোটগল্পে থাকে সাধারণ মানুষের সাধারণ সুখ-দুঃখের কথা।
‘অনুরণন’ গল্পে কবিতা আবৃতিকে কেন্দ্র করে অরণ্য আর লতার পরিচয়, পরে প্রেম, সম্পর্কের টানাপোড়েন, দূরত্ব, ব্রেক-আপ আবার অ-নেকদিন পর বাস গাড়িতে দেখা, দীর্ঘশ্বাস সত্যি অনুরণন তুলবে পাঠকের হৃদয়ের গহীনে।তারপর পরের গল্প ‘চিঠি’। এটিও মূলত মিষ্টি প্রেমের গল্প। ‘আলো-ছায়ার খেলা’ পরকিয়া ধাঁচের গল্প। অনেক সময় কেউ জানিনা কখন, কাকে, কার ভালোলেগে যায়! আর এই গোপনে পোষে রাখা ভালোলাগার প্রকাশটাও ঘটতে পারে বিচিত্রভাবে।‘বুনোফুল’ গল্পে তিলোত্তমার শহরে চলে যাওয়া, বিউটি পার্লারের কাজে যোগ দিয়ে গরিব বাবা-মা, ভাইবোনের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা- এটা, বিশেষ করে মান্দি সমাজের বাস্তবচিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।
লেখক সরল, সাবলীল, প্রাঞ্জল ভাষায় গল্পগুলো লিখেছেন। আশা করি সবারই ভালোলাগবে।
#
হ্যাপি রিডিং
হ্যাপি রিডিং
বচন নকরেক কবি, গল্পশিল্পী, প্রবন্ধকার।
করোনাকালীন পদ্য
---------------------------------------------------------------------------------------
স্ব-রচিত নির্জন দুর্গম দ্বীপে নির্বাসনে থাকি
--------------------------------------------------------------------------------------
আইসোলেশনে থাকা করোনা রোগীর মতো
স্ব-রচিত নির্জন দুর্গম দ্বীপে নির্বাসনে থাকি
স্ব-রচিত নির্জন দুর্গম দ্বীপে নির্বাসনে থাকি
নিজেকে লাগে অচেনা
স্তবদ্ধতার গভীরে ঘুমিয়ে থাকে শীত
.
শ্বাস কষ্ট নিয়ে হেঁটে যায়
ধীরে ধীরে হেঁটে যায় ঘুম
কাঠ পেনসিল ফেলে
কাঠের কফিনের দিকে
.
৮/৫/২০
.-----------------------------------------------------------------------------------------------------
।। আমি চলে যেতে চাই ।। ব চ ন ০ ন ক রে ক ।।
------------------------------------------------------------------------------------------------------
স্তবদ্ধতার গভীরে ঘুমিয়ে থাকে শীত
.
শ্বাস কষ্ট নিয়ে হেঁটে যায়
ধীরে ধীরে হেঁটে যায় ঘুম
কাঠ পেনসিল ফেলে
কাঠের কফিনের দিকে
.
৮/৫/২০
.-----------------------------------------------------------------------------------------------------
।। আমি চলে যেতে চাই ।। ব চ ন ০ ন ক রে ক ।।
------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমার মতো অপদার্থের বেঁচে থেকে লাভ নেই
'করোনা'কে বলেছি-আমাকে ধরে নিয়ে যাও
মৃত্যুপুরীর গুহার এক কোটি দরোজা ঘুরিয়ে
যেন আর ফিরতে না পারি...
আকাশগঙ্গা সাঁতরে
কোটি আলোকবর্ষ পথ এক মিনিটে অতিক্রম করে
আমি চলে যেতে চাই
.
যমের দোসর,
তুমি চলে যেতে বললে আমি চলে যাব ...আর ভালো লাগে না
অরুচি এখন আমার সব কিছুতে
ব্যর্থ - অপদার্থ আমার আর বেঁচে থাকার অধিকার নেই
.
'করোনা'কে বলেছি-আমাকে ধরে নিয়ে যাও
মৃত্যুপুরীর গুহার এক কোটি দরোজা ঘুরিয়ে
যেন আর ফিরতে না পারি...
আকাশগঙ্গা সাঁতরে
কোটি আলোকবর্ষ পথ এক মিনিটে অতিক্রম করে
আমি চলে যেতে চাই
.
যমের দোসর,
তুমি চলে যেতে বললে আমি চলে যাব ...আর ভালো লাগে না
অরুচি এখন আমার সব কিছুতে
ব্যর্থ - অপদার্থ আমার আর বেঁচে থাকার অধিকার নেই
.
'করোনা'কে বলেছি-আমাকে ধরে নিয়ে যাও
মৃত্যুপুরীর গুহার এক কোটি দরোজা ঘুরিয়ে
যেন আর ফিরতে না পারি...
আকাশগঙ্গা সাঁতরে
কোটি আলোকবর্ষ পথ এক মিনিটে অতিক্রম করে
আমি চলে যেতে চাই...
.
৫/৫/২০
--------------------------------------------------
ভ্রমণ ক্লান্ত ফড়িং---------------------------------------------------------
ঘাড়গোঁজা গাছের ছায়ায় উড়ে
ভ্রমণ ক্লান্ত ফড়িং
চাপকল ঘিরে শালিকের চ্যাঁচ্যাঁমেচি
জল পড়ে ফোঁটায় ফোঁটায়
তৃষ্ণা...বুক ফেটে যায়
পাগড়ী খুলে কোথায় গেল
লোকজ গানের দিনগুলি !
.
৫/৭/২০
অণুগল্প
বন মামলা
- বচন নককরেক
এ-তো জোরে পাদ মারলি লুটন, আমি তো মটর সাইকেল আইতাসে ভাবসিলাম ! বলে লাঠি হাতে নিয়ে টুকটুক করে মাটিতে টুকা মারে ভিনসেন্ট। লুটন বলে,
- ধ্যুৎ..., তুই না চোক্ষে দেহস না ...আমারে চিনলি কেমনে ?
ভিনসেন্ট দাঁত না মাজা মুখে হাহা করে হেসে নেয়...আর বলে, গা'র গন্ধ। তোমার লগে এত চলাফেরা করসি , জঙ্গল করসি(কাঠের কারবার), এক লগে থাকসি, খাইসি তোমার গায়ের গন্ধ চিনিনা ? তা এখন কই আসো লুটন ?
- জেলখানায় চাকরি করলাম এক বছর। এহন বাড়িতেই।
ভিনসেন্ট লুটনের কথা শুনে আশ্চর্য হয় প্রথমে। জেলখানায় চাকরি !! ওরে বাবা। পরেই আবার বোঝে নেয় কথাটার মানে। চা দোকানির দিকে মুখ করে ভিনসেন্ট বলে, হা-রা-মজাদা ...সোজা কইরা কইলেই অয় , জেল খাইট্যা আইলাম। জেলখানায় চাকরি তোমারে দিব মাইনসে। জোরে হাসতে গিয়ে লুটনের ঠোঁট থেকে শেখ সিগারেট পড়ে যায়। জলে ভিজে আগুন নিভে যায়। জলে ভেজা অংশটুকু ছিঁড়ে ফেলে দিয়ে আবার জ্বালিয়ে নিয়ে লুটন বলে, কী করমু কও, বন মামলা চালাইতে চালাইতে সব হারাইলাম। বউ, সংসার সব। লুটন যখন জেলে ছিল, তার বউ জেসি, ঢাকা চলে যায় কাজের খোঁজে। আর ফেরেনি। কুমিল্লার এক পান দোকানিকে বিয়ে করে ফেলে। স্বামী , সন্তান রেখে যাকে বিয়ে করল তার নাকি আরো এক বউ আছে দেশের বাড়ি।
.
শীতল পাল বাঁধানও দাঁত বের করে হেসে নিয়ে বলে, মিয়ারা, চা খাবা না ? খালি ছুটুবেলা নিয়া গপ্পই করবা ? কাপ ধোয়ে টুং টুং আওয়াজ তোলে রং চা বানিয়ে দুজনকে দেয়। দোখলা। কিছুদিন পর পিকনিকের গাড়িতে ভরে যাবে ফরেস্ট বাংলো। ২-১ টি আসতে শুরু করেছে। চারটে বড় গজারি গাছের নিচে শীতল পালের চা দোকান। পান, চা, বিস্কুট, গজা, পিঁয়াজু বিড়ি, সিগারেট এই নিয়ে তার দোকান।
.
লুটন ভিনসেন্টের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলে, তোর চোখ আর বালা অইলো না রে --ভিনসেন্ট ! হ, ঘর হারাইলেও আমি দুনিয়া দেখতে পাই...তুই তো তাও দেখাহাস না। মহাজনের তাগাদায় একাই গাছ কাটতে গিয়েছিল বনে ভিনসেন্ট। কিন্তু, ধরা খায়। ধরে এনে খুব টর্চার করে সারারাত । পরের দিন চালান দিয়ে দেয়। যখন ছাড়া পায় চোখে কম দেখা শুরু করে ভিনসেন্ট। এখন দেখেই না।
.
গতকাল কাকে যেন ধরে নিয়ে এসেছে ফরেস্ট গার্ডরা। বারান্দার জন্য ঝড়ে ভাঙা ডাল নিয়ে যাচ্ছিল বাড়ি..।.তাকে ছাড়িয়ে নিতে এসেছে মতি পাগলা। শীতল বলছে, হেডম্যান কাহা, কি খাবাইন ?
.
কোমরে গুঁজে রাখা বিড়ি বের করে জ্বালাতে জালাতে মতি পাগলা বলে, আর কবাইন না,জ্বালাইয়া খাই্লো ...পরেস ডিপারমেন । বেগগেরেই মামলা দেয়। বনে থাহাই কঠিন অইতাসে ...। বাপ দাদারা যুগযুগ ধইরা জঙ্গলেই চাষাবাদ কইরা খাইয়া বাইচ্যা আইতাসে...। যারা জঙ্গলের গাছ কাটে না তারাও মামলা খাইতাসে...। গাছ কাটার জন্য যারা টাকা দেয়(মহাজন) তাগো নামে মামলা নাই।
বাংলা প্রবাদ-প্রবচন
বাংলা প্রবাদ-প্রবচন
কুটুম্বের মধ্যে শালা, গহনার মধ্যে বালা।
কুঠে মুরগীর ঠোঁটে বল
কত জনে কত কতা কত মন্তে কয় বুড়ো বেইট্যে নিজের কতা মনে ধুনি লয়।
কত জলে কত মুসুরি ভেজে দ্যাখ
কত ধানে কত চাল
কত ধানে কত চাল (জান না ?) কোন কাজের হিসাব রাখ না । কত শত গেল রথী, শেওড়াতলার চক্রবর্তী ।
কত ব্রত করলি যশী, বাকি ভূমি- একাদশী
কত রঙ্গ দেখালি মাসি !
কত রাঘব বোয়াল পড়ে রইলো—চুনো পুঁটি নিয়ে টানাটানি পরেছে.
কত রবি জ্বলে রে, কেবা আঁখি মেলে রে
কত সাধ ছিল রে চিতে, মলের আগে চুটকি দিতে
কত সাধ যায় রে চিতে, বেগুন গাছে আঁকশি দিতে
কতই বা দেখব আর, ছুঁচোর গলায় রত্নহার
কতই সাধ হয় রে চিতে, ফোকলা দাঁতে মিশি দিতে
কতক্ষণ রহে শিলা শূন্যেতে মারিলে ?
কতা কয়লে কতা বাজে, হাল বায়লে গ্যাঁড়া বাজে";
কুত্তা হাগে না খিদের ডরে ।
কুত্তার কামড় হিঁটুর নিচে।
কুত্তার খাইয়া কাম নাই, দৌড় ছাড়া হাঁটা নাই।
কুত্তার ল্যাজত পাটা ব্যান্দ্যা দিলেও সোজা হয় না।
কুত্তারে যতই তোলা দাও, ও যাবে ঠিক গু খেতে ।
কুত্তায়ে শোঙ্গে না, জজের উকিল।
কথা টলার চেয়ে পা টলা ভাল
কথা পাড়া
কথা বেচে খাওয়া
কথা শোনানো
কথা শুনে পেটের ভাত চাল হয়ে যায়
কথা শুনে হরিভক্তি উড়ে গেল
কথার কথা, কাজের নয়
কথার গুনে বার্তা নষ্ট
কথার চেয়ে কাজের গলা দরাজ।
কথার দোষে কার্য নষ্ট, ভিক্ষায় নষ্ট মান । গিন্নির দিসে গৃহ নষ্ট লক্ষ্মী ছেড়ে যান ।
কথার নেই মাথা, গরমে গায়ে কাঁথা
কথার হাত পা বের করা
কথায় কথা বাড়ে, ক্রোধে হয় ঝড়, কথা না বাড়িয়ে সখি যাও এবে ঘর
কথায় কথা বাড়ে, খেলে বাড়ে মেদ
কথায় কথায় জেঠু সাজা
কথায় চিঁড়ে ভেজে না
কুঁদের মুখে বাঁক থাকে না
কদম গাছের কানাই
কনের ঘরের মাসি, বরের ঘরের পিসি
কনের মা কান্দে আর টাকার পুঁটুলি বান্দে
কুনো ব্যাঙ
কপাল করিছি দুখতা, প্যাট করিছি সুখতা।
কপাল গুনে গোপাল ঠাকুর
কপাল চাপড়ান
কপাল ছাড়া পথ নাই
কপাল জোরে বাঁচা
কপাল যদি হীনত পড়ে, চামচিকাও ধ্যর্যা ড্যাব্যাই।
কপাল ঠুকে কাজে নামা
কপাল থুয়ে পাছায় চন্দন
কপাল ভাঙলে জোড়া লাগে না।
কপাল সঙ্গে সঙ্গে যায়
কপালে আছে হাড়, কী করবে চাচা সাকিদার?
কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়া
কপালে টিপ সবাই পরে, কপাল গুণে চিকচিক করে
কপালে যদি থাকে ঘি, না খেয়ে করব কি?
কপালে যদি না থাকে ঘি, ঠকঠকিয়ে করব কি?
কপালে নাইকো ঘি, ঠকঠকালে হবে কি ?
কপালের এমনি ফের, যাব বিয়ে করতে কাটি শঙ্কর ঘোষের বেড় ।
কপালের ভাঁজ বাড়ানো
কপালের লিখন না যায় খন্ডন
কপট প্রেমে লুকোচুরি, মুখে মধু প্রাণে ছুরি
কৃপণের ধন বর্বরে খায়, কৃপণ করে হায় হায়
কুপুত্র যদ্যপি হয়, কুমাতা কক্ষনো নয় ।
কূপমণ্ডূক
কফিনে শেষ পেরেক পোঁতা
কুবেরের ধন
কুব্জার মন্ত্রণা
কবর থেকে ওঠা
কমোডে বসে কলকাতা বুঝে নেওয়া
কম্বলের লোম বাছতে গাঁ উজাড়
কম্বলের লোম বাছলে থাকে কি?
কুম্ভকর্ণের নিদ্রা
কুম্ভকর্ণের নিদ্রাভঙ্গ
কর গোবিন্দ বাপের শ্রাদ্ধ, আরও বামুন আছে
কর যদি তাড়াতাড়ি, ভুলের হবে বাড়াবাড়ি
করে না মাই মলে সারা রাত কুয়ারা করে।
করছে কিসের জাঁক, ময়না টিয়ে উড়িয়ে দিয়ে খাঁচায় পোষে কাক ।
কর্জ করে যেই কষ্ট পায় সেই
কর্তা যে ঘি খান তা এক আঁচড়েই মালুম ।
কর্তার ইচ্ছায় কর্ম, উলু বনে কীর্তন
কর্তার পাদের গন্ধ নাই।
করলে যত্ন মেলে রত্ন
কূল কিনারা
কলকাঠি নাড়ানো
কলকে পাওয়া
কলা খাওয়া
কলা দেখানো
কলা পোড়া খাওয়া
কলা বউ
কলা রুয়ে না কেট পাত/ তাতেই কাপড়, তাতে ভাত।
কলাপাতা, কাঠের আঁটি এই নিয়ে বৈদ্যবাটি
কলাপোড়া খাও
কলার ভেলায় সাগর পার
কলায় দলা, হলুদে ছাই, বউরে সেবিলে, পুতেরে পাই ।
কলি কাল
কলিকাল, ছাগলে চাটে বাঘের গাল।
কলির বউ ঘরভাঙানি
কুলীনের লক্ষণ (সদাচার, বিনয়, বিদ্যা, খ্যাতি, তীর্থদর্শন, শাস্ত্রানুমোদিত ধর্মে আসক্তি, বেদাধ্যয়ণ, তপস্যা এবং দান )
কুলে কালি দেওয়া
কুলের কালিও ভাল।
কলের পুতুল
কুলের বার হওয়া
কলের মানুষ
কলজের জোর
কলমে কায়স্থ চিনি গোঁপেতে রাজপুত । চিকিৎসক চিনতে পারি যার ওষুধ মজবুত
কলমের খোঁচা
কলুর ছেলে, গয়লার গাই, গৃহস্থকে পুষতে নাই
পোষ্যপুত্র, ঘর জামাই, কটা শুদ্র আর বেঁটে মুসলমান- এই চার শালাই সমান ।
কলুর বলদ
কল্লার (বা দুষ্টের) ঘাড় বোল্লায় ( বা বোলতায় ) ভাঙ্গে ।
কলসির জল গড়াতে গড়াতেই শেষ
কুশীলব
কুশো, কেশে, বেনা; অভাবে সন্না । টাকা-পয়সা কড়ি, অভাবে গড়াগড়ি ।
ক্ষেত আর পুত।/ যত্ন বিনে যমদূত।।
ক্ষেতের চাষে দুঃখ নাশে
ক্ষেপই হারে, জনম হারে না
কষ্ট দিয়ে দান, আর পিত্তি মেরে ভোজন
কষ্ট না করলে কেষ্ট মেলে না
কষ্ট বই ইষ্ট নাই
কৃষ্ণকথা মধুরবানী, তুমি বল আমি শুনি
কষতে কষতে বাঁধন ছেঁড়ে
ক্ষুদ খেয়ে পুঁজি করে, দুপুরুষে খরচ করে
ক্ষুধা পেলে দুহাতে খেতে চায়
ক্ষুধার ধার ছুঁতে কাটে
ক্ষমার বড় গুণ নাই, দানের বড় পূণ্য নাই
কুসংবাদ বাতাসের আগে ধায়
কুসঙ্গে থাকার চেয়ে একা থাকা ভাল
কুঁড় খেয়ে ভুঁড়ো
কুড়কুড়ি মরবে, নাঙে বাড়ি ছ্যাড়বে।
কুড়াল দিয়ে কখনো বন্ধুর কপালে বসা মাছি মারতে যেয়ো না ।
কড়ি দিয়ে কানা গরু কেনা
কড়ি দিয়ে কিনব দই, গোয়ালিনী মোর কিসের সই ?
কড়ি দিয়ে খাই দই, কই করবে মোর গয়লা সই ।
কড়ি দিয়ে হেটে নদী পার
কড়ি নেবে গুণে, পথ চলবে জেনে
কড়ি ফটকা চিঁড়ে দই, কড়ি বিনে বন্ধু কই ।
কড়ি হলে (দিলে) বাঘের দুধ মেলে
কুড়িতে বুড়ি, মরলে মুড়ি
কড়ির জিনিস পড়িস না
কড়ির মাথায় বুড়োর বিয়ে
কুড়ে কৃষাণ অমাবস্যা খোঁজে
কুঁড়ে গরুর এঁটুলি সার
কুঁড়ে ঘরে বাস, খাট পালঙ্কের আশ
কুড়ে পাটুনীর মুখে আঁটুনি
কুঁড়ের অন্ন হয় না
কুড়ের পাতে বসে খেও, বেয়োর কাছে না যেও
কুড়ের বাক্যে মরি পুড়ে
কুড়ের বাথান বৈদ্যনাথে
কুঁড়ের বাদশা
কুড়েরে কুড়ে, বায় বয়, না, দোরটা দিলে ভাল হয় ।
কুড়েরে বলে কুড়ে-- আমি ঘুমাই, তুই দোর তাড়া দে ।
কুয়ো (কুয়াশা) হয়, আমে ভয়, তাল তেঁতুলের কিছুই নয়
কুয়োর ব্যাঙ
কয়নি আলা বড় লয়, সয়নি আলা বড়।
কয়লা ছাড়ে না ময়লা
কয়লা ধুলে ময়লা যায় না ।
খাই দাই কাঁসি বাজাই, রগড়ের ধার ধারি না
খাই দাই ডুগডুগি বাজাই
খাই দাই বাঁশি বাজাই
খাই দাই ভুলিনি, তত্ত্ব কথা ছাড়িনি
খাওয়া মুখেতে মুগের ডাল, খাব আর পাড়ব গাল
খাওয়াবে হাতির ভোগে, দেখবে বাঘের চোখে
খাঁচায় পুরে খোঁচা মারা
খাচ্ছিল তাঁতী তাঁত বুনে, কাল হল এঁড়ে বলদ কিনে ।
খাজনার চেয়ে বাজনা বেশি
খাট ভাঙ্গলে ভূমিশয্যা
খাটে খাটায় সোনার ক্ষিতি ( বা লাভের গাঁতি), তার অর্ধেক মাথায় ছাতি, ঘরে বসে পুছে বাত, তার কপালে হা ভাত
খাডাইশ্যা কুত্তার আগুইন্যা পাদ
খাতায় কলমে
খাতায় নাম লেখানো
খাঁদা নাকে তিলক পরা
খাঁদা নাকে নথ, আর গোদা পায়ে মল
খাব না খাব না অনিচ্ছে, তিন রেক চেলে একটা উচ্ছে।
খাবার বেগুন, আর বেচবার বেগুন
খাবার বেলায় নেবার মা, উলু দেবার বেলায় মুখে ঘা
খাবার বেলায় মস্ত হা, উলু দেবার বেলায় মুখে ঘা
খাবার সময় শোবার চিন্তা
খারাপ ছুতোর বেশি আবর্জনা তৈরি করে
খাল কেটে কুমীর আনা
খাল পার হয়ে কুমীরকে কলা দেখানো
খালি কলসি বাজে বেশি
খালি পেটে ধর্ম হয় না
খালি পেটে পানি খায়/ যার যার বুঝে খায়।
খালি মাথার চেয়ে খালি টাকার থলে অনেক ভাল
খালি হাতে ফেরা
খায় দায় লাল মিয়া, মোটা হয় জব্বার।
খায় না খায় সকালে নায়, হয় না হয় তিনবার যায়, তার কড়ি কি বৈদ্যে পায় ?
খায় না দেয় না পাপী সঞ্চয় করে, তার ধন খায় চোরে আর পরে
খায় মালসাট মেরে, উঠে ধরে হাঁটু।
খায় লয় চাঁদ রায়ের, নাম লয় কেদার রায়ের
খিচুড়ি পাকানো
খিদে থাকলে নুন দিয়ে ভাত খাওয়া যায়
খিদের চোটে পাটকেলে কামড়
খিদের মাথায়
খিড়কি দিয়ে হাতি গলে সদরে বাঁধে সূচ
খুচিয়ে ঘা করা
খুচরো কাজের মুজরো নাই
খেঁকি কুকুরের ঘেউ ঘেউ সার
খেজুর গাছ তেলপানা হয়েছে
খেজুরে আলাপ
খেটে খাওয়া যাদের বরাত, কাটবে না তাদের দুঃখের রাত
খেটে মরে হাঁস, ডিম খায় দারোগা বাবু ।
খেতে খেতে লোভ বাড়ে, কেঁদে কেঁদে শোক
খেতে পায় না পচা পুঁটি হাতে পারে হীরের আংটি
খেতে পেলে শুতে চায়
খেদাই না, তোর উঠন চষি ।
খেলা ভাঙার খেলা
খেলতে জানলে কানাকড়ি দিয়েও খেলা যায়
খেয়ার কড়ি দিয়ে ডুব দিয়ে পার হওয়া
খেয়ে দেয়ে একাদশী
খেয়ে দেয়ে যায় শুতে, বিধাতা নিয়ে যায় মুলো চুরি করতে
খৈয়ে বন্ধনে পড়া
খোঁটার জোরে মেড়া লড়ে ।
খোঁটার বলে গাড়ল যুঝে
খোদা যা গড়বেন তা মনে মনেই জানেন
খোদাকে কে দেখেছে; আক্কেলে মালুম হয়।
খোদার উপর খোদকারি
খোদার খাশি
খোদার নাও দোয়ায় চলে
খোলনলচে পাল্টানো
খোশ খবরের ঝুটাও ভাল ।
খোষে তৈল নাই, কলাবড়ার সাধ
খোঁড়ার পা খানায় পড়ে
খঞ্জনের নৃত্য দেখে চড়াইও নৃত্য করে
খুঁট-আঁখুরে গাঁয়ের বালাই
খুঁটি না থাকলে ঘর আপনি পড়ে
খটমটিয়ে হাঁটে নারী, কটমটিয়ে চায়, মাস-খানেক ভিতর তার সিঁথির সিঁদুর যায়
খুদের জাউ পায় না, ক্ষীরের জন্য কাঁদে
খুন করলে খুনে, পরের কথা শুনে
খনা বলে চাষার পো/ শরতের শেষে সরিষা রো।
খনা বলে শোনভাই/ তুলায় তুলা অধিক পাই।
খনা বলে শুন কৃষকগণ/ হাল লয়ে মাঠে বেরুবে যখন/শুভ দেখে করবে যাত্রা/ না শুনে কানে অশুভ বার্তা।/ ক্ষেতে গিয়ে কর দিক নিরূপণ,/ পূর্ব দিক হতে হাল চালন/ নাহিক সংশয় হবে ফলন।
খনা বলে শুনে যাও / নারিকেল মুলে চিটা দাও/ গাছ হয় তাজা মোটা/ তাড়াতাড়ি ধরে গোটা।
খর নদীতে চর পড়ে না
খরা ভুয়ে ঢালবি জল/ সারাবছর পাবি ফল।
খরচের খাতায় নাম লেখানো
খুরে খুরে দণ্ডবৎ, খুরে নমস্কার
খল যায় রসাতল
খড় কুটোর মত ভাসা
খড়্গ বাগিয়ে বসা
খুঁড়িয়ে বড় হওয়া
খড়ের আগুণ
খড়ের আগুন যেমন জ্বলে তেমন নেভে
খড়ের কার্ত্তিক
খড়ের গাদায় সূচ খোঁজা ।
খড়ম পায়ে দিয়ে গঙ্গা পার
খয়ের খাঁ
গু-এর এপিঠ ওপিঠ দুপিঠ সমান
গু-এর দু পিঠেই গন্ধ
গঙ্গা গঙ্গা, না জানি কত রঙ্গা চঙ্গা ।
গঙ্গা মড়া আলেন না
গঙ্গাজলে গঙ্গা পূজা
গঙ্গার আবার গঙ্গা লাভ
গঙ্গার জল গঙ্গায় র'ল, পিতৃপুরুষ উদ্ধার হল
গঙ্গার জলে স্নান, তুঙ্গার জল পান
গঙ্গার দুকূল ভাঙ্গে না
গঙ্গায় অনেক জল বয়ে যাওয়া
গঙ্গায় ডুব দেওয়া
গঙ্গায় ময়লা ফেললে গঙ্গার মাহাত্ম্য কমে না
গঙ্গায়ও মলুম, ভুতও হলুম
গাঁ গড়ানে ঘন পা। যেমন মা তেমন ছা।। থেকে বলদ না বয় হাল, তার দুঃখ সর্ব্বকাল।
গা ঘামানো
গা ছুয়ে বলা
গা ঝাড়া দিয়ে ওঠা
গা ঢাকা দেওয়া
গা ঢেলে দেওয়া
গা বাঁচানো
গাঁ বড় তার মাঝের পাড়া, নাক নেই তার নাক নাড়া
গা ভারী হওয়া
গাং ডিঙ্গুলে কুমিরকে কলা দেখানো |
গাই কিনবে দুয়ে, বলদ কিনবে বেয়ে
গাই গোয়ালা ভাব থাকলে আধসের দুধ এক হাটু জলে
গাই ছিল না হল গাই, চালুনি নিয়ে দুইতে যাই।
গাই নেই তো বলদ দো
গাই পালে মেয়ে/ দুধ পড়ে বেয়ে।
গাই বাছুর ঠিক থাকলে দুধের অভাব নাই।
গাই বাছুরে ভাব থাকলে মাঠে গিয়ে দুধ দেয় ।
গাইতে গাইতে গায়েন আর বাজাতে বাজাতে বায়েন
গাইয়ে বাছুর লনা গোয়াইল্যার পেরেশানি
গাও নষ্ট কানায়, পুকুর নষ্ট পানায়।
গাঙ দেখলে মুত আসে/ নাঙ দেখলে হাস আসে (নাঙ মানে - স্বামী)
গাঙে গাঙে দেখা হয় তো বোনে বোনে দেখা হয় না
গাছ থেকে পড়ে গেল জন পাঁচ- সাত, যার যেখানে ব্যথা তার সেখানে হাত।
গাছ থেকে ফল ভারী নয়
গাছ প্যাকলে সার আর মানুষ প্যাকলে অসার।
গাছ-গাছালি ঘন রোবে না/ গাছ হবে তাতে ফল হবে না।
গাছে উঠতে পারে না, বড় ছানাটি আমার ।
গাছে ওঠে পড়তে, আর জামিন হয় মরতে
গাছে ওঠে পড়তে, জামিন দেয় মরতে
গাছে কাঁঠাল, গোঁফে তেল
গাছে গাছে আগুন জ্বলে/ বৃষ্টি হবে খনায় বলে।
গাছে গরু চরানো, মুখে ধান শুকানো
গাছে চড়ানো; গাছে ওঠানো
গাছে তুলে দিয়ে মই কেড়ে নেওয়া
গাছে তুলতে সবাই আছে, নামাতে কেউ নেই
গাছে না উঠতেই এক কাঁদি
গাছে বেল পাকলে কাকের কি
গাছের পাড়া, তলারও কুড়ানো
গাছের পরিচয় ফলে
গাছের শত্রু লতা, মানুষের শত্রু কথা
গাছেরও খাবে, তলারও কুড়াবে।
গাঁজা খাওয়া
গাঁজা গুলি অন্নভাঙা তিন নিয়ে ফরাসডাঙা
গাঁজা তাড়ি প্রবঞ্চনা -- তিন নিয়ে সরশুনা
গাঁজাখুরি গল্প
গাজনের নেই ঠিক ঠিকানা, ডেকে বলে বাজনা বাজা
গাজর, গন্ধি, সুরী/ তিন বোধে দূরী।
গাধা জল ঘোলা করে খায়
গাধা পিটিয়ে ঘোড়া করা
গাধা সকল বইতে পারে, ভাতের কাটি বইতে নারে
গাধার খাটুনি খাটা
গান, বাজনা সুজন এই তিন নিয়ে সিঙ্গারকোণ
গান্ডে পিন্ডে খাওয়া
গান্ধিগিরি
গাল বাড়ায়ে চড় খাওয়া
গাল মন্দ করা
গালভরা কথা
গাড়িকাপড় লা, লা কাপড়গাড়ি
গায়ে আঁচ লাগা
গায়ে ওড়ে খড়ি, কলপ দেওয়া দাড়ি
গায়ে কফিন বেঁধে ঘুরে বেড়ানো
গায়ে গু মাখলে যমে ছাড়ে না
গায়ে থুথু দেওয়া
গায়ে ফুঁ দিয়ে বেড়ানো
গায়ে মাখা
গাঁয়ে মানে না, আপনি মোড়ল
গায়ে হাওয়া লাগানো
গায়ে হাত তোলা
গায়ের কালি ধুলে যায়, মনের কালি ম'লে যায়
গাঁয়ের গুণে গ'ড়ে গরু বিকায়
গায়ের গন্ধে ভূত পালায়, মাথায় ফুলের তেল
গায়ের জ্বালা
গিন্নি ভাঙল নাদা, ও কিছু নয় দাদা /মেয়ে ভাঙল কাঁসি, পড়ল একটা হাসি / বউ ভাঙল সরা, গেল পাড়া পাড়া
গিন্নির উপর গিন্নিপনা, ভাঙা পিঁড়েয় আলপনা
গিন্নির পাপে গেরস্থ নষ্ট
গিন্নীর হাতে রাঙ্গাপলা, বৌয়ের হাতে সোনার বালা
গেরস্ত কাওরা শোরে কড়ি
গেল গেল রব ওঠে
কুটুম্বের মধ্যে শালা, গহনার মধ্যে বালা।
কুঠে মুরগীর ঠোঁটে বল
কত জনে কত কতা কত মন্তে কয় বুড়ো বেইট্যে নিজের কতা মনে ধুনি লয়।
কত জলে কত মুসুরি ভেজে দ্যাখ
কত ধানে কত চাল
কত ধানে কত চাল (জান না ?) কোন কাজের হিসাব রাখ না । কত শত গেল রথী, শেওড়াতলার চক্রবর্তী ।
কত ব্রত করলি যশী, বাকি ভূমি- একাদশী
কত রঙ্গ দেখালি মাসি !
কত রাঘব বোয়াল পড়ে রইলো—চুনো পুঁটি নিয়ে টানাটানি পরেছে.
কত রবি জ্বলে রে, কেবা আঁখি মেলে রে
কত সাধ ছিল রে চিতে, মলের আগে চুটকি দিতে
কত সাধ যায় রে চিতে, বেগুন গাছে আঁকশি দিতে
কতই বা দেখব আর, ছুঁচোর গলায় রত্নহার
কতই সাধ হয় রে চিতে, ফোকলা দাঁতে মিশি দিতে
কতক্ষণ রহে শিলা শূন্যেতে মারিলে ?
কতা কয়লে কতা বাজে, হাল বায়লে গ্যাঁড়া বাজে";
কুত্তা হাগে না খিদের ডরে ।
কুত্তার কামড় হিঁটুর নিচে।
কুত্তার খাইয়া কাম নাই, দৌড় ছাড়া হাঁটা নাই।
কুত্তার ল্যাজত পাটা ব্যান্দ্যা দিলেও সোজা হয় না।
কুত্তারে যতই তোলা দাও, ও যাবে ঠিক গু খেতে ।
কুত্তায়ে শোঙ্গে না, জজের উকিল।
কথা টলার চেয়ে পা টলা ভাল
কথা পাড়া
কথা বেচে খাওয়া
কথা শোনানো
কথা শুনে পেটের ভাত চাল হয়ে যায়
কথা শুনে হরিভক্তি উড়ে গেল
কথার কথা, কাজের নয়
কথার গুনে বার্তা নষ্ট
কথার চেয়ে কাজের গলা দরাজ।
কথার দোষে কার্য নষ্ট, ভিক্ষায় নষ্ট মান । গিন্নির দিসে গৃহ নষ্ট লক্ষ্মী ছেড়ে যান ।
কথার নেই মাথা, গরমে গায়ে কাঁথা
কথার হাত পা বের করা
কথায় কথা বাড়ে, ক্রোধে হয় ঝড়, কথা না বাড়িয়ে সখি যাও এবে ঘর
কথায় কথা বাড়ে, খেলে বাড়ে মেদ
কথায় কথায় জেঠু সাজা
কথায় চিঁড়ে ভেজে না
কুঁদের মুখে বাঁক থাকে না
কদম গাছের কানাই
কনের ঘরের মাসি, বরের ঘরের পিসি
কনের মা কান্দে আর টাকার পুঁটুলি বান্দে
কুনো ব্যাঙ
কপাল করিছি দুখতা, প্যাট করিছি সুখতা।
কপাল গুনে গোপাল ঠাকুর
কপাল চাপড়ান
কপাল ছাড়া পথ নাই
কপাল জোরে বাঁচা
কপাল যদি হীনত পড়ে, চামচিকাও ধ্যর্যা ড্যাব্যাই।
কপাল ঠুকে কাজে নামা
কপাল থুয়ে পাছায় চন্দন
কপাল ভাঙলে জোড়া লাগে না।
কপাল সঙ্গে সঙ্গে যায়
কপালে আছে হাড়, কী করবে চাচা সাকিদার?
কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়া
কপালে টিপ সবাই পরে, কপাল গুণে চিকচিক করে
কপালে যদি থাকে ঘি, না খেয়ে করব কি?
কপালে যদি না থাকে ঘি, ঠকঠকিয়ে করব কি?
কপালে নাইকো ঘি, ঠকঠকালে হবে কি ?
কপালের এমনি ফের, যাব বিয়ে করতে কাটি শঙ্কর ঘোষের বেড় ।
কপালের ভাঁজ বাড়ানো
কপালের লিখন না যায় খন্ডন
কপট প্রেমে লুকোচুরি, মুখে মধু প্রাণে ছুরি
কৃপণের ধন বর্বরে খায়, কৃপণ করে হায় হায়
কুপুত্র যদ্যপি হয়, কুমাতা কক্ষনো নয় ।
কূপমণ্ডূক
কফিনে শেষ পেরেক পোঁতা
কুবেরের ধন
কুব্জার মন্ত্রণা
কবর থেকে ওঠা
কমোডে বসে কলকাতা বুঝে নেওয়া
কম্বলের লোম বাছতে গাঁ উজাড়
কম্বলের লোম বাছলে থাকে কি?
কুম্ভকর্ণের নিদ্রা
কুম্ভকর্ণের নিদ্রাভঙ্গ
কর গোবিন্দ বাপের শ্রাদ্ধ, আরও বামুন আছে
কর যদি তাড়াতাড়ি, ভুলের হবে বাড়াবাড়ি
করে না মাই মলে সারা রাত কুয়ারা করে।
করছে কিসের জাঁক, ময়না টিয়ে উড়িয়ে দিয়ে খাঁচায় পোষে কাক ।
কর্জ করে যেই কষ্ট পায় সেই
কর্তা যে ঘি খান তা এক আঁচড়েই মালুম ।
কর্তার ইচ্ছায় কর্ম, উলু বনে কীর্তন
কর্তার পাদের গন্ধ নাই।
করলে যত্ন মেলে রত্ন
কূল কিনারা
কলকাঠি নাড়ানো
কলকে পাওয়া
কলা খাওয়া
কলা দেখানো
কলা পোড়া খাওয়া
কলা বউ
কলা রুয়ে না কেট পাত/ তাতেই কাপড়, তাতে ভাত।
কলাপাতা, কাঠের আঁটি এই নিয়ে বৈদ্যবাটি
কলাপোড়া খাও
কলার ভেলায় সাগর পার
কলায় দলা, হলুদে ছাই, বউরে সেবিলে, পুতেরে পাই ।
কলি কাল
কলিকাল, ছাগলে চাটে বাঘের গাল।
কলির বউ ঘরভাঙানি
কুলীনের লক্ষণ (সদাচার, বিনয়, বিদ্যা, খ্যাতি, তীর্থদর্শন, শাস্ত্রানুমোদিত ধর্মে আসক্তি, বেদাধ্যয়ণ, তপস্যা এবং দান )
কুলে কালি দেওয়া
কুলের কালিও ভাল।
কলের পুতুল
কুলের বার হওয়া
কলের মানুষ
কলজের জোর
কলমে কায়স্থ চিনি গোঁপেতে রাজপুত । চিকিৎসক চিনতে পারি যার ওষুধ মজবুত
কলমের খোঁচা
কলুর ছেলে, গয়লার গাই, গৃহস্থকে পুষতে নাই
পোষ্যপুত্র, ঘর জামাই, কটা শুদ্র আর বেঁটে মুসলমান- এই চার শালাই সমান ।
কলুর বলদ
কল্লার (বা দুষ্টের) ঘাড় বোল্লায় ( বা বোলতায় ) ভাঙ্গে ।
কলসির জল গড়াতে গড়াতেই শেষ
কুশীলব
কুশো, কেশে, বেনা; অভাবে সন্না । টাকা-পয়সা কড়ি, অভাবে গড়াগড়ি ।
ক্ষেত আর পুত।/ যত্ন বিনে যমদূত।।
ক্ষেতের চাষে দুঃখ নাশে
ক্ষেপই হারে, জনম হারে না
কষ্ট দিয়ে দান, আর পিত্তি মেরে ভোজন
কষ্ট না করলে কেষ্ট মেলে না
কষ্ট বই ইষ্ট নাই
কৃষ্ণকথা মধুরবানী, তুমি বল আমি শুনি
কষতে কষতে বাঁধন ছেঁড়ে
ক্ষুদ খেয়ে পুঁজি করে, দুপুরুষে খরচ করে
ক্ষুধা পেলে দুহাতে খেতে চায়
ক্ষুধার ধার ছুঁতে কাটে
ক্ষমার বড় গুণ নাই, দানের বড় পূণ্য নাই
কুসংবাদ বাতাসের আগে ধায়
কুসঙ্গে থাকার চেয়ে একা থাকা ভাল
কুঁড় খেয়ে ভুঁড়ো
কুড়কুড়ি মরবে, নাঙে বাড়ি ছ্যাড়বে।
কুড়াল দিয়ে কখনো বন্ধুর কপালে বসা মাছি মারতে যেয়ো না ।
কড়ি দিয়ে কানা গরু কেনা
কড়ি দিয়ে কিনব দই, গোয়ালিনী মোর কিসের সই ?
কড়ি দিয়ে খাই দই, কই করবে মোর গয়লা সই ।
কড়ি দিয়ে হেটে নদী পার
কড়ি নেবে গুণে, পথ চলবে জেনে
কড়ি ফটকা চিঁড়ে দই, কড়ি বিনে বন্ধু কই ।
কড়ি হলে (দিলে) বাঘের দুধ মেলে
কুড়িতে বুড়ি, মরলে মুড়ি
কড়ির জিনিস পড়িস না
কড়ির মাথায় বুড়োর বিয়ে
কুড়ে কৃষাণ অমাবস্যা খোঁজে
কুঁড়ে গরুর এঁটুলি সার
কুঁড়ে ঘরে বাস, খাট পালঙ্কের আশ
কুড়ে পাটুনীর মুখে আঁটুনি
কুঁড়ের অন্ন হয় না
কুড়ের পাতে বসে খেও, বেয়োর কাছে না যেও
কুড়ের বাক্যে মরি পুড়ে
কুড়ের বাথান বৈদ্যনাথে
কুঁড়ের বাদশা
কুড়েরে কুড়ে, বায় বয়, না, দোরটা দিলে ভাল হয় ।
কুড়েরে বলে কুড়ে-- আমি ঘুমাই, তুই দোর তাড়া দে ।
কুয়ো (কুয়াশা) হয়, আমে ভয়, তাল তেঁতুলের কিছুই নয়
কুয়োর ব্যাঙ
কয়নি আলা বড় লয়, সয়নি আলা বড়।
কয়লা ছাড়ে না ময়লা
কয়লা ধুলে ময়লা যায় না ।
খাই দাই কাঁসি বাজাই, রগড়ের ধার ধারি না
খাই দাই ডুগডুগি বাজাই
খাই দাই বাঁশি বাজাই
খাই দাই ভুলিনি, তত্ত্ব কথা ছাড়িনি
খাওয়া মুখেতে মুগের ডাল, খাব আর পাড়ব গাল
খাওয়াবে হাতির ভোগে, দেখবে বাঘের চোখে
খাঁচায় পুরে খোঁচা মারা
খাচ্ছিল তাঁতী তাঁত বুনে, কাল হল এঁড়ে বলদ কিনে ।
খাজনার চেয়ে বাজনা বেশি
খাট ভাঙ্গলে ভূমিশয্যা
খাটে খাটায় সোনার ক্ষিতি ( বা লাভের গাঁতি), তার অর্ধেক মাথায় ছাতি, ঘরে বসে পুছে বাত, তার কপালে হা ভাত
খাডাইশ্যা কুত্তার আগুইন্যা পাদ
খাতায় কলমে
খাতায় নাম লেখানো
খাঁদা নাকে তিলক পরা
খাঁদা নাকে নথ, আর গোদা পায়ে মল
খাব না খাব না অনিচ্ছে, তিন রেক চেলে একটা উচ্ছে।
খাবার বেগুন, আর বেচবার বেগুন
খাবার বেলায় নেবার মা, উলু দেবার বেলায় মুখে ঘা
খাবার বেলায় মস্ত হা, উলু দেবার বেলায় মুখে ঘা
খাবার সময় শোবার চিন্তা
খারাপ ছুতোর বেশি আবর্জনা তৈরি করে
খাল কেটে কুমীর আনা
খাল পার হয়ে কুমীরকে কলা দেখানো
খালি কলসি বাজে বেশি
খালি পেটে ধর্ম হয় না
খালি পেটে পানি খায়/ যার যার বুঝে খায়।
খালি মাথার চেয়ে খালি টাকার থলে অনেক ভাল
খালি হাতে ফেরা
খায় দায় লাল মিয়া, মোটা হয় জব্বার।
খায় না খায় সকালে নায়, হয় না হয় তিনবার যায়, তার কড়ি কি বৈদ্যে পায় ?
খায় না দেয় না পাপী সঞ্চয় করে, তার ধন খায় চোরে আর পরে
খায় মালসাট মেরে, উঠে ধরে হাঁটু।
খায় লয় চাঁদ রায়ের, নাম লয় কেদার রায়ের
খিচুড়ি পাকানো
খিদে থাকলে নুন দিয়ে ভাত খাওয়া যায়
খিদের চোটে পাটকেলে কামড়
খিদের মাথায়
খিড়কি দিয়ে হাতি গলে সদরে বাঁধে সূচ
খুচিয়ে ঘা করা
খুচরো কাজের মুজরো নাই
খেঁকি কুকুরের ঘেউ ঘেউ সার
খেজুর গাছ তেলপানা হয়েছে
খেজুরে আলাপ
খেটে খাওয়া যাদের বরাত, কাটবে না তাদের দুঃখের রাত
খেটে মরে হাঁস, ডিম খায় দারোগা বাবু ।
খেতে খেতে লোভ বাড়ে, কেঁদে কেঁদে শোক
খেতে পায় না পচা পুঁটি হাতে পারে হীরের আংটি
খেতে পেলে শুতে চায়
খেদাই না, তোর উঠন চষি ।
খেলা ভাঙার খেলা
খেলতে জানলে কানাকড়ি দিয়েও খেলা যায়
খেয়ার কড়ি দিয়ে ডুব দিয়ে পার হওয়া
খেয়ে দেয়ে একাদশী
খেয়ে দেয়ে যায় শুতে, বিধাতা নিয়ে যায় মুলো চুরি করতে
খৈয়ে বন্ধনে পড়া
খোঁটার জোরে মেড়া লড়ে ।
খোঁটার বলে গাড়ল যুঝে
খোদা যা গড়বেন তা মনে মনেই জানেন
খোদাকে কে দেখেছে; আক্কেলে মালুম হয়।
খোদার উপর খোদকারি
খোদার খাশি
খোদার নাও দোয়ায় চলে
খোলনলচে পাল্টানো
খোশ খবরের ঝুটাও ভাল ।
খোষে তৈল নাই, কলাবড়ার সাধ
খোঁড়ার পা খানায় পড়ে
খঞ্জনের নৃত্য দেখে চড়াইও নৃত্য করে
খুঁট-আঁখুরে গাঁয়ের বালাই
খুঁটি না থাকলে ঘর আপনি পড়ে
খটমটিয়ে হাঁটে নারী, কটমটিয়ে চায়, মাস-খানেক ভিতর তার সিঁথির সিঁদুর যায়
খুদের জাউ পায় না, ক্ষীরের জন্য কাঁদে
খুন করলে খুনে, পরের কথা শুনে
খনা বলে চাষার পো/ শরতের শেষে সরিষা রো।
খনা বলে শোনভাই/ তুলায় তুলা অধিক পাই।
খনা বলে শুন কৃষকগণ/ হাল লয়ে মাঠে বেরুবে যখন/শুভ দেখে করবে যাত্রা/ না শুনে কানে অশুভ বার্তা।/ ক্ষেতে গিয়ে কর দিক নিরূপণ,/ পূর্ব দিক হতে হাল চালন/ নাহিক সংশয় হবে ফলন।
খনা বলে শুনে যাও / নারিকেল মুলে চিটা দাও/ গাছ হয় তাজা মোটা/ তাড়াতাড়ি ধরে গোটা।
খর নদীতে চর পড়ে না
খরা ভুয়ে ঢালবি জল/ সারাবছর পাবি ফল।
খরচের খাতায় নাম লেখানো
খুরে খুরে দণ্ডবৎ, খুরে নমস্কার
খল যায় রসাতল
খড় কুটোর মত ভাসা
খড়্গ বাগিয়ে বসা
খুঁড়িয়ে বড় হওয়া
খড়ের আগুণ
খড়ের আগুন যেমন জ্বলে তেমন নেভে
খড়ের কার্ত্তিক
খড়ের গাদায় সূচ খোঁজা ।
খড়ম পায়ে দিয়ে গঙ্গা পার
খয়ের খাঁ
গু-এর এপিঠ ওপিঠ দুপিঠ সমান
গু-এর দু পিঠেই গন্ধ
গঙ্গা গঙ্গা, না জানি কত রঙ্গা চঙ্গা ।
গঙ্গা মড়া আলেন না
গঙ্গাজলে গঙ্গা পূজা
গঙ্গার আবার গঙ্গা লাভ
গঙ্গার জল গঙ্গায় র'ল, পিতৃপুরুষ উদ্ধার হল
গঙ্গার জলে স্নান, তুঙ্গার জল পান
গঙ্গার দুকূল ভাঙ্গে না
গঙ্গায় অনেক জল বয়ে যাওয়া
গঙ্গায় ডুব দেওয়া
গঙ্গায় ময়লা ফেললে গঙ্গার মাহাত্ম্য কমে না
গঙ্গায়ও মলুম, ভুতও হলুম
গাঁ গড়ানে ঘন পা। যেমন মা তেমন ছা।। থেকে বলদ না বয় হাল, তার দুঃখ সর্ব্বকাল।
গা ঘামানো
গা ছুয়ে বলা
গা ঝাড়া দিয়ে ওঠা
গা ঢাকা দেওয়া
গা ঢেলে দেওয়া
গা বাঁচানো
গাঁ বড় তার মাঝের পাড়া, নাক নেই তার নাক নাড়া
গা ভারী হওয়া
গাং ডিঙ্গুলে কুমিরকে কলা দেখানো |
গাই কিনবে দুয়ে, বলদ কিনবে বেয়ে
গাই গোয়ালা ভাব থাকলে আধসের দুধ এক হাটু জলে
গাই ছিল না হল গাই, চালুনি নিয়ে দুইতে যাই।
গাই নেই তো বলদ দো
গাই পালে মেয়ে/ দুধ পড়ে বেয়ে।
গাই বাছুর ঠিক থাকলে দুধের অভাব নাই।
গাই বাছুরে ভাব থাকলে মাঠে গিয়ে দুধ দেয় ।
গাইতে গাইতে গায়েন আর বাজাতে বাজাতে বায়েন
গাইয়ে বাছুর লনা গোয়াইল্যার পেরেশানি
গাও নষ্ট কানায়, পুকুর নষ্ট পানায়।
গাঙ দেখলে মুত আসে/ নাঙ দেখলে হাস আসে (নাঙ মানে - স্বামী)
গাঙে গাঙে দেখা হয় তো বোনে বোনে দেখা হয় না
গাছ থেকে পড়ে গেল জন পাঁচ- সাত, যার যেখানে ব্যথা তার সেখানে হাত।
গাছ থেকে ফল ভারী নয়
গাছ প্যাকলে সার আর মানুষ প্যাকলে অসার।
গাছ-গাছালি ঘন রোবে না/ গাছ হবে তাতে ফল হবে না।
গাছে উঠতে পারে না, বড় ছানাটি আমার ।
গাছে ওঠে পড়তে, আর জামিন হয় মরতে
গাছে ওঠে পড়তে, জামিন দেয় মরতে
গাছে কাঁঠাল, গোঁফে তেল
গাছে গাছে আগুন জ্বলে/ বৃষ্টি হবে খনায় বলে।
গাছে গরু চরানো, মুখে ধান শুকানো
গাছে চড়ানো; গাছে ওঠানো
গাছে তুলে দিয়ে মই কেড়ে নেওয়া
গাছে তুলতে সবাই আছে, নামাতে কেউ নেই
গাছে না উঠতেই এক কাঁদি
গাছে বেল পাকলে কাকের কি
গাছের পাড়া, তলারও কুড়ানো
গাছের পরিচয় ফলে
গাছের শত্রু লতা, মানুষের শত্রু কথা
গাছেরও খাবে, তলারও কুড়াবে।
গাঁজা খাওয়া
গাঁজা গুলি অন্নভাঙা তিন নিয়ে ফরাসডাঙা
গাঁজা তাড়ি প্রবঞ্চনা -- তিন নিয়ে সরশুনা
গাঁজাখুরি গল্প
গাজনের নেই ঠিক ঠিকানা, ডেকে বলে বাজনা বাজা
গাজর, গন্ধি, সুরী/ তিন বোধে দূরী।
গাধা জল ঘোলা করে খায়
গাধা পিটিয়ে ঘোড়া করা
গাধা সকল বইতে পারে, ভাতের কাটি বইতে নারে
গাধার খাটুনি খাটা
গান, বাজনা সুজন এই তিন নিয়ে সিঙ্গারকোণ
গান্ডে পিন্ডে খাওয়া
গান্ধিগিরি
গাল বাড়ায়ে চড় খাওয়া
গাল মন্দ করা
গালভরা কথা
গাড়িকাপড় লা, লা কাপড়গাড়ি
গায়ে আঁচ লাগা
গায়ে ওড়ে খড়ি, কলপ দেওয়া দাড়ি
গায়ে কফিন বেঁধে ঘুরে বেড়ানো
গায়ে গু মাখলে যমে ছাড়ে না
গায়ে থুথু দেওয়া
গায়ে ফুঁ দিয়ে বেড়ানো
গায়ে মাখা
গাঁয়ে মানে না, আপনি মোড়ল
গায়ে হাওয়া লাগানো
গায়ে হাত তোলা
গায়ের কালি ধুলে যায়, মনের কালি ম'লে যায়
গাঁয়ের গুণে গ'ড়ে গরু বিকায়
গায়ের গন্ধে ভূত পালায়, মাথায় ফুলের তেল
গায়ের জ্বালা
গিন্নি ভাঙল নাদা, ও কিছু নয় দাদা /মেয়ে ভাঙল কাঁসি, পড়ল একটা হাসি / বউ ভাঙল সরা, গেল পাড়া পাড়া
গিন্নির উপর গিন্নিপনা, ভাঙা পিঁড়েয় আলপনা
গিন্নির পাপে গেরস্থ নষ্ট
গিন্নীর হাতে রাঙ্গাপলা, বৌয়ের হাতে সোনার বালা
গেরস্ত কাওরা শোরে কড়ি
গেল গেল রব ওঠে
গেঁয়ো যোগী ভিখ পায়না
গো নারিকেল নেড়ে রো/ আমা টুকরা কাঁঠাল ভো।
গোকুলে জল্পনা বাড়া
গোকুলের ষাঁড়
গোঁগা ছেলের নাম তর্কবাগীশ
গোজন্ম ঘুচে গন্ধর্ব জন্ম হল
গোদা পায়ে মল
গোদা পায়ের লাথি
গোদা বাড়ি ছাঁদন দাড়ি এখন তুমি কার, যখন যার কাছে থাকি, তখন আমি তার
গোদের উপর বিষ ফোঁড়া
গোপাল সিংহের বেগার
গোঁফ খেজুরে
গোঁফ নেই কোন কালে, দাড়ি রেখেছে তোবড়া গালে
গোঁফে তা দেওয়া
গোবর গণেশ
গোবর দিয়া কর যতন, ফলবে দ্বিগুণ ফসল রতন।
গোবর দিয়ে ঘাস এলান
গোবর দিয়ে মুখের চাঁচ নেওয়া
গোবরে পোকার পদ্মমধু খেতে সাধ
গোবরে পদ্মফুল ফোটা
গোভাগ্য নেই, এঁটুলি ভাগ্য আছে ।
গো-মড়কে মুচির পার্বণ
গোলা ত' খা ডালা
গোলাও কমাবু ন্যা, ছ্যলও ক্যানব্যা দিবু ন্যা।
গোলে হরি বল ।
গোলেমালে চণ্ডীপাঠ
গোসা ঘরে খিল দেওয়া
গোঁড়া কেটে আগায় জল ঢালা
গোড়ায় গলদ
গোঁয়ার গোবিন্দ
গোঁয়ারের মরণ খোঁয়াড়ে
গোয়ালের ধারের ঘাস গরুতে খায় না।
গৌর হতে বাকি অনেক দিন
গৌরীসেনের টাকা
গজ কচ্ছপী
গুটি পোকা গুটি করে, নিজের ফাঁদে নিজে পড়ে
গড্ডলিকা প্রবাহ
গুণে কড়ি জলে ফেলি, সেও ভালো
গুণে নুন দিতে নাই
গুণের ঘাট নাই
গণেশের যাত্রা ভঙ্গ
গতে বাঁধা
গতর নেই চোপায় দড়, মেঙ্গে খায় তার পালি বড়
গতর পোষা
গতরে মাওড়া পোকা (শুঁয়োপোকা) ধরা
গতস্য শোচনা নাস্তি ( যা হয়ে গেছে তার জন্য অনুশোচনা করতে নেই
গদাই লস্করি চাল
গুনি লোকের চড় খাওয়া যায়, বাঁদরের ভেংচি সহ্য হয় না
গুনে কড়ি জলে ফেলা
গুনে নুন দিতে নেই, গুণের ঘাট নেই
গন্ডারের চামড়া
গব্য থাকলে আগে পাছে, কি করবে তার শাকে মাছে
গভীর জলের মাছ ।
গুরু করবে চিনে, জল খাবে ছেনে, কড়ি লবে গুনে, পথ চলবে জেনে
গরু খোঁজা
গরু ছাগলের মুখে বিষ।/চারা না খায় রাখিস দিশ ।।
গুরু ছেড়ে গোবিন্দ ভজে, সে জন নরকে মজে
গুরু যা করে তা করো না, গুরু যা কয় সেড্যা কর।
গরু যার, গোবর তার
গরু না বিয়োতেই ঘিয়ের সর
গুরু মারা বিদ্যে
গরু মেরে জুতো দান
গুরু মোতে দাঁড়িয়ে, শিস্য মোতে পাক দিয়ে
গরু, জরু ধান রাখ বিদ্যমান
গ্রামের নাম তেঘরে, তার আবার উত্তর পাড়া দক্ষিণ পাড়া
গরীবের কথা বাসি হলে খাটে ( ভাল লাগে)
গরীবের গরীবানা নুন দিয়া মিটাখানা।
গরীবের ঘোড়া রোগ
গরীবের রাঙতাই সোনা
গরজ বড় বালাই
গর্জায় কিন্তু বর্ষায় না ।
গরজে গঙ্গা স্নান
গরজে গয়লা ঢেলা বয়
গরু-জরু-ক্ষেত-পুতা/ চাষীর বেটার মূল সুতা।
গর্তের সাপ খুচিয়ে বার করা
গরব কর যৌবনের ভরে, কাদঁতে হবে অঝোর ঝোরে
গরম গরম কথা
গরম দুধ ফুঁ দিয়ে খাওয়া
গরম দুধে ঠোঁট পোড়ান
গরম ভাতে বিলাই ব্যাজার।
গরমাগরম
গুরুর কতা ল্যায় না কানে, জিউ যায় তার পুটকির টানে।
গুরুর কথা না শুনে কানে, প্রাণ যায় তার হেঁচকা টানে
গরুর পিঠে তুললে হাত। গিরস্থে কভু পায় না ভাত।। গাই দিয়া বায় হাল দু:খ তার চিরকাল।
গ্রহণ লাগলে সবাই দেখে
গ্রহণের চাঁদ
গলগ্রহ
গলা টিপলে এখনও দুধ বেরোয়
গলা নেই গান গায়, মাগ নেই শ্বশুরবাড়ি যায়
গলার নীচে গেলে আর মনে থাকে না ।
গলায় কাঁটা ফুটলে বেড়ালের পায়ে ধরে
গলায় গলায় পিরীত
গল্পের গরুকে গাছে তোলা
গল্পের ভুশুড়ি ভাঙা
গৃহ স্থির আগে কর, গৃহিনী স্থির তার পরে
গুড় অন্ধকারেও মিষ্টি লাগে
গুড় দিয়ে খেলে গুণচটও মিস্ট লাগে
গড়া কঠিন, ভাঙা সহজ
গড়ের মাঠ
গড়তে চায় ঠাকুর, হয়ে যায় কুকুর
গুড়-ব্যাঘ্র
গয়ার পাপ বিদায় করা
গুয়ে বলে গোবর দাদা, তোর গায়ে কেন গন্ধ
গুয়ের ঠিকিত ঢ্যাল দিলে একটেকার গু সাতটে হয়।
ঘুঘু দেখেছ, ফাঁদ দেখনি
ঘা যার দুঃখ তার।
ঘা দেখলে দুখ উঠে গাঙ দেখলে মুত ছুটে।
ঘা শুকালে চিহ্ন থাকে
ঘাট মানা
ঘাটি গাড়া
ঘাটের নৌকা ঘাটে রইল, কান্ডারী কোথায় পালিয়ে গেল
ঘাটের মড়া
ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়া
ঘাড় কেন কাত ? আমরা এক জাত ।
ঘাড় ভাঙা
ঘাড়ে গঙ্গাজল দেওয়া
ঘাড়ে দুটো মাথা থাকা
ঘাড়ে বোঝা চাপান
ঘাড়ে ভুত চাপা
ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলা
ঘাড়ের থেকে ভুত নামানো
ঘায়েই মাছি বসে
ঘি আদুড়, ঘোল ঢাকা
ঘি খাইলে বল বাড়ে, হাগ খাইলে মল বাড়ে।
ঘি দিয়ে ভাজ নিমের পাতা, তবু যায় না জাতের জাতা
ঘি পচলে বিষ।
ঘি ভাত খেতে ঠোঁট পুড়লো
ঘেঁটেল চেটেল ফড়ে -- তিন নিয়ে উলুবেড়ে
ঘোঁট পাকানো
ঘোমটার তলে খেমটা নাচ
ঘোর কাটা
ঘোল খাবেন রামকৃষ্ণ, কড়ি দেবেন কালী ( বা নিধি)
ঘোল মাগতে গিয়ে পিছনে ভাঁড়
ঘোল, কুল, কলা তিনে নাশে গলা।
ঘোষ বংশ বড় বংশ, বোস বংশ দাতা/ মিত্র অতি কুটিল, দত্ত হারামজাদা
ঘোড়া চিনি কানে, দাতা চিনি দানে, মানুষ চিনি হালে, আর মনি চিনি জলে
ঘোড়া চিনি কানে, রাজা চিনি দানে, মেয়ে চিনি হাসে, পুরুষ চিনি কাসে
ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খাওয়া
ঘোড়া থাকলে চাবুকের ভাবনা
ঘোড়া দেখলেই খোঁড়া
ঘোড়া ভেড়ার এক দর
ঘোড়ার কামড় ছাড়তে জানে না
ঘোড়ার গোয়ালে ভেড়া ঢোকানো
ঘোড়ার ঘাস কাটা
ঘোড়ার ডিম
ঘোড়ার পেট গাধার পিঠ, খালি থাকে কদাচিৎ
ঘট গড়তে পারে না, মেটের (বড় জালা) বায়না নেয় ।
ঘটকালি করতে গিয়ে বিয়ে করে আসা
ঘটি কেনা গঙ্গাস্নান
ঘটির তলায় দিয়ে আটা, যোগে যোগে কাল কাটা
ঘটিরাম ডেপুটি
ঘুঁটে কুড়নির বেটা, পদ্ম মোড়ল বা চন্দনবিলেস
ঘুটে পোড়ে, গোবর হাসে, তোমার একদিন আছে শেষে
ঘণ্টা বাজিয়ে দুর্গোৎসব, ইতু পূজায় ঢাক
ঘন দুধের ফোঁটা, বড় মাছের কাঁটা
ঘন সরিষা পাতলা রাই/ নেংগে নেংগে কার্পাস পাই।
ঘুম নাই যোগীর আর রোগীর
ঘুমন্ত বাঘকে চিইও না
ঘুমন্ত বাঘে শিকার ধরে না
ঘুমন্ত শৃগালে শিকার ধরে না
ঘর আলো করা
ঘর করতে চাই দড়ি, বিয়ে করতে চাই কড়ি ।
ঘর গোছানো
ঘর চোরে পার নেই
ঘর জামাইয়ের পোড়া মুখ, মরা বাঁচা সমান সুখ
ঘর জ্বালানো পর ভুলানো
ঘর থাকতে বাবুই ভেজা (ভিজে)
ঘর দেখে দেয় আর বর দেখে দেয়
ঘর দোর নেই যার, আগুনে কি ভয় তার
ঘর নেই দোর বাঁধে, মাগ নাই ছেলের জন্য কাঁদে
ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ডরায়
ঘর পোড়ার কাঠ
ঘর ফাদবে ছাইবে না, ধার দেবে চাইবে না
ঘর ফাঁদলে দড়ি, বিয়ে ফাঁদলে কড়ি
ঘর বাঁচাতে ঘর বাঁধা
ঘর বাঁধা
ঘর বার করা
ঘর ভেদেই রাবণ নষ্ট
ঘর সন্ধানী বিভীষণ
ঘরও ঢোকে, পা'ও কাঁপে
ঘরামীর ঘর ছেঁদা
ঘরামীর মটকা আদুল
ঘরচোরকে পেরে ( বা এঁটে) উঠা দায়
ঘরে আগুন দেওয়া
ঘরে ইঁদুর বাস (কাটলে ) ধরে রাখে কে
ঘরে ঘরে চুরি, তাই প্রাণ ধরি
ঘরে ছুঁচোর কেত্তন, বাইরে কেঁচোর পত্তন ।
ঘরে থাকতে নানা নিধি, খেতে দেয় না দারুণ বিধি
ঘুরে দাঁড়ানো
ঘরে নাই অষ্টরম্ভা বাহিরে কোঁচা লম্বা
ঘরে নাই খাইতে/ বিলই কান্দে রাইতে।।
ঘরে নাই দশটি, পথে পথে ফস্টি
ঘরে নাই ভাঙ ( বা ভাজা ) ভুজা, নিত্য করেন গোঁসাই পূজা
ঘরে নেই ঘটি বাটি, কোমরে মেলাই চাবি কাঠি
ঘরে নেই যা, বাছা মাগে তা
ঘরে নেই ভাত, কোঁচা তিন হাত
ঘরে বাইরে এক মন, তবে হয় কৃষ্ণ ভজন
ঘরে বসিয়ে মাইনে দেয়, এমন মনিব কোথায় পাই
ঘরে বসে কেল্লা মারা
ঘরে বসে রাজা উজির মারা
ঘরে বসে রাজার মাকে ডাইনী বলা
ঘরে ভাত নেই, যত্নে ঘাট নেই
ঘরে ভাত নেই, দোরে চাঁদোয়া
ঘরে মরছে পুতের বউ, বাইরে মরছে ঝি জামাই/ যার কান্দা হে কান্দুক, আমার ক্ষতি নাই (কিশোরগঞ্জ)
ঘরে শাক সিজানা, বাহিরে বাবুয়ানা
ঘুরেও ক্ষুদের বাপ, ফিরেও ক্ষুদের বাপ
ঘরের ইঁদুর বাঁশ কাটলে ধরে রাখে কে ?
ঘরের কাছে নিড়ানি, ঘন ঘন জিরানি
ঘরের কোনে মরিচ গাছ/ লাল মরিচ ধরে,/ তোমার কথা মনে হলে/ চোখের পানি পড়ে!
ঘরের কত সুখ, পৌষ মাস দেখে ভাতের দুখ
ঘরের কড়ি দিয়ে নায় ডুবে মরা
ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো
ঘরের গাছা, পেটের বাছা
ঘরের ঢেঁকিই কুমীর
ঘরের ভাত খেয়ে বিলের মহিস তাড়ানো
ঘরের ভাত দিয়ে শকুনি পোষে, গোয়ালের গরু টেঁকে বসে
ঘরের ভাত দিয়ে শকুনী পোষে, গোয়ালের গরু টেঁকে কীসে ?
ঘরের মা ভাত পায় না, পরের জন্য মাথা ব্যাথা
ঘরের মধ্যে তিনজন হেগে গেল কোন জন
ঘরের শত্রু বিভীষণ
ঘরের ষাঁড় পেট ফাঁড়ে
ঘরজ্বালানে, পরভুলানে
ঘরমুখো বাঙালি, রণমুখো সেপাই
ঘুষ পেলে আমলা তুস্ট
ঘষতে ঘষতে পাথরও ক্ষয়ে যায়
ঘসে মেজে রূপ আর ধরে বেঁধে প্রেম
ঘসে মেজে সুন্দরী
ঘড়িককে ঘোড়া ছোটা
চকচক করলেই সোনা হয় না
চক্ষু চড়কগাছ
চক্ষু বিনা যেমন অঙ্গ /ভক্তি বিনা সাধু সঙ্গ
চক্ষু মন্দ তো জগত মন্দ
চক্ষে চক্ষে যতক্ষণ প্রান পোড়ে ততক্ষণ
চক্ষে দেখলে শুনতে চায় এমন নির্বোধ আছে কোথায়?
চক্ষে সরিষার ফুল দেখা
চক্ষুলজ্জার মাথা খাওয়া
চাকরি মেঘের ছায়া, মিছে কর তার মায়া
চাগাড় দেওয়া
চাচা আপন চাচী পর, চাচীর মেয়ে বিয়ে কর
চাচা আপন প্রাণ বাঁচা
চাচাই বল, কাকাই বল, কলাটি পাঁচ কড়া
চাঁছাছোলা ভাষায় কথা বলা
চাঁদ হাতে পাওয়া
চাঁদেও কলঙ্ক থাকে
চাঁদের কাছে জোনাকি পোকা, ঢাকের কাছে টেমটেমি
চাঁদের টুকরো, চাঁদের কণা
চাঁদের হাট বাজার
চাপ পড়লেই বাপ
চাপা দেওয়া
চাঁপা ফুলের গন্ধে, জামাই আসে আনন্দে
চাবের ঘরে চুরি
চামচ দিয়ে খাওয়ানো
চামড়ার মুখ লড়খড়া, কথা যায়গি তেড়াবেড়া।
চার চক্ষু এক হওয়া
চার হাত এক করা
চাল কি দর, না মামার ভাতে আছি
চাল চালা; চাল দেওয়া
চাল না চুলো, ঢেঁকি না কুলো, বিধাতা করেছে দোর বুলো বুলো
চাল নাই, ধান নাই, গোলা ভরা ইঁন্দুর
চালায় চালায় কুমুড় পাতা/ লক্ষ্মী বলেন আছি তথা।
চালে খড় নেই, ঘরে বাতি, বিছানা নেই, পোহায় রাতি
চালের বাতায় মানিক থুয়ে উলুবনে হাতড়ানো
চালুনি ক'রে ঘোল বিলানো
চালুনি বলে সূচ কে, তোর পেছনে ছ্যাদা !
চাষা কি জানে মদের স্বাদ
চাষা ভুসো
চাষার গদ্দি কাস্তের ঠোক্কর
চাষার চাষ দেখে চাষ করলে গোয়াল; ধানের সঙ্গে খোঁজ নেই, বোঝা বোঝা পোয়াল
চাষার মুখ না আখার মুখ
চাষার হাতে শালগ্রামের মরণ
চাষী আর চষা মাটি/ এ দু'য়ে হয় দেশ খাঁটি।
চাষে মুলা তার/ অর্ধেক তুলা তার/ অর্ধেক ধান/ বিনা চাষে পান
চাহিলেন জিরা, পাইলেন হীরা
চাঁড়ালের চিনি, বামনের লবণ
চায়ের পেয়ালায় তুফান তোলা
চিংড়ি মাছ খেয়ে রবিবার নষ্ট
চিৎপাতের কড়ি উৎপাতে যায়
চিনির পুতুল
চিনির বলদ
চিনিস বা না চিনিস, ঘুঁজি দেখে কিনিস।
চিনে বৃষ্টি হলে দিল্লীতে ছাতা খোলা
চিন্তের মায়ের চিন্তে হাটের লোক শোয় কোথায়?
চিনলে জড়ি, না চিনলে জঙ্গলের খড়ি।
চিবিয়ে চিবিয়ে কথা বলা
চিরকাল সমান যায় না
চিল পড়লে কুটোটাও নিয়ে যায়
চিলকে বিল দেখানো ভাল নয়
চিড়া বল মুড়ি বল ভাতের মত লয়, চাচী দ্যাক ফুবু দ্যাক মার মত লয়।
চিঁড়ে কাঁচকলা
চিঁড়ে চ্যাপ্টা
চিড়ের বাইশ ফের
চেটায় শুয়ে লক্ষ টাকার স্বপন দেখা
চেতনেতে অচেতন, প্রেমে টানে যার মন
চেনা ছকে দেখা মেলা
চেনা বামুনের পইতে লাগে না ।
চেপে যাওয়া
চেপে ধরা
চেপে বসা
চেরাগের নীচেই অন্ধকার
চৈতে কুয়ো, ভাদ্রে বান, নরের মুন্ড গড়াগড়ি যান
চৈতে গিমা তিতা, বৈশাখে নালিতা মিঠা, জ্যৈষ্ঠে অমৃতফল আষাঢ়ে খৈ, শায়নে দৈ।ভাদরে তালের পিঠা, আশ্বিনে শশা মিঠা,কার্তিকে খৈলসার ঝোল, অগ্রাণে ওল।পৌষে কাঞ্ছি, মাঘে তেল, ফাল্গুনে পাকা বেল।
চৈতের কুয়া আমের ক্ষয়/ তাল তেঁতুলের কিবা হয়।
চৈত্রে চালিতা, বৈশাখে নালিতা, আষাড়ে-ভাদ্রে তালের পিঠা।/আর্শ্বিনে ওল,/কার্তিকে কৈয়ের ঝোল
চৈত্রে দিয়া মাটি/ বৈশাখে কর পরিপাটি।
চৈত্রেতে থর থর/ বৈশাখেতে ঝড় পাথর/ জ্যৈষ্ঠতে তারা ফুটে/ তবে জানবে বর্ষা বটে।
চৈত্রের গীত বৈশাখে
চোখ কপালে তোলা
চোখ চায়, সে পায়, চোখ বোজে সে হারায়
চোখ চড়কগাছ
চোখ জোড়ানো
চোখ টাটানো
চোখ তোলা
চোখ থাকতে অন্ধ
চোখ দিয়েছেন বিধি, দেখ নিরবধি / মন্দভাবে চাও, চোখের মাথা খাও
চোখ বোলানো
চোখ বুজে থাকা
চোখ বুজলেই অন্ধকার
চোখ বন্ধ করে ভরসা করা
চোখ মনের আয়না
চোখ রাঙানি
চোখ লাল করা
চোখা চোখা কথা
চোখা চোখা প্রশ্ন
চোখে আঙুল দিয়ে দেখানো
চোখে চোখে যতক্ষণ, প্রাণ পোড়ে ততক্ষণ
চোখে দেখলে শুনতে চায়, এমন বোকা আছে কোথায় ?
চোখে ধুলো দেওয়া
চোখে পড়া
চোখে ভেলকি লাগা
চোখে মুখে কথা বলা
চোখে সরষে ফুল দেখা
চোখের আড়াল হলেই মনের আড়াল
চোখের চামড়া
চোখের জলে নাকের জলে হওয়া
চোখের দেখা
চোখের দোষে সব হলদে
চোখের পর্দা
চোখের বালি
চোখের বদলে চোখ, দাঁতের বদলে দাঁত
চোর খোঁজে আঁধার রাত
চোর চায় ভাঙা বেড়া
চোর ছ্যাঁচড় চোপায় দড়, আগে দৌড়ায় ঠাকুর ঘর
চোর ডাকাতের ভয়, পেটে পুরলে রয়
চোর দিয়ে চোর ধরা
চোর না শোনে ধর্মের কাহিনী ।
চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে
চোর ভাল তাও বেকুব ভাল নয়।
চোর মজে সাত ঘর মজিয়ে
চোরকে দেকাইও না বাড়ি আর বৈদ্যকে দেকাইও না নাড়ি।
চোরকে বল চুরি করতে, গৃহিকে বল সজাগ থাকতে
চোরা গরুর সঙ্গে ( বা অপরাধে) কপিলার বন্ধন
চোরে কামারে দেখা নেই, সিধ কাঠি গড়া
চোরে চোরে মাসতুতো ভাই
চোরের আবার পুরুত
চোরের উপর বাটপাড়ি
চোরের উপর রাগ করে ভূয়ে (মাটিতে) ভাত খাওয়া
চোরের গরু গোয়ালে বাঁধা থাকে
চোরের দশ দিন, গৃহস্তের এক দিন
চোরের ধন বাটপাড়ে খায়
চোরের বাড়িতে দালান ওঠে না
চোরের মার কুটকুটি, অন্ধকার ঘুটঘুটি
চোরের মার বড় গলা/ লাফ দিয়ে খায় গাছের কলা
চোরের মার বড় গলা, খেতে চায় দুধ কলা
চোরের মায়ের কান্না
চোরের মন পুঁই-আদাড়ে
চোরের রাত্রিবাসও লাভ
চোরের সাক্ষী গাটকাটা, শুঁড়ির সাক্ষী মাতাল
চোর-পুলিশ খেলা
চৌকাঠ মাড়ানো
চৌকিদারি কি ঝকমারি, মার খেতে প্রান গেল
চৌঘরী মাত দেখানো
চৌদ্দ শাকের মধ্যে ওল পরামানিক
চ্যাংড়া প্যাঙড়া নাঙ, ঘর দুয়ার ভাঙ।
চ্যাংড়া প্যাঙড়ার হাত থাকে লোয়া, শয়তানে মারে গোয়া।
চ্যাংড়া হাগে তরব্যা, বুড়া হাগে মরব্যা।
চ্যায়াচিন্তা খাই, কারো দুয়ার ত না যাই।
চটে লাল
চতুরের কাছে চতুরালী
চতুরের ফতুর
চুন খ্যায়্যা মুক পুড়লে দই দেক্যাও ভয় লাগে।
চুনোপুঁটি
চন্ডীচরণ ঘুঁটে কুড়োয়, রান্না ঘরে ঘোড়া
চন্দন গাছে সাপ
চন্দ্র সূর্য অস্ত গেল, জোনাকি ধরে বাতি, মোগল পাঠান হদ্দ হল, ফারসী পড়ে তাঁতি
চমচম, টমটম ও শাড়ি, এই তিনে টাঙ্গাইলের বাড়ি
চুরি বিদ্যা বড় বিদ্যা, যদি না পড় ধরা ।
চরণামৃত চরণামৃত না জানি কি অমৃত, খেয়ে দেখি জল ।
চর্বিত চর্বণ
চরমে ওঠা
চুল চিরে ভাগ করা
চুল চেরা
চুল চেরা বিশ্লেষণ // চুল চেরা হিসাবকষা
চুল থাকে তো বাঁধি, গুণ থাকে তো কাঁদি
চুলকে ঘা করা
চলেছ যদি বঙ্গে কপাল যাবে সঙ্গে
চুলোমুখো দেবতার ঘুটের ছাই নৈবদ্য
চুলোয় যাওয়া
চলতে পারে না তার ঘাড়ে বন্দুক
চুলর উপর ক্ষীর, মন নয় স্থির
চললেই চল্লিশ বুদ্ধি, না চললেই হতবুদ্ধি
গো নারিকেল নেড়ে রো/ আমা টুকরা কাঁঠাল ভো।
গোকুলে জল্পনা বাড়া
গোকুলের ষাঁড়
গোঁগা ছেলের নাম তর্কবাগীশ
গোজন্ম ঘুচে গন্ধর্ব জন্ম হল
গোদা পায়ে মল
গোদা পায়ের লাথি
গোদা বাড়ি ছাঁদন দাড়ি এখন তুমি কার, যখন যার কাছে থাকি, তখন আমি তার
গোদের উপর বিষ ফোঁড়া
গোপাল সিংহের বেগার
গোঁফ খেজুরে
গোঁফ নেই কোন কালে, দাড়ি রেখেছে তোবড়া গালে
গোঁফে তা দেওয়া
গোবর গণেশ
গোবর দিয়া কর যতন, ফলবে দ্বিগুণ ফসল রতন।
গোবর দিয়ে ঘাস এলান
গোবর দিয়ে মুখের চাঁচ নেওয়া
গোবরে পোকার পদ্মমধু খেতে সাধ
গোবরে পদ্মফুল ফোটা
গোভাগ্য নেই, এঁটুলি ভাগ্য আছে ।
গো-মড়কে মুচির পার্বণ
গোলা ত' খা ডালা
গোলাও কমাবু ন্যা, ছ্যলও ক্যানব্যা দিবু ন্যা।
গোলে হরি বল ।
গোলেমালে চণ্ডীপাঠ
গোসা ঘরে খিল দেওয়া
গোঁড়া কেটে আগায় জল ঢালা
গোড়ায় গলদ
গোঁয়ার গোবিন্দ
গোঁয়ারের মরণ খোঁয়াড়ে
গোয়ালের ধারের ঘাস গরুতে খায় না।
গৌর হতে বাকি অনেক দিন
গৌরীসেনের টাকা
গজ কচ্ছপী
গুটি পোকা গুটি করে, নিজের ফাঁদে নিজে পড়ে
গড্ডলিকা প্রবাহ
গুণে কড়ি জলে ফেলি, সেও ভালো
গুণে নুন দিতে নাই
গুণের ঘাট নাই
গণেশের যাত্রা ভঙ্গ
গতে বাঁধা
গতর নেই চোপায় দড়, মেঙ্গে খায় তার পালি বড়
গতর পোষা
গতরে মাওড়া পোকা (শুঁয়োপোকা) ধরা
গতস্য শোচনা নাস্তি ( যা হয়ে গেছে তার জন্য অনুশোচনা করতে নেই
গদাই লস্করি চাল
গুনি লোকের চড় খাওয়া যায়, বাঁদরের ভেংচি সহ্য হয় না
গুনে কড়ি জলে ফেলা
গুনে নুন দিতে নেই, গুণের ঘাট নেই
গন্ডারের চামড়া
গব্য থাকলে আগে পাছে, কি করবে তার শাকে মাছে
গভীর জলের মাছ ।
গুরু করবে চিনে, জল খাবে ছেনে, কড়ি লবে গুনে, পথ চলবে জেনে
গরু খোঁজা
গরু ছাগলের মুখে বিষ।/চারা না খায় রাখিস দিশ ।।
গুরু ছেড়ে গোবিন্দ ভজে, সে জন নরকে মজে
গুরু যা করে তা করো না, গুরু যা কয় সেড্যা কর।
গরু যার, গোবর তার
গরু না বিয়োতেই ঘিয়ের সর
গুরু মারা বিদ্যে
গরু মেরে জুতো দান
গুরু মোতে দাঁড়িয়ে, শিস্য মোতে পাক দিয়ে
গরু, জরু ধান রাখ বিদ্যমান
গ্রামের নাম তেঘরে, তার আবার উত্তর পাড়া দক্ষিণ পাড়া
গরীবের কথা বাসি হলে খাটে ( ভাল লাগে)
গরীবের গরীবানা নুন দিয়া মিটাখানা।
গরীবের ঘোড়া রোগ
গরীবের রাঙতাই সোনা
গরজ বড় বালাই
গর্জায় কিন্তু বর্ষায় না ।
গরজে গঙ্গা স্নান
গরজে গয়লা ঢেলা বয়
গরু-জরু-ক্ষেত-পুতা/ চাষীর বেটার মূল সুতা।
গর্তের সাপ খুচিয়ে বার করা
গরব কর যৌবনের ভরে, কাদঁতে হবে অঝোর ঝোরে
গরম গরম কথা
গরম দুধ ফুঁ দিয়ে খাওয়া
গরম দুধে ঠোঁট পোড়ান
গরম ভাতে বিলাই ব্যাজার।
গরমাগরম
গুরুর কতা ল্যায় না কানে, জিউ যায় তার পুটকির টানে।
গুরুর কথা না শুনে কানে, প্রাণ যায় তার হেঁচকা টানে
গরুর পিঠে তুললে হাত। গিরস্থে কভু পায় না ভাত।। গাই দিয়া বায় হাল দু:খ তার চিরকাল।
গ্রহণ লাগলে সবাই দেখে
গ্রহণের চাঁদ
গলগ্রহ
গলা টিপলে এখনও দুধ বেরোয়
গলা নেই গান গায়, মাগ নেই শ্বশুরবাড়ি যায়
গলার নীচে গেলে আর মনে থাকে না ।
গলায় কাঁটা ফুটলে বেড়ালের পায়ে ধরে
গলায় গলায় পিরীত
গল্পের গরুকে গাছে তোলা
গল্পের ভুশুড়ি ভাঙা
গৃহ স্থির আগে কর, গৃহিনী স্থির তার পরে
গুড় অন্ধকারেও মিষ্টি লাগে
গুড় দিয়ে খেলে গুণচটও মিস্ট লাগে
গড়া কঠিন, ভাঙা সহজ
গড়ের মাঠ
গড়তে চায় ঠাকুর, হয়ে যায় কুকুর
গুড়-ব্যাঘ্র
গয়ার পাপ বিদায় করা
গুয়ে বলে গোবর দাদা, তোর গায়ে কেন গন্ধ
গুয়ের ঠিকিত ঢ্যাল দিলে একটেকার গু সাতটে হয়।
ঘুঘু দেখেছ, ফাঁদ দেখনি
ঘা যার দুঃখ তার।
ঘা দেখলে দুখ উঠে গাঙ দেখলে মুত ছুটে।
ঘা শুকালে চিহ্ন থাকে
ঘাট মানা
ঘাটি গাড়া
ঘাটের নৌকা ঘাটে রইল, কান্ডারী কোথায় পালিয়ে গেল
ঘাটের মড়া
ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়া
ঘাড় কেন কাত ? আমরা এক জাত ।
ঘাড় ভাঙা
ঘাড়ে গঙ্গাজল দেওয়া
ঘাড়ে দুটো মাথা থাকা
ঘাড়ে বোঝা চাপান
ঘাড়ে ভুত চাপা
ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলা
ঘাড়ের থেকে ভুত নামানো
ঘায়েই মাছি বসে
ঘি আদুড়, ঘোল ঢাকা
ঘি খাইলে বল বাড়ে, হাগ খাইলে মল বাড়ে।
ঘি দিয়ে ভাজ নিমের পাতা, তবু যায় না জাতের জাতা
ঘি পচলে বিষ।
ঘি ভাত খেতে ঠোঁট পুড়লো
ঘেঁটেল চেটেল ফড়ে -- তিন নিয়ে উলুবেড়ে
ঘোঁট পাকানো
ঘোমটার তলে খেমটা নাচ
ঘোর কাটা
ঘোল খাবেন রামকৃষ্ণ, কড়ি দেবেন কালী ( বা নিধি)
ঘোল মাগতে গিয়ে পিছনে ভাঁড়
ঘোল, কুল, কলা তিনে নাশে গলা।
ঘোষ বংশ বড় বংশ, বোস বংশ দাতা/ মিত্র অতি কুটিল, দত্ত হারামজাদা
ঘোড়া চিনি কানে, দাতা চিনি দানে, মানুষ চিনি হালে, আর মনি চিনি জলে
ঘোড়া চিনি কানে, রাজা চিনি দানে, মেয়ে চিনি হাসে, পুরুষ চিনি কাসে
ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খাওয়া
ঘোড়া থাকলে চাবুকের ভাবনা
ঘোড়া দেখলেই খোঁড়া
ঘোড়া ভেড়ার এক দর
ঘোড়ার কামড় ছাড়তে জানে না
ঘোড়ার গোয়ালে ভেড়া ঢোকানো
ঘোড়ার ঘাস কাটা
ঘোড়ার ডিম
ঘোড়ার পেট গাধার পিঠ, খালি থাকে কদাচিৎ
ঘট গড়তে পারে না, মেটের (বড় জালা) বায়না নেয় ।
ঘটকালি করতে গিয়ে বিয়ে করে আসা
ঘটি কেনা গঙ্গাস্নান
ঘটির তলায় দিয়ে আটা, যোগে যোগে কাল কাটা
ঘটিরাম ডেপুটি
ঘুঁটে কুড়নির বেটা, পদ্ম মোড়ল বা চন্দনবিলেস
ঘুটে পোড়ে, গোবর হাসে, তোমার একদিন আছে শেষে
ঘণ্টা বাজিয়ে দুর্গোৎসব, ইতু পূজায় ঢাক
ঘন দুধের ফোঁটা, বড় মাছের কাঁটা
ঘন সরিষা পাতলা রাই/ নেংগে নেংগে কার্পাস পাই।
ঘুম নাই যোগীর আর রোগীর
ঘুমন্ত বাঘকে চিইও না
ঘুমন্ত বাঘে শিকার ধরে না
ঘুমন্ত শৃগালে শিকার ধরে না
ঘর আলো করা
ঘর করতে চাই দড়ি, বিয়ে করতে চাই কড়ি ।
ঘর গোছানো
ঘর চোরে পার নেই
ঘর জামাইয়ের পোড়া মুখ, মরা বাঁচা সমান সুখ
ঘর জ্বালানো পর ভুলানো
ঘর থাকতে বাবুই ভেজা (ভিজে)
ঘর দেখে দেয় আর বর দেখে দেয়
ঘর দোর নেই যার, আগুনে কি ভয় তার
ঘর নেই দোর বাঁধে, মাগ নাই ছেলের জন্য কাঁদে
ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ডরায়
ঘর পোড়ার কাঠ
ঘর ফাদবে ছাইবে না, ধার দেবে চাইবে না
ঘর ফাঁদলে দড়ি, বিয়ে ফাঁদলে কড়ি
ঘর বাঁচাতে ঘর বাঁধা
ঘর বাঁধা
ঘর বার করা
ঘর ভেদেই রাবণ নষ্ট
ঘর সন্ধানী বিভীষণ
ঘরও ঢোকে, পা'ও কাঁপে
ঘরামীর ঘর ছেঁদা
ঘরামীর মটকা আদুল
ঘরচোরকে পেরে ( বা এঁটে) উঠা দায়
ঘরে আগুন দেওয়া
ঘরে ইঁদুর বাস (কাটলে ) ধরে রাখে কে
ঘরে ঘরে চুরি, তাই প্রাণ ধরি
ঘরে ছুঁচোর কেত্তন, বাইরে কেঁচোর পত্তন ।
ঘরে থাকতে নানা নিধি, খেতে দেয় না দারুণ বিধি
ঘুরে দাঁড়ানো
ঘরে নাই অষ্টরম্ভা বাহিরে কোঁচা লম্বা
ঘরে নাই খাইতে/ বিলই কান্দে রাইতে।।
ঘরে নাই দশটি, পথে পথে ফস্টি
ঘরে নাই ভাঙ ( বা ভাজা ) ভুজা, নিত্য করেন গোঁসাই পূজা
ঘরে নেই ঘটি বাটি, কোমরে মেলাই চাবি কাঠি
ঘরে নেই যা, বাছা মাগে তা
ঘরে নেই ভাত, কোঁচা তিন হাত
ঘরে বাইরে এক মন, তবে হয় কৃষ্ণ ভজন
ঘরে বসিয়ে মাইনে দেয়, এমন মনিব কোথায় পাই
ঘরে বসে কেল্লা মারা
ঘরে বসে রাজা উজির মারা
ঘরে বসে রাজার মাকে ডাইনী বলা
ঘরে ভাত নেই, যত্নে ঘাট নেই
ঘরে ভাত নেই, দোরে চাঁদোয়া
ঘরে মরছে পুতের বউ, বাইরে মরছে ঝি জামাই/ যার কান্দা হে কান্দুক, আমার ক্ষতি নাই (কিশোরগঞ্জ)
ঘরে শাক সিজানা, বাহিরে বাবুয়ানা
ঘুরেও ক্ষুদের বাপ, ফিরেও ক্ষুদের বাপ
ঘরের ইঁদুর বাঁশ কাটলে ধরে রাখে কে ?
ঘরের কাছে নিড়ানি, ঘন ঘন জিরানি
ঘরের কোনে মরিচ গাছ/ লাল মরিচ ধরে,/ তোমার কথা মনে হলে/ চোখের পানি পড়ে!
ঘরের কত সুখ, পৌষ মাস দেখে ভাতের দুখ
ঘরের কড়ি দিয়ে নায় ডুবে মরা
ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো
ঘরের গাছা, পেটের বাছা
ঘরের ঢেঁকিই কুমীর
ঘরের ভাত খেয়ে বিলের মহিস তাড়ানো
ঘরের ভাত দিয়ে শকুনি পোষে, গোয়ালের গরু টেঁকে বসে
ঘরের ভাত দিয়ে শকুনী পোষে, গোয়ালের গরু টেঁকে কীসে ?
ঘরের মা ভাত পায় না, পরের জন্য মাথা ব্যাথা
ঘরের মধ্যে তিনজন হেগে গেল কোন জন
ঘরের শত্রু বিভীষণ
ঘরের ষাঁড় পেট ফাঁড়ে
ঘরজ্বালানে, পরভুলানে
ঘরমুখো বাঙালি, রণমুখো সেপাই
ঘুষ পেলে আমলা তুস্ট
ঘষতে ঘষতে পাথরও ক্ষয়ে যায়
ঘসে মেজে রূপ আর ধরে বেঁধে প্রেম
ঘসে মেজে সুন্দরী
ঘড়িককে ঘোড়া ছোটা
চকচক করলেই সোনা হয় না
চক্ষু চড়কগাছ
চক্ষু বিনা যেমন অঙ্গ /ভক্তি বিনা সাধু সঙ্গ
চক্ষু মন্দ তো জগত মন্দ
চক্ষে চক্ষে যতক্ষণ প্রান পোড়ে ততক্ষণ
চক্ষে দেখলে শুনতে চায় এমন নির্বোধ আছে কোথায়?
চক্ষে সরিষার ফুল দেখা
চক্ষুলজ্জার মাথা খাওয়া
চাকরি মেঘের ছায়া, মিছে কর তার মায়া
চাগাড় দেওয়া
চাচা আপন চাচী পর, চাচীর মেয়ে বিয়ে কর
চাচা আপন প্রাণ বাঁচা
চাচাই বল, কাকাই বল, কলাটি পাঁচ কড়া
চাঁছাছোলা ভাষায় কথা বলা
চাঁদ হাতে পাওয়া
চাঁদেও কলঙ্ক থাকে
চাঁদের কাছে জোনাকি পোকা, ঢাকের কাছে টেমটেমি
চাঁদের টুকরো, চাঁদের কণা
চাঁদের হাট বাজার
চাপ পড়লেই বাপ
চাপা দেওয়া
চাঁপা ফুলের গন্ধে, জামাই আসে আনন্দে
চাবের ঘরে চুরি
চামচ দিয়ে খাওয়ানো
চামড়ার মুখ লড়খড়া, কথা যায়গি তেড়াবেড়া।
চার চক্ষু এক হওয়া
চার হাত এক করা
চাল কি দর, না মামার ভাতে আছি
চাল চালা; চাল দেওয়া
চাল না চুলো, ঢেঁকি না কুলো, বিধাতা করেছে দোর বুলো বুলো
চাল নাই, ধান নাই, গোলা ভরা ইঁন্দুর
চালায় চালায় কুমুড় পাতা/ লক্ষ্মী বলেন আছি তথা।
চালে খড় নেই, ঘরে বাতি, বিছানা নেই, পোহায় রাতি
চালের বাতায় মানিক থুয়ে উলুবনে হাতড়ানো
চালুনি ক'রে ঘোল বিলানো
চালুনি বলে সূচ কে, তোর পেছনে ছ্যাদা !
চাষা কি জানে মদের স্বাদ
চাষা ভুসো
চাষার গদ্দি কাস্তের ঠোক্কর
চাষার চাষ দেখে চাষ করলে গোয়াল; ধানের সঙ্গে খোঁজ নেই, বোঝা বোঝা পোয়াল
চাষার মুখ না আখার মুখ
চাষার হাতে শালগ্রামের মরণ
চাষী আর চষা মাটি/ এ দু'য়ে হয় দেশ খাঁটি।
চাষে মুলা তার/ অর্ধেক তুলা তার/ অর্ধেক ধান/ বিনা চাষে পান
চাহিলেন জিরা, পাইলেন হীরা
চাঁড়ালের চিনি, বামনের লবণ
চায়ের পেয়ালায় তুফান তোলা
চিংড়ি মাছ খেয়ে রবিবার নষ্ট
চিৎপাতের কড়ি উৎপাতে যায়
চিনির পুতুল
চিনির বলদ
চিনিস বা না চিনিস, ঘুঁজি দেখে কিনিস।
চিনে বৃষ্টি হলে দিল্লীতে ছাতা খোলা
চিন্তের মায়ের চিন্তে হাটের লোক শোয় কোথায়?
চিনলে জড়ি, না চিনলে জঙ্গলের খড়ি।
চিবিয়ে চিবিয়ে কথা বলা
চিরকাল সমান যায় না
চিল পড়লে কুটোটাও নিয়ে যায়
চিলকে বিল দেখানো ভাল নয়
চিড়া বল মুড়ি বল ভাতের মত লয়, চাচী দ্যাক ফুবু দ্যাক মার মত লয়।
চিঁড়ে কাঁচকলা
চিঁড়ে চ্যাপ্টা
চিড়ের বাইশ ফের
চেটায় শুয়ে লক্ষ টাকার স্বপন দেখা
চেতনেতে অচেতন, প্রেমে টানে যার মন
চেনা ছকে দেখা মেলা
চেনা বামুনের পইতে লাগে না ।
চেপে যাওয়া
চেপে ধরা
চেপে বসা
চেরাগের নীচেই অন্ধকার
চৈতে কুয়ো, ভাদ্রে বান, নরের মুন্ড গড়াগড়ি যান
চৈতে গিমা তিতা, বৈশাখে নালিতা মিঠা, জ্যৈষ্ঠে অমৃতফল আষাঢ়ে খৈ, শায়নে দৈ।ভাদরে তালের পিঠা, আশ্বিনে শশা মিঠা,কার্তিকে খৈলসার ঝোল, অগ্রাণে ওল।পৌষে কাঞ্ছি, মাঘে তেল, ফাল্গুনে পাকা বেল।
চৈতের কুয়া আমের ক্ষয়/ তাল তেঁতুলের কিবা হয়।
চৈত্রে চালিতা, বৈশাখে নালিতা, আষাড়ে-ভাদ্রে তালের পিঠা।/আর্শ্বিনে ওল,/কার্তিকে কৈয়ের ঝোল
চৈত্রে দিয়া মাটি/ বৈশাখে কর পরিপাটি।
চৈত্রেতে থর থর/ বৈশাখেতে ঝড় পাথর/ জ্যৈষ্ঠতে তারা ফুটে/ তবে জানবে বর্ষা বটে।
চৈত্রের গীত বৈশাখে
চোখ কপালে তোলা
চোখ চায়, সে পায়, চোখ বোজে সে হারায়
চোখ চড়কগাছ
চোখ জোড়ানো
চোখ টাটানো
চোখ তোলা
চোখ থাকতে অন্ধ
চোখ দিয়েছেন বিধি, দেখ নিরবধি / মন্দভাবে চাও, চোখের মাথা খাও
চোখ বোলানো
চোখ বুজে থাকা
চোখ বুজলেই অন্ধকার
চোখ বন্ধ করে ভরসা করা
চোখ মনের আয়না
চোখ রাঙানি
চোখ লাল করা
চোখা চোখা কথা
চোখা চোখা প্রশ্ন
চোখে আঙুল দিয়ে দেখানো
চোখে চোখে যতক্ষণ, প্রাণ পোড়ে ততক্ষণ
চোখে দেখলে শুনতে চায়, এমন বোকা আছে কোথায় ?
চোখে ধুলো দেওয়া
চোখে পড়া
চোখে ভেলকি লাগা
চোখে মুখে কথা বলা
চোখে সরষে ফুল দেখা
চোখের আড়াল হলেই মনের আড়াল
চোখের চামড়া
চোখের জলে নাকের জলে হওয়া
চোখের দেখা
চোখের দোষে সব হলদে
চোখের পর্দা
চোখের বালি
চোখের বদলে চোখ, দাঁতের বদলে দাঁত
চোর খোঁজে আঁধার রাত
চোর চায় ভাঙা বেড়া
চোর ছ্যাঁচড় চোপায় দড়, আগে দৌড়ায় ঠাকুর ঘর
চোর ডাকাতের ভয়, পেটে পুরলে রয়
চোর দিয়ে চোর ধরা
চোর না শোনে ধর্মের কাহিনী ।
চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে
চোর ভাল তাও বেকুব ভাল নয়।
চোর মজে সাত ঘর মজিয়ে
চোরকে দেকাইও না বাড়ি আর বৈদ্যকে দেকাইও না নাড়ি।
চোরকে বল চুরি করতে, গৃহিকে বল সজাগ থাকতে
চোরা গরুর সঙ্গে ( বা অপরাধে) কপিলার বন্ধন
চোরে কামারে দেখা নেই, সিধ কাঠি গড়া
চোরে চোরে মাসতুতো ভাই
চোরের আবার পুরুত
চোরের উপর বাটপাড়ি
চোরের উপর রাগ করে ভূয়ে (মাটিতে) ভাত খাওয়া
চোরের গরু গোয়ালে বাঁধা থাকে
চোরের দশ দিন, গৃহস্তের এক দিন
চোরের ধন বাটপাড়ে খায়
চোরের বাড়িতে দালান ওঠে না
চোরের মার কুটকুটি, অন্ধকার ঘুটঘুটি
চোরের মার বড় গলা/ লাফ দিয়ে খায় গাছের কলা
চোরের মার বড় গলা, খেতে চায় দুধ কলা
চোরের মায়ের কান্না
চোরের মন পুঁই-আদাড়ে
চোরের রাত্রিবাসও লাভ
চোরের সাক্ষী গাটকাটা, শুঁড়ির সাক্ষী মাতাল
চোর-পুলিশ খেলা
চৌকাঠ মাড়ানো
চৌকিদারি কি ঝকমারি, মার খেতে প্রান গেল
চৌঘরী মাত দেখানো
চৌদ্দ শাকের মধ্যে ওল পরামানিক
চ্যাংড়া প্যাঙড়া নাঙ, ঘর দুয়ার ভাঙ।
চ্যাংড়া প্যাঙড়ার হাত থাকে লোয়া, শয়তানে মারে গোয়া।
চ্যাংড়া হাগে তরব্যা, বুড়া হাগে মরব্যা।
চ্যায়াচিন্তা খাই, কারো দুয়ার ত না যাই।
চটে লাল
চতুরের কাছে চতুরালী
চতুরের ফতুর
চুন খ্যায়্যা মুক পুড়লে দই দেক্যাও ভয় লাগে।
চুনোপুঁটি
চন্ডীচরণ ঘুঁটে কুড়োয়, রান্না ঘরে ঘোড়া
চন্দন গাছে সাপ
চন্দ্র সূর্য অস্ত গেল, জোনাকি ধরে বাতি, মোগল পাঠান হদ্দ হল, ফারসী পড়ে তাঁতি
চমচম, টমটম ও শাড়ি, এই তিনে টাঙ্গাইলের বাড়ি
চুরি বিদ্যা বড় বিদ্যা, যদি না পড় ধরা ।
চরণামৃত চরণামৃত না জানি কি অমৃত, খেয়ে দেখি জল ।
চর্বিত চর্বণ
চরমে ওঠা
চুল চিরে ভাগ করা
চুল চেরা
চুল চেরা বিশ্লেষণ // চুল চেরা হিসাবকষা
চুল থাকে তো বাঁধি, গুণ থাকে তো কাঁদি
চুলকে ঘা করা
চলেছ যদি বঙ্গে কপাল যাবে সঙ্গে
চুলোমুখো দেবতার ঘুটের ছাই নৈবদ্য
চুলোয় যাওয়া
চলতে পারে না তার ঘাড়ে বন্দুক
চুলর উপর ক্ষীর, মন নয় স্থির
চললেই চল্লিশ বুদ্ধি, না চললেই হতবুদ্ধি
চড় মেরে গড় করা
চড় মেরে চড় খাওয়া
চড়ুকে বাতিক
চড়ুকে হাসি
চড়াইয়ের মত ঘুরে বেড়ানো
চূড়ার উপর ময়ূর-পাখা
ছক্কা পাঞ্জা করা
ছকড়া নকড়া করা
ছা পোষা
ছাই চাপা আগুন ।
ছাই চাপা কপাল
ছাই পায় না, মুড়কি জলপান
ছাই পেতে ( বা বাঁশ পেড়ে) কাটা
ছাই ফেলতে ভাঙা কুলো
ছাইতে জানিনে গোড় চিনি
ছাগল টাইনা নিলেও ভ্যাবায়।
ছাগল দিয়ে ধান মাড়ানো
ছাগল বলে আলুনি খেলাম, গেরস্থ বলে প্রাণে মরলাম
ছাগলে কি না খায়, পাগলে কি না কয়
ছাগলের তৃতীয় সন্তান
ছাঁচি পান এলাচি গুয়ো আমি সোহাগী সতীন দুয়ো
ছাঁচে ঢালা
ছাঁচের ঘরে খাবি খায়, সমুদ্র পার হতে চায়
ছায়া ভালো ছাতার তল,/ বল ভালো নিজের বল।
ছাতা দিয়ে মাথা রাখা
ছাতা বলে গাঁ আমার
ছাতারে কীর্তন
ছাতুর হাড়িতে বাড়ি পড়া
ছাঁদন দড়ি গোদা বাড়ী, যে আমার আমি তারি
ছাপ্পান্ন ইঞ্চি ছাতির দম
ছারপোকার বিয়েন
ছাল নেই, কুত্তার নাম বাঘা
ছায়া আর কায়া
ছায়া না মাড়ানো
ছায়া ফেলা
ছায়াতে ভুত দেখা
ছায়ার সাথে কুস্তি
ছিকলি ( শিকলি) কাটা টিয়ে
ছিঁচা পানি মিছা।
ছিল ঢেঁকি হল শূল ( বা তুল) কাটতে কাটতে নির্মূল
ছিল না কথা দিলে গাল, আজ না হয় হবে কাল
ছিলাম রোগী হলাম রোজা
ছিঁড়ে ছিঁড়ে কাটুনী, পুড়ে-ঝুড়ে রাঁধুনী
ছিঁড়ল দড়া তো ছুটল ঘোড়া
ছুঁচ হয়ে ঢোকে ফাল হয়ে বেরোয়
ছুঁচের ডগায় দোলা
ছুঁচো যদি আতর মাখে, তবু কি তার গন্ধ ঢাকে
ছুঁচো মেরে হাতে গন্ধ
ছুঁচোর কেত্তন
ছুঁচোর গু ঔষধে লাগে, ছুঁচো গিয়ে পর্বতে হাগে
ছুঁচোর গু পর্বত
ছুঁচোর গোলাম চামচিকে, তার মাইনে চৌদ্দ সিকে
ছেঁদো কথার মাথায় জটা, ছাড়াতে গেলে বিষম ল্যাটা
ছেলে আমার তোতাপাখি
ছেলে মারে কাপড় ছেঁড়ে, আপনার ক্ষতি আপনি করে
ছেলের চেয়ে ছেলের গু ভারী
ছেলের চেয়ে ছেলের মাথা ভারী
ছেলের মত হাত-পা, বুড়োর মত কথা
ছেলের হাতের মোয়া
ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখা
ছেঁড়া কাপড়ে রুখু মাথা
ছেঁড়া কচুর পাত, এক মাগকে ভাত দেয় না, আবার মাগের সাধ !
ছেঁড়া চুলে খোঁপা বাঁধা ( বা বিউনী গাঁথা)
ছেঁড়া বস্তায় ( বা ধুকড়ীর ভিতর) খাসা চাল
ছেঁড়ে কথা বলা
ছেঁড়ে যাওয়া জুতোয় পা গলানো
ছেঁড়ে দিয়ে ধরা
ছেঁড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি
ছোঁক ছোঁক করা
ছোট কাঁটাটি ফোটে পায়, তুলে ফেল নইলে দায়
ছোট নদির তরঙ্গ নাই তরঙ্গ দ্যাক খাড়ির, ভাল ম্যানষের ঠাট নাই ঠাট দ্যাক হাড়ির।
ছোট মুখে বড় কথা
ছোট সরাটি ভেঙ্গে গেছে, বড় সরাটি আছে/ নাচো-কোদো কেন বউ, আমার হাতের আন্দাজ আছে
ছোঁয়াচে রোগ
ছ্যাদা ঘটি চোরা গাই, চোর পড়শী, ধূর্ত ভাই । মূর্খ ছেলে, স্ত্রী নষ্ট, এই কয়টি বড় কষ্ট
ছ্যাড়্যা দিয়া ধ্যার্যা ধরা।
ছুটির ঘণ্টা বাজানো
ছ্যল যদি হয়, পাটা মোছা খ্যালেই হয়।
ছ্যলডা বড়ই বোজে, এক জোনের কাছে ধার লিয়া আর এক জোনক সোজে।
ছল করে জল আনা
ছলের নাম পোয়াতীর কাম।
জংলা কক্ষনো পোষ মানে না
জগাখিচুড়ি
জগত জুড়ে জাল ফেলেছে, পালিয়ে বাঁচবি কোথা?
জগতে ভাল কে , যার মনে লাগে যে
জগদ্দল পাথর
জগন্নাথে গেলে হাড়ীর ঝাঁটা খেলে
জঙ্গলা কখনও পোষ মানে? সদা মন তার কেওড়া বনে
জাগন্ত ঘরে চুরি নাই
জাত গোয়ালা কাঁজি ভক্ষণ
জাত ত বাক্সের ভিতর
জাত ভাঁড়িয়ে কায়েত
জাত হারানো
জাতও গেল, পেটও ভরল না
জাতে ওঠা
জাতে মাতাল তালে ঠিক, জাত গেলে ছুটে এদিক বেদিক (নেত্রকোনা)
জাতের ঢাঁসা, বাঁশের ট্যারা।
জাতের পোলা আব্বা কয়, কুক্ষনের পোলা শালা কয়
জানিনে পারিনে নেইকো ঘরে/ এ তিন ওজরে দেবতা হারে
জানিবে শমন ভয়, দুর্জনের আশ্রয়
জানলেই ভয়, না জানলে নয় ।
জামা পাল্টানো
জামাইয়ের জন্য মারে হাস, গুষ্টি শুদ্ধ খায় মাস
জামার কোন খবর নাই, বোতাম নিয়া দৌড় পারে।
জামের খোসা ফেলে খাওয়া
জাল ছাড়ানো
জাল ছেঁড়া পলো ভাঙা (দুর্ধর্ষ লোক)
জাল ছেঁড়া পলো ভাজা
জাল ছড়ানো
জাল রচনা করা
জালিমে গোনাহ করে না বুইঝা আলিমে গোনাহ করে বুইঝা।
জালমাছের পিটত কুঁজ, অ্যাটা-কচু দিয়া স্বাদ বোজ।
জাহাজের পাছে নজর
জাহাজের সঙ্গে জালি বোট
জায়গা চিনি বইয়ো, মানুষ চিনি কইয়ো।
জাঁয়ি-জরা চদ্য পুরুষের ঘোড়া।
জায়ের গু জায়ে খায়, নন্দের গু গড়াগড়ি যায়।
জিংক্যা জাতের সিংক্যা বোজে।
জিব পুড়ল আপ্ত দোষে, কি করবে আমার হরিহর দাসে
জিব বার হওয়া
জিবে জল আসা
জিলিপের প্যাঁচ
জিয়ন্ত মাছে পোকা পড়ানো
জিয়ন্তে মরা
জীব দিয়েছেন যিনি/ আহার দেবেন তিনি
জীবে দাঁতে সম্বন্ধ
জীয়ন্তে দিলে না তুড়ি, ম'লে দেবে বেনাগাছ মুড়ি ।
জেদের ভাত খাওয়া ভাল।
জেলের আগে গেলেও দোষ, জেলের পাছে গেলেও দোষ।
জেলের পাছায় টোনা, নিকারির কানে সোনা
জৈষ্ঠতে তারা ফুটে/ তবে জানবে বর্ষা বটে।
জো পেলে জোলায় বোনে
জোঁকের গায়ে জোঁক লাগে না।
জোর যার মুল্লুক তার
জোড়া আর তালি, এই নিয়ে গৃহস্থালী।
জোড়া তালি দেওয়া
জোয়ার মাত্রেই ভাঁটা আছে
জোয়ারের জল কতক্ষণ
জোয়ারের পানি নারীর যৌবন
জোয়ে জো ধরে।
জ্ঞান দেওয়া
জ্ঞান হীন উত্সাহ লাগাম ছেঁড়া ঘোড়ার মতো।
জ্ঞানই বল
জট খোলা
জুটি বাঁধা
জ্যৈষ্ঠে খরা, আষাঢ়ে ভরা/ শস্যের ভার সহে না ধরা।
জ্যোৎস্নাতে ফটিক ফোটে, চোরের মায়ের বুকটি ফাটে
জুতো কে পায়ের তলায় রাখতে হয় ।
জুতো মারা
জুতো মেরে গরু দান
জুতো মেরেছে, অপমান ত করে নি
জুতো সেলাই থেকে চন্ডী পাঠ ।
জন, জামাই ভাগনা তিন নয় আপনা
জন্ম গেল ছেলে খেয়ে, আজ বলে ডাইন
জনম গ্যাল কচু খেতে, গাও চুলকায় আউশের ভাতে।
জনম দুখিনী সীতা / নাই পিতা নাই মাতা
জন্ম মৃত্যু বিয়ে, তিন বিধাতা নিয়ে
জন্ম হোক যথা তথা, কর্ম হোক ভালো
জন্মে দেখেনি লহার মুখ, কোদালকে বলে গুনছুঁচ
জন্মের মধ্যে কর্ম নিমুর ( বা নিমাইয়ের) চৈত্র মাসে রাস।
জন্মের শোধ
জপ নেই তপ নেই, ভস্ম মাখা গায়
জপের সঙ্গে খোঁজ নেই, ফটিকে রাঙ্গা থোপ
জপতপ কর কি, মরতে জানলে হয়।
জ্বালা দিতে নাই ঠাই, জ্বালা দেয় সতীনের ভাই
জ্বরে বউ ন্যাঙটা হচে, সেই থ্যাক্যা অব্যাস হচে।
জমি (বা ভূই) অভাবে উঠোন চষা
জমি আলার সাঁতে হাতী আলা পারে না।
জমি কর ক্যান্দর আর বউ কর বান্দর।
জমি রক্ষা করা
জমির মদ্যে লালী আর কুটুমের মদ্যে শালী।
জল অনেক দূর গড়ানো
জল এগোয় না তৃষ্ণা এগোয়
জল খেয়ে জাতি জিজ্ঞাসা করা
জল খেয়ে জলের বিচার
জল গড়ানো
জল ঘোলা করে মাছ ধরা
জল ঘোলা হওয়া
জল জল বৃষ্টির জল, বল বল বাহুবল
জল ঢেলে দেওয়া
জল দিয়ে জল বার করা
জল নেড়ে জোকের বল বুঝা
জল ভাত
জল মেপে পা ফেলা
জল, জোলাপ জুয়াচুরি, তিন নিয়ে ডাক্তারি
জলা জমিতে জল জমে
জলে কুমীর ডাঙায় বাঘ
জলে জল মিশে যায়
জলে যাওয়া
জলে তেলে মিশ খায় না
জলে পাথর পচে না
জলে পড়া
জলে ফেলা
জলে বাস করে কুমীরের সাথে বিবাদ
জলের আলপনা
জলের কুমীর ডাঙায় এলো
জলের গতি নীচের দিকে
জলের ছিটে দিয়ে লগির গুঁতো খাওয়া
জলের তিলক
জলের দাগ
জলের দাঁত বেরুনো
জলের দাম
জলের রেখা খলের পিরীত
জলের শত্রু পানা, মানুষের শত্রু কানা
জড় ভরত
জয়কেতে
জুয়াচোরের বাড়ি ফলার, না আঁচালে বিশ্বাস নেই
জুয়া-পাশা-তাস, এই তিনে সর্বনাশ।
জয়ের কালে ক্ষয় নাই, মরার কালে ওষুধ নাই
ঝকমারির মাসুল
ঝাঙড়ে ঝাঙড়ে ম্যাট্যাল কাদ।
ঝাঁজর কয় সুঁই রে, তোর গোয়া ক্যান ফুটা?
ঝাঁটা দিয়ে বিষ ঝাঁড়া
ঝাল ঝাড়া
ঝাল দেখেছ, না কড়ি দেখেছ
ঝালে ঝোলে অম্বলে
ঝাল-ভাত খাওয়া
ঝাড়ে মূলে
ঝাড়ের দোষ
ঝাড়ের বাঁশ পড়ে না
ঝি জব্দ কিলে, বউ জব্দ শিলে, পাড়াপড়শি জব্দ হয় চোখে আঙুল দিলে
ঝিকে মেরে বউকে শেখানো
ঝি-র ঝি করবে কি
ঝেড়ে কাশা
ঝোপ বুঝে কোপ মারা ।
ঝোলা থেকে বেড়াল বার করা
ঝোলে অম্বলে এক করা
ঝোলে ঝালে অম্বলে, সব ঠায় বেগুণ চলে
ঝড় তোলা
ঝড়ে কলাগাছ পড়ে, ফকিরের কেরামতি বাড়ে ।
ঝড়ে বক পড়ে, ফকিরের ক্যারামতি বাড়ে।
ঝড়ের মুখে দাঁড়ানো
ঝড়ের সময় সবাই ধার্মিক।
ঝড়ো কাক
টক ঘোল, তার ছেঁদা মালা
টক টসো আঁটিসারা, শস্য শূন্য আঁশ ভরা, এই আম বিলাবার ধারা
যক দেওয়া
টকের জ্বালায় দেশ ছাড়লাম, তেঁতুল তলায় বাস
যক্ষের (যখের) চোখে ঘুম নাই
যক্ষের (যখের) ধন
যখন আদর জুটে, ফুটকলাই দিয়ে ফুটে; যখন আদর টুটে, ঢেঁকি দিয়ে কুটে
যখন কপাল মন্দ হয়, বন্ধুলোকে মন্দ কয়
যখন যার কপাল ধরে, শুকনো ডাঙায় ডিঙি সরে
যখন যার কপাল বাঁকে, দূর্বাবনে বাঘ থাকে
যখন যার তখন তার
যখন যার পড়তা হয়, ধুলামুঠা ধরে সোনামুঠা হয়
যখন যার পড়তা হয়, ধুলো ধরলেই সোনা হয়
যখন যেমন, তখন তেমন
যখন তখন করে পাপ, সময় বুঝে ফলে শাপ
যখন বিধি মাপায়, তখন উপরি উপরিই চাপায়
যখনকার যা তখনকার তা
যুগীর গানে ভণিতা কি?
যুগরে খাইছে ভূতে/ বাপরে মারে পুতে।
যা কাছে পাই চিবিয়ে গিলি, জুতো থেকে পানের খিলি
যা করিবে বান্দা তা-ই পাইবে।/ সুই চুরি করিলে কুড়াল হারাইবে।
যা ছিল আমানি পান্তা মায়ে ঝিয়ে খেনু, ঘরজামাই রামের তরে ধান শুকাতে দিনু
যা জানে, যাতা জানে, যে পিষে সেই জানে
যা নাই ভারতে, তা নাই ভারতে
যা নাইকো দেশে পেতে, তাই চায় ছেলের খেতে
যা নেই ভারতে, তা নেই ভারতে
pages চড় মেরে চড় খাওয়া
চড়ুকে বাতিক
চড়ুকে হাসি
চড়াইয়ের মত ঘুরে বেড়ানো
চূড়ার উপর ময়ূর-পাখা
ছক্কা পাঞ্জা করা
ছকড়া নকড়া করা
ছা পোষা
ছাই চাপা আগুন ।
ছাই চাপা কপাল
ছাই পায় না, মুড়কি জলপান
ছাই পেতে ( বা বাঁশ পেড়ে) কাটা
ছাই ফেলতে ভাঙা কুলো
ছাইতে জানিনে গোড় চিনি
ছাগল টাইনা নিলেও ভ্যাবায়।
ছাগল দিয়ে ধান মাড়ানো
ছাগল বলে আলুনি খেলাম, গেরস্থ বলে প্রাণে মরলাম
ছাগলে কি না খায়, পাগলে কি না কয়
ছাগলের তৃতীয় সন্তান
ছাঁচি পান এলাচি গুয়ো আমি সোহাগী সতীন দুয়ো
ছাঁচে ঢালা
ছাঁচের ঘরে খাবি খায়, সমুদ্র পার হতে চায়
ছায়া ভালো ছাতার তল,/ বল ভালো নিজের বল।
ছাতা দিয়ে মাথা রাখা
ছাতা বলে গাঁ আমার
ছাতারে কীর্তন
ছাতুর হাড়িতে বাড়ি পড়া
ছাঁদন দড়ি গোদা বাড়ী, যে আমার আমি তারি
ছাপ্পান্ন ইঞ্চি ছাতির দম
ছারপোকার বিয়েন
ছাল নেই, কুত্তার নাম বাঘা
ছায়া আর কায়া
ছায়া না মাড়ানো
ছায়া ফেলা
ছায়াতে ভুত দেখা
ছায়ার সাথে কুস্তি
ছিকলি ( শিকলি) কাটা টিয়ে
ছিঁচা পানি মিছা।
ছিল ঢেঁকি হল শূল ( বা তুল) কাটতে কাটতে নির্মূল
ছিল না কথা দিলে গাল, আজ না হয় হবে কাল
ছিলাম রোগী হলাম রোজা
ছিঁড়ে ছিঁড়ে কাটুনী, পুড়ে-ঝুড়ে রাঁধুনী
ছিঁড়ল দড়া তো ছুটল ঘোড়া
ছুঁচ হয়ে ঢোকে ফাল হয়ে বেরোয়
ছুঁচের ডগায় দোলা
ছুঁচো যদি আতর মাখে, তবু কি তার গন্ধ ঢাকে
ছুঁচো মেরে হাতে গন্ধ
ছুঁচোর কেত্তন
ছুঁচোর গু ঔষধে লাগে, ছুঁচো গিয়ে পর্বতে হাগে
ছুঁচোর গু পর্বত
ছুঁচোর গোলাম চামচিকে, তার মাইনে চৌদ্দ সিকে
ছেঁদো কথার মাথায় জটা, ছাড়াতে গেলে বিষম ল্যাটা
ছেলে আমার তোতাপাখি
ছেলে মারে কাপড় ছেঁড়ে, আপনার ক্ষতি আপনি করে
ছেলের চেয়ে ছেলের গু ভারী
ছেলের চেয়ে ছেলের মাথা ভারী
ছেলের মত হাত-পা, বুড়োর মত কথা
ছেলের হাতের মোয়া
ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখা
ছেঁড়া কাপড়ে রুখু মাথা
ছেঁড়া কচুর পাত, এক মাগকে ভাত দেয় না, আবার মাগের সাধ !
ছেঁড়া চুলে খোঁপা বাঁধা ( বা বিউনী গাঁথা)
ছেঁড়া বস্তায় ( বা ধুকড়ীর ভিতর) খাসা চাল
ছেঁড়ে কথা বলা
ছেঁড়ে যাওয়া জুতোয় পা গলানো
ছেঁড়ে দিয়ে ধরা
ছেঁড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি
ছোঁক ছোঁক করা
ছোট কাঁটাটি ফোটে পায়, তুলে ফেল নইলে দায়
ছোট নদির তরঙ্গ নাই তরঙ্গ দ্যাক খাড়ির, ভাল ম্যানষের ঠাট নাই ঠাট দ্যাক হাড়ির।
ছোট মুখে বড় কথা
ছোট সরাটি ভেঙ্গে গেছে, বড় সরাটি আছে/ নাচো-কোদো কেন বউ, আমার হাতের আন্দাজ আছে
ছোঁয়াচে রোগ
ছ্যাদা ঘটি চোরা গাই, চোর পড়শী, ধূর্ত ভাই । মূর্খ ছেলে, স্ত্রী নষ্ট, এই কয়টি বড় কষ্ট
ছ্যাড়্যা দিয়া ধ্যার্যা ধরা।
ছুটির ঘণ্টা বাজানো
ছ্যল যদি হয়, পাটা মোছা খ্যালেই হয়।
ছ্যলডা বড়ই বোজে, এক জোনের কাছে ধার লিয়া আর এক জোনক সোজে।
ছল করে জল আনা
ছলের নাম পোয়াতীর কাম।
জংলা কক্ষনো পোষ মানে না
জগাখিচুড়ি
জগত জুড়ে জাল ফেলেছে, পালিয়ে বাঁচবি কোথা?
জগতে ভাল কে , যার মনে লাগে যে
জগদ্দল পাথর
জগন্নাথে গেলে হাড়ীর ঝাঁটা খেলে
জঙ্গলা কখনও পোষ মানে? সদা মন তার কেওড়া বনে
জাগন্ত ঘরে চুরি নাই
জাত গোয়ালা কাঁজি ভক্ষণ
জাত ত বাক্সের ভিতর
জাত ভাঁড়িয়ে কায়েত
জাত হারানো
জাতও গেল, পেটও ভরল না
জাতে ওঠা
জাতে মাতাল তালে ঠিক, জাত গেলে ছুটে এদিক বেদিক (নেত্রকোনা)
জাতের ঢাঁসা, বাঁশের ট্যারা।
জাতের পোলা আব্বা কয়, কুক্ষনের পোলা শালা কয়
জানিনে পারিনে নেইকো ঘরে/ এ তিন ওজরে দেবতা হারে
জানিবে শমন ভয়, দুর্জনের আশ্রয়
জানলেই ভয়, না জানলে নয় ।
জামা পাল্টানো
জামাইয়ের জন্য মারে হাস, গুষ্টি শুদ্ধ খায় মাস
জামার কোন খবর নাই, বোতাম নিয়া দৌড় পারে।
জামের খোসা ফেলে খাওয়া
জাল ছাড়ানো
জাল ছেঁড়া পলো ভাঙা (দুর্ধর্ষ লোক)
জাল ছেঁড়া পলো ভাজা
জাল ছড়ানো
জাল রচনা করা
জালিমে গোনাহ করে না বুইঝা আলিমে গোনাহ করে বুইঝা।
জালমাছের পিটত কুঁজ, অ্যাটা-কচু দিয়া স্বাদ বোজ।
জাহাজের পাছে নজর
জাহাজের সঙ্গে জালি বোট
জায়গা চিনি বইয়ো, মানুষ চিনি কইয়ো।
জাঁয়ি-জরা চদ্য পুরুষের ঘোড়া।
জায়ের গু জায়ে খায়, নন্দের গু গড়াগড়ি যায়।
জিংক্যা জাতের সিংক্যা বোজে।
জিব পুড়ল আপ্ত দোষে, কি করবে আমার হরিহর দাসে
জিব বার হওয়া
জিবে জল আসা
জিলিপের প্যাঁচ
জিয়ন্ত মাছে পোকা পড়ানো
জিয়ন্তে মরা
জীব দিয়েছেন যিনি/ আহার দেবেন তিনি
জীবে দাঁতে সম্বন্ধ
জীয়ন্তে দিলে না তুড়ি, ম'লে দেবে বেনাগাছ মুড়ি ।
জেদের ভাত খাওয়া ভাল।
জেলের আগে গেলেও দোষ, জেলের পাছে গেলেও দোষ।
জেলের পাছায় টোনা, নিকারির কানে সোনা
জৈষ্ঠতে তারা ফুটে/ তবে জানবে বর্ষা বটে।
জো পেলে জোলায় বোনে
জোঁকের গায়ে জোঁক লাগে না।
জোর যার মুল্লুক তার
জোড়া আর তালি, এই নিয়ে গৃহস্থালী।
জোড়া তালি দেওয়া
জোয়ার মাত্রেই ভাঁটা আছে
জোয়ারের জল কতক্ষণ
জোয়ারের পানি নারীর যৌবন
জোয়ে জো ধরে।
জ্ঞান দেওয়া
জ্ঞান হীন উত্সাহ লাগাম ছেঁড়া ঘোড়ার মতো।
জ্ঞানই বল
জট খোলা
জুটি বাঁধা
জ্যৈষ্ঠে খরা, আষাঢ়ে ভরা/ শস্যের ভার সহে না ধরা।
জ্যোৎস্নাতে ফটিক ফোটে, চোরের মায়ের বুকটি ফাটে
জুতো কে পায়ের তলায় রাখতে হয় ।
জুতো মারা
জুতো মেরে গরু দান
জুতো মেরেছে, অপমান ত করে নি
জুতো সেলাই থেকে চন্ডী পাঠ ।
জন, জামাই ভাগনা তিন নয় আপনা
জন্ম গেল ছেলে খেয়ে, আজ বলে ডাইন
জনম গ্যাল কচু খেতে, গাও চুলকায় আউশের ভাতে।
জনম দুখিনী সীতা / নাই পিতা নাই মাতা
জন্ম মৃত্যু বিয়ে, তিন বিধাতা নিয়ে
জন্ম হোক যথা তথা, কর্ম হোক ভালো
জন্মে দেখেনি লহার মুখ, কোদালকে বলে গুনছুঁচ
জন্মের মধ্যে কর্ম নিমুর ( বা নিমাইয়ের) চৈত্র মাসে রাস।
জন্মের শোধ
জপ নেই তপ নেই, ভস্ম মাখা গায়
জপের সঙ্গে খোঁজ নেই, ফটিকে রাঙ্গা থোপ
জপতপ কর কি, মরতে জানলে হয়।
জ্বালা দিতে নাই ঠাই, জ্বালা দেয় সতীনের ভাই
জ্বরে বউ ন্যাঙটা হচে, সেই থ্যাক্যা অব্যাস হচে।
জমি (বা ভূই) অভাবে উঠোন চষা
জমি আলার সাঁতে হাতী আলা পারে না।
জমি কর ক্যান্দর আর বউ কর বান্দর।
জমি রক্ষা করা
জমির মদ্যে লালী আর কুটুমের মদ্যে শালী।
জল অনেক দূর গড়ানো
জল এগোয় না তৃষ্ণা এগোয়
জল খেয়ে জাতি জিজ্ঞাসা করা
জল খেয়ে জলের বিচার
জল গড়ানো
জল ঘোলা করে মাছ ধরা
জল ঘোলা হওয়া
জল জল বৃষ্টির জল, বল বল বাহুবল
জল ঢেলে দেওয়া
জল দিয়ে জল বার করা
জল নেড়ে জোকের বল বুঝা
জল ভাত
জল মেপে পা ফেলা
জল, জোলাপ জুয়াচুরি, তিন নিয়ে ডাক্তারি
জলা জমিতে জল জমে
জলে কুমীর ডাঙায় বাঘ
জলে জল মিশে যায়
জলে যাওয়া
জলে তেলে মিশ খায় না
জলে পাথর পচে না
জলে পড়া
জলে ফেলা
জলে বাস করে কুমীরের সাথে বিবাদ
জলের আলপনা
জলের কুমীর ডাঙায় এলো
জলের গতি নীচের দিকে
জলের ছিটে দিয়ে লগির গুঁতো খাওয়া
জলের তিলক
জলের দাগ
জলের দাঁত বেরুনো
জলের দাম
জলের রেখা খলের পিরীত
জলের শত্রু পানা, মানুষের শত্রু কানা
জড় ভরত
জয়কেতে
জুয়াচোরের বাড়ি ফলার, না আঁচালে বিশ্বাস নেই
জুয়া-পাশা-তাস, এই তিনে সর্বনাশ।
জয়ের কালে ক্ষয় নাই, মরার কালে ওষুধ নাই
ঝকমারির মাসুল
ঝাঙড়ে ঝাঙড়ে ম্যাট্যাল কাদ।
ঝাঁজর কয় সুঁই রে, তোর গোয়া ক্যান ফুটা?
ঝাঁটা দিয়ে বিষ ঝাঁড়া
ঝাল ঝাড়া
ঝাল দেখেছ, না কড়ি দেখেছ
ঝালে ঝোলে অম্বলে
ঝাল-ভাত খাওয়া
ঝাড়ে মূলে
ঝাড়ের দোষ
ঝাড়ের বাঁশ পড়ে না
ঝি জব্দ কিলে, বউ জব্দ শিলে, পাড়াপড়শি জব্দ হয় চোখে আঙুল দিলে
ঝিকে মেরে বউকে শেখানো
ঝি-র ঝি করবে কি
ঝেড়ে কাশা
ঝোপ বুঝে কোপ মারা ।
ঝোলা থেকে বেড়াল বার করা
ঝোলে অম্বলে এক করা
ঝোলে ঝালে অম্বলে, সব ঠায় বেগুণ চলে
ঝড় তোলা
ঝড়ে কলাগাছ পড়ে, ফকিরের কেরামতি বাড়ে ।
ঝড়ে বক পড়ে, ফকিরের ক্যারামতি বাড়ে।
ঝড়ের মুখে দাঁড়ানো
ঝড়ের সময় সবাই ধার্মিক।
ঝড়ো কাক
টক ঘোল, তার ছেঁদা মালা
টক টসো আঁটিসারা, শস্য শূন্য আঁশ ভরা, এই আম বিলাবার ধারা
যক দেওয়া
টকের জ্বালায় দেশ ছাড়লাম, তেঁতুল তলায় বাস
যক্ষের (যখের) চোখে ঘুম নাই
যক্ষের (যখের) ধন
যখন আদর জুটে, ফুটকলাই দিয়ে ফুটে; যখন আদর টুটে, ঢেঁকি দিয়ে কুটে
যখন কপাল মন্দ হয়, বন্ধুলোকে মন্দ কয়
যখন যার কপাল ধরে, শুকনো ডাঙায় ডিঙি সরে
যখন যার কপাল বাঁকে, দূর্বাবনে বাঘ থাকে
যখন যার তখন তার
যখন যার পড়তা হয়, ধুলামুঠা ধরে সোনামুঠা হয়
যখন যার পড়তা হয়, ধুলো ধরলেই সোনা হয়
যখন যেমন, তখন তেমন
যখন তখন করে পাপ, সময় বুঝে ফলে শাপ
যখন বিধি মাপায়, তখন উপরি উপরিই চাপায়
যখনকার যা তখনকার তা
যুগীর গানে ভণিতা কি?
যুগরে খাইছে ভূতে/ বাপরে মারে পুতে।
যা কাছে পাই চিবিয়ে গিলি, জুতো থেকে পানের খিলি
যা করিবে বান্দা তা-ই পাইবে।/ সুই চুরি করিলে কুড়াল হারাইবে।
যা ছিল আমানি পান্তা মায়ে ঝিয়ে খেনু, ঘরজামাই রামের তরে ধান শুকাতে দিনু
যা জানে, যাতা জানে, যে পিষে সেই জানে
যা নাই ভারতে, তা নাই ভারতে
যা নাইকো দেশে পেতে, তাই চায় ছেলের খেতে
যা নেই ভারতে, তা নেই ভারতে
মান্দি লোকসংস্কৃতি
মান্দি লোকসংস্কৃতি
লোকসাহিত্য ও লোকসংস্কৃতির ভেতর একটি জাতির আত্মার স্পন্দন শোনা যায়। লোকসাহিত্য মৌখিক ধারার সাহিত্য । লোকসাহিত্য কোন জাতিগোষ্ঠীর ঐতিহ্য, আবেগ, চিন্তা ও মূল্যবোধকে ধারণ করে। লোকসাহিত্যকে প্রধানত লোকসঙ্গীত, গীতিকা, লোককাহিনী, লোকনাট্য, ছড়া, মন্ত্র, ধাঁধা ও প্রবাদ এই আটটি শাখায় ভাগ করা যায়। লোকসংস্কৃতি ঐতিহ্যগতভাবে বিশেষ সম্প্রদায় বা গোষ্ঠীর মধ্যে যুগ যুগ ধরে, মুখে মুখে স্মৃতি ও শ্রুতির ওপর নির্ভর করে বেঁচে থাকে। গ্রামে যারা থাকে ...যাদের আমরা বলি শিকড়, তারাই এর ধারক-বাহক। সেসব মানুষের মুখে মুখে ফেরা গান, ছড়া, গল্প, কৌতুক এক সময় কোন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি উদ্যোগে সংকলন রচিত হলেও তাতে সমষ্টির চিন্তা-ধারা-আবেগ ভালোবাসা জরিয়ে থাকে। এবং সমষ্টির চর্চায় তা পুষ্টি ও পরিপক্কতা লাভ করে।
লোককাহিনী পুরুষানুক্রমে মুখে মুখে প্রচলিত বর্ণনামূলক গল্প। এর মূল ভিত্তি কল্পনা। স্বর্গ-মর্ত্য-পাতাল পর্যন্ত গল্পের আখ্যানের সীমানা বিস্তৃত। মান্দি লোককাহিনী-আনাল গোনাল, দিগ্বিবান্দি, ......। দেব-দৈত্য, জ্বীন-পরী, রাক্ষস-খোক্ষস, পশু-পাখি, নদী-সাগর, পাহাড়-পর্বত, চন্দ্র-সূর্য, দিন-রাত্রি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে গল্প রচিত হয়।